ঢাকা , বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ রাতে বরফ শীত, দিনে রৌদ্রোজ্জ্বল

পঞ্চগড়ে রাত যেন বরফের মতো ঠান্ডা। তাপমাত্রা নেমে আসছে জিরোর কাছাকাছি। অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তীব্র শীতে গত ৫দিন ধরে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ডের মধ্য দিয়ে উত্তরের হিমাঞ্চল জেলা পঞ্চগড়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) একই সময়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকেই ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় উত্তরের এ জেলায় অব্যাহত রয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঝকঝকে রোদ নিয়ে জেগে উঠেছে ভোরের সূর্য। গ্রামগুলোতে খড়কুটো, টায়ার জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করতে দেখা যায়। তবে বেলা বাড়তে থাকলে কেটে যায় কনকনে শীতের প্রভাব।

কথা হয় পাথর শ্রমিক আতিকুল, জুয়েল ও আরিসের সাথে। তারা বলেন, সবচেয়ে শীত মনে হয় রাতের গভীর থেকে সকাল পর্যন্ত। সকাল ৯টা পর্যন্ত কনকনে শীতের প্রভাব থাকে। এ সময়টায় নদীতে পাথর তুলতে গেলে নদীর পানিও বরফ থাকে। কাজ করতে খুবই অসুবিধা।

জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, আজ মঙ্গলবারও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে। আজ ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তবে কুয়াশা নেই, ভোরেই দেখা মিলছে সূর্য। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ রাতে বরফ শীত, দিনে রৌদ্রোজ্জ্বল

আপডেট টাইম : ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

পঞ্চগড়ে রাত যেন বরফের মতো ঠান্ডা। তাপমাত্রা নেমে আসছে জিরোর কাছাকাছি। অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তীব্র শীতে গত ৫দিন ধরে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ডের মধ্য দিয়ে উত্তরের হিমাঞ্চল জেলা পঞ্চগড়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) একই সময়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকেই ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় উত্তরের এ জেলায় অব্যাহত রয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঝকঝকে রোদ নিয়ে জেগে উঠেছে ভোরের সূর্য। গ্রামগুলোতে খড়কুটো, টায়ার জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করতে দেখা যায়। তবে বেলা বাড়তে থাকলে কেটে যায় কনকনে শীতের প্রভাব।

কথা হয় পাথর শ্রমিক আতিকুল, জুয়েল ও আরিসের সাথে। তারা বলেন, সবচেয়ে শীত মনে হয় রাতের গভীর থেকে সকাল পর্যন্ত। সকাল ৯টা পর্যন্ত কনকনে শীতের প্রভাব থাকে। এ সময়টায় নদীতে পাথর তুলতে গেলে নদীর পানিও বরফ থাকে। কাজ করতে খুবই অসুবিধা।

জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, আজ মঙ্গলবারও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে। আজ ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তবে কুয়াশা নেই, ভোরেই দেখা মিলছে সূর্য। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।