বাঙালি কণ্ঠ ডেস্কঃ রাজধানীর পাইকারি বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে তিন টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে সব ধরনের চালের। বস্তাপ্রতি আড়াইশ’ টাকা পর্যন্ত কমেছে চিনির দাম। এদিকে, কেজিতে দুই টাকা পর্যন্ত বেড়েছে আটা-ময়দার দাম। বেড়েছে পেঁয়াজের দামও। তবে, ডাল- খোলা সয়াবিনসহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দামই রয়েছে কমতির দিকে।
সরবরাহ বাড়ায় কয়েক সপ্তাহ ধরেই কমছে চালের দাম। বাজার ঘুরে দেখা গেল, এক সপ্তাহ আগে যে মানের মোটা চাল বিক্রি হতো ৪২-৪৩ টাকায়, বস্তাপ্রতি দেড়শ’ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে সেই মানের চাল। আমদানি করা চালের প্রভাবে কেজিতে দুই টাকা পর্যন্ত কমেছে মিনিকেট, নাজিরশাইল, ব্রি-২৮ সহ অন্যান্য চালের দাম। তবে, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও কৌশলী হওয়ার কথা বলছেন পাইকাররা।
চলতি সপ্তাহে আবারও কমেছে চিনির দাম। কেজিতে পাঁচ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি হচ্ছে এই নিত্যপণ্য। আগের দামেই দেশি ডাল ৯৪ থেকে ৯৫ টাকায়, খোলা সয়াবিন ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বস্তাপ্রতি ১শ’ থেকে দেড়শ’ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে আটা-ময়দা।
মসলা জাতীয় পণ্যের বাজারে আদার দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে দেশি বিদেশি পেঁয়াজের দাম। তবে, চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা কমেছে রসুনের দাম।
এদিকে, এলাচ, লবঙ্গ গোলমরিচের দাম ওঠানামা না করলেও জিরার দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা।