ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের আধিপত্য বাড়ছে

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের আধিপত্য বাড়ছে। ২০২২ সালে তৈরি পোশাক মার্কেটের ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ বাংলাদেশের দখলে ছিল, আগের বছর যা ছিল ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এই সময়ে বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। সম্প্রতি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী ৫৭৬ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক বিক্রি হয়েছে। বরাবরের মতো এই বিশাল মার্কেটের সিংহভাগ চীনের দখলে। আলোচ্য সময়ে চীন ১৮২ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা মোট বাজারের ৩১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। অবশ্য ২০২১ সালের তুলনায় চীনের মার্কেট শেয়ার কমেছে।
অন্যদিকে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের হিস্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশের মার্কেট শেয়ার ছিল ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ, ২০২১ সালে ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আর্থিক বিবেচনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪৫ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩২ দশমিক ৬০ শতাংশ। বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। তবে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে তৃতীয় অবস্থানে থাকা প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম। ভিয়েতনামের মার্কেট শেয়ার ৬ দশমিক ১২ শতাংশ।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, শীর্ষ ৮ পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলো হচ্ছে- চীন, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, তুরস্ক, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চতুর্থ স্থানে থাকা তুরস্ক ২০ বিলিয়ন ডলার, ভারত ১৭ বিলিয়ন ডলার, ইন্দোনেশিয়া ১০ বিলিয়ন ডলার, কম্বোডিয়া ৯ বিলিয়ন ডলার এবং আমেরিকা ৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছে।

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, সরকারের নীতি সহায়তার কারণে গত এক দশকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকায় রপ্তানিতে অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। বিশেষত করোনাকালীন সরকারে নীতি সহায়তা ক্ষতি মোকাবিলায় ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। অবশ্য চলতি বছর আমেরিকা ও ইউরোপে পোশাক রপ্তানি আশঙ্কাজনকভাবে কমতে শুরু করেছে। বাংলাদেশেও গত কয়েক মাসে পোশাক রপ্তানিতে মন্দা চলছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের আধিপত্য বাড়ছে

আপডেট টাইম : ০৭:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের আধিপত্য বাড়ছে। ২০২২ সালে তৈরি পোশাক মার্কেটের ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ বাংলাদেশের দখলে ছিল, আগের বছর যা ছিল ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এই সময়ে বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। সম্প্রতি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী ৫৭৬ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক বিক্রি হয়েছে। বরাবরের মতো এই বিশাল মার্কেটের সিংহভাগ চীনের দখলে। আলোচ্য সময়ে চীন ১৮২ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা মোট বাজারের ৩১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। অবশ্য ২০২১ সালের তুলনায় চীনের মার্কেট শেয়ার কমেছে।
অন্যদিকে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের হিস্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশের মার্কেট শেয়ার ছিল ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ, ২০২১ সালে ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আর্থিক বিবেচনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪৫ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩২ দশমিক ৬০ শতাংশ। বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। তবে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে তৃতীয় অবস্থানে থাকা প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম। ভিয়েতনামের মার্কেট শেয়ার ৬ দশমিক ১২ শতাংশ।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, শীর্ষ ৮ পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলো হচ্ছে- চীন, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, তুরস্ক, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চতুর্থ স্থানে থাকা তুরস্ক ২০ বিলিয়ন ডলার, ভারত ১৭ বিলিয়ন ডলার, ইন্দোনেশিয়া ১০ বিলিয়ন ডলার, কম্বোডিয়া ৯ বিলিয়ন ডলার এবং আমেরিকা ৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছে।

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, সরকারের নীতি সহায়তার কারণে গত এক দশকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকায় রপ্তানিতে অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। বিশেষত করোনাকালীন সরকারে নীতি সহায়তা ক্ষতি মোকাবিলায় ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। অবশ্য চলতি বছর আমেরিকা ও ইউরোপে পোশাক রপ্তানি আশঙ্কাজনকভাবে কমতে শুরু করেছে। বাংলাদেশেও গত কয়েক মাসে পোশাক রপ্তানিতে মন্দা চলছে।