ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোববার এক মিনিট নীরব থাকবে ঢাকা

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ শব্দদূষণ রোধে আগামী ১৫ অক্টোবর (রোববার) ঢাকা মহানগরে ‘১ মিনিট শব্দহীন’ কর্মসূচি পালন করবে সরকার। ‘শব্দদূষণ বন্ধ করি, নীরব মিনিট পালন করি’ স্লোগান সামনে রেখে ওই দিন সকাল ১০টা থেকে ১০টা ১ মিনিট পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এসব কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সচিব জানান, সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। শব্দসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শব্দদূষণ বন্ধ করি, নীরব মিনিট পালন করি স্লোগানে ঢাকা শহরে আগামী ১৫ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে ১০টা ১ মিনিট পর্যন্ত এক মিনিট শব্দহীন কর্মসূচি পালন করা হবে।

এ কর্মসূচি সফল করতে ঢাকা শহরের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থান যথা: সচিবালয়ের পাশে ওসমানী মিলনায়তনের সামনে, শাহবাগ মোড়, উত্তরা, বিদ্যাসরণি মোড় মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর, গাবতলী, মগবাজার, মহাখালী, গুলশান-১, কমলাপুর বৌদ্ধমন্দির ও যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় ১৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত এ মন্ত্রণালয়ের অধীন দফতর/সংস্থার কর্মকর্তা বা কর্মচারী, স্কুল- কলেজের স্কাউট সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তা বা কর্মচারী, ট্রাফিক পুলিশ ও পরিবহন মালিক সমিতির সদস্যরা ব্যানার, ফেস্টুনসহ উপস্থিত থেকে মানববন্ধন করবেন।

এ সময় তারা গাড়ি চালকদের মধ্যে শব্দসচেতনতামূলক লিফলেট, স্টিকার বিতরণ করবেন এবং ওই সময় এক মিনিট হর্ন বাজানো থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাবেন।

পরিবেশ সচিব আরও বলেন, শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। অতিমাত্রায় শব্দদূষণের কারণে কানে কম শোনা, আংশিক বা পুরোপুরি বধিরতা, হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা, মনঃসংযোগ নষ্টসহ বিভিন্ন মানসিক সমস্যা, গর্ভবতী মায়েদের অকাল গর্ভপাত, গর্ভস্থ বাচ্চা বধির বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর জন্ম হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। শব্দদূষণের ফলে দেশের মানবসম্পদ তথা সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির (জিডিপি) ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেশবাসীকে মুক্ত রাখার জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবহনচালক, কারখানা ও নির্মাণশ্রমিক, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, ইমাম, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

রোববার এক মিনিট নীরব থাকবে ঢাকা

আপডেট টাইম : ১২:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ শব্দদূষণ রোধে আগামী ১৫ অক্টোবর (রোববার) ঢাকা মহানগরে ‘১ মিনিট শব্দহীন’ কর্মসূচি পালন করবে সরকার। ‘শব্দদূষণ বন্ধ করি, নীরব মিনিট পালন করি’ স্লোগান সামনে রেখে ওই দিন সকাল ১০টা থেকে ১০টা ১ মিনিট পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এসব কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সচিব জানান, সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। শব্দসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শব্দদূষণ বন্ধ করি, নীরব মিনিট পালন করি স্লোগানে ঢাকা শহরে আগামী ১৫ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে ১০টা ১ মিনিট পর্যন্ত এক মিনিট শব্দহীন কর্মসূচি পালন করা হবে।

এ কর্মসূচি সফল করতে ঢাকা শহরের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থান যথা: সচিবালয়ের পাশে ওসমানী মিলনায়তনের সামনে, শাহবাগ মোড়, উত্তরা, বিদ্যাসরণি মোড় মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর, গাবতলী, মগবাজার, মহাখালী, গুলশান-১, কমলাপুর বৌদ্ধমন্দির ও যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় ১৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত এ মন্ত্রণালয়ের অধীন দফতর/সংস্থার কর্মকর্তা বা কর্মচারী, স্কুল- কলেজের স্কাউট সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তা বা কর্মচারী, ট্রাফিক পুলিশ ও পরিবহন মালিক সমিতির সদস্যরা ব্যানার, ফেস্টুনসহ উপস্থিত থেকে মানববন্ধন করবেন।

এ সময় তারা গাড়ি চালকদের মধ্যে শব্দসচেতনতামূলক লিফলেট, স্টিকার বিতরণ করবেন এবং ওই সময় এক মিনিট হর্ন বাজানো থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাবেন।

পরিবেশ সচিব আরও বলেন, শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। অতিমাত্রায় শব্দদূষণের কারণে কানে কম শোনা, আংশিক বা পুরোপুরি বধিরতা, হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা, মনঃসংযোগ নষ্টসহ বিভিন্ন মানসিক সমস্যা, গর্ভবতী মায়েদের অকাল গর্ভপাত, গর্ভস্থ বাচ্চা বধির বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর জন্ম হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। শব্দদূষণের ফলে দেশের মানবসম্পদ তথা সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির (জিডিপি) ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেশবাসীকে মুক্ত রাখার জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবহনচালক, কারখানা ও নির্মাণশ্রমিক, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, ইমাম, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।