ঢাকা , শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা ৪২২ উপজেলায় মিলবে ওএমএসের চাল

দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল, কবর খুঁড়তে আধুনিক যন্ত্র

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ শুধু হাসপাতাল নয়, করোনার কারণে চাপ বেড়েছে কবরস্থানেও। কবর খুঁড়ে কুল পাচ্ছেন না কবরস্থানের কর্মীরা। চাপ সামলাতে তাই চলছে মেশিন দিয়ে কবর খোঁড়ার কাজ।

দীর্ঘদিন ধরে কবরস্থানে গোর খোদকের কাজ করা কর্মীরা বলছেন, এমন মৃত্যুর র্দীঘ মিছিল তারা কখনই দেখেননি। রাজধানীর রায়েরবাজারের কবরস্থানে দেখা মেলে এমন চিত্রের। সনাতন পদ্ধতিতে কবর খুঁড়ে আর কুলোচ্ছিলো না গোর খোদকদের। তাই তো আনতে হয়েছে আধুনিক মাটিকাটা যন্ত্র। যা দিয়ে অল্প সময়ে অনেক কবর খুঁড়তে পারছেন তারা।

কবরস্থানে প্রবেশ করলে দেখা যাবে সারি সারি নতুন কবর খুঁড়ে রাখা হয়েছে। দেখে মনে হবে যেন যুদ্ধবিদ্ধস্ত কোনো দেশের চিত্র। করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর মিছিলে প্রতিদিন যোগ হচ্ছেন বহু মানুষ। গোর খোদকদের কাছে এ যেন নীরব যুদ্ধের সৈনিক হিসেবে লড়াই করে যাওয়া। যুদ্ধের মাঠে পরাজিত মানুষদের মাটি দেয়াই তাদের কাজ।

রায়ের বাজারের গোর খোদকরা বলছেন, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মৃত্যু বেড়েছে বহুগুণ। প্রতিদিন যে পরিমাণ মরদেহ আসছে, তাতে আর শাবল-কোদাল দিয়ে সনতনী পদ্ধতিতে কবর খুঁড়ে কুল পাচ্ছেন না তারা। তাই আশ্রয় নিতে হচ্ছে এমন মাটিকাটা যন্ত্রের। আগে প্রতিদিন যে কয়টি কবর খুঁড়তে হতো তার চেয়ে এখন ৪০ থেকে ৫০টি কবর বেশি খুঁড়তে হচ্ছে।

এদিকে কবরস্থানে প্রতিদিনই বাড়ছে স্বজন হারানো মানুষের আর্তনাদ। কবরের টালি খাতায় স্বজনদের নামের তালিকা বেড়েই চলেছে। অনেকে প্রিয় স্বজনের শেষ বিদায় উপস্থিত না থাকতে পারার অপরাধবোধ আর গোপন কষ্ট প্রকাশ করছেন স্বজনের কবরের কাছে এসে।

সময় পরিক্রমায় হয় তো স্বজনের কবরের পাশে লাগানো নাম ফলকটিও চলে যাবে। একই কবরে ঠাঁই হবে অন্য কোনো মানুষের লাশ। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর স্মৃতি থেকে যাবে বেঁচে যাওয়া স্বজনদের হৃদয়ে। একদিন হয়তো এই মহামারি চলে যাবে। কিন্তু চলে যাওয়া স্বজনদের শূন্যতা কাঁদাবে আজীন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল, কবর খুঁড়তে আধুনিক যন্ত্র

আপডেট টাইম : ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ শুধু হাসপাতাল নয়, করোনার কারণে চাপ বেড়েছে কবরস্থানেও। কবর খুঁড়ে কুল পাচ্ছেন না কবরস্থানের কর্মীরা। চাপ সামলাতে তাই চলছে মেশিন দিয়ে কবর খোঁড়ার কাজ।

দীর্ঘদিন ধরে কবরস্থানে গোর খোদকের কাজ করা কর্মীরা বলছেন, এমন মৃত্যুর র্দীঘ মিছিল তারা কখনই দেখেননি। রাজধানীর রায়েরবাজারের কবরস্থানে দেখা মেলে এমন চিত্রের। সনাতন পদ্ধতিতে কবর খুঁড়ে আর কুলোচ্ছিলো না গোর খোদকদের। তাই তো আনতে হয়েছে আধুনিক মাটিকাটা যন্ত্র। যা দিয়ে অল্প সময়ে অনেক কবর খুঁড়তে পারছেন তারা।

কবরস্থানে প্রবেশ করলে দেখা যাবে সারি সারি নতুন কবর খুঁড়ে রাখা হয়েছে। দেখে মনে হবে যেন যুদ্ধবিদ্ধস্ত কোনো দেশের চিত্র। করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর মিছিলে প্রতিদিন যোগ হচ্ছেন বহু মানুষ। গোর খোদকদের কাছে এ যেন নীরব যুদ্ধের সৈনিক হিসেবে লড়াই করে যাওয়া। যুদ্ধের মাঠে পরাজিত মানুষদের মাটি দেয়াই তাদের কাজ।

রায়ের বাজারের গোর খোদকরা বলছেন, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মৃত্যু বেড়েছে বহুগুণ। প্রতিদিন যে পরিমাণ মরদেহ আসছে, তাতে আর শাবল-কোদাল দিয়ে সনতনী পদ্ধতিতে কবর খুঁড়ে কুল পাচ্ছেন না তারা। তাই আশ্রয় নিতে হচ্ছে এমন মাটিকাটা যন্ত্রের। আগে প্রতিদিন যে কয়টি কবর খুঁড়তে হতো তার চেয়ে এখন ৪০ থেকে ৫০টি কবর বেশি খুঁড়তে হচ্ছে।

এদিকে কবরস্থানে প্রতিদিনই বাড়ছে স্বজন হারানো মানুষের আর্তনাদ। কবরের টালি খাতায় স্বজনদের নামের তালিকা বেড়েই চলেছে। অনেকে প্রিয় স্বজনের শেষ বিদায় উপস্থিত না থাকতে পারার অপরাধবোধ আর গোপন কষ্ট প্রকাশ করছেন স্বজনের কবরের কাছে এসে।

সময় পরিক্রমায় হয় তো স্বজনের কবরের পাশে লাগানো নাম ফলকটিও চলে যাবে। একই কবরে ঠাঁই হবে অন্য কোনো মানুষের লাশ। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর স্মৃতি থেকে যাবে বেঁচে যাওয়া স্বজনদের হৃদয়ে। একদিন হয়তো এই মহামারি চলে যাবে। কিন্তু চলে যাওয়া স্বজনদের শূন্যতা কাঁদাবে আজীন।