ঢাকা , সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্ঘটনার হটস্পট হয়ে উঠছে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে

দুর্ঘটনার হটস্পট হয়ে উঠছে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে। প্রায়ই এ পথে দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রাণ যাচ্ছে মানুষের। ক্ষতি হচ্ছে যানবাহনের। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় সিরাজদিখানের নিমতলা এলাকায় মাওয়ামুখী লেনে কাভার্ড ভ্যানের পেছনে যাত্রীবাহী মিনিবাসের ধাক্কায় দুজন নিহত হন। পৃথক ঘটনায় গতকাল শুক্রবার ভোরে এক্সপ্রেসওয়ের হাসাড়া এলাকায় ঢাকামুখী লেনে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন আরও দুজন। পৃথক এই দুর্ঘটনায় আরও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। গত ২৭ ডিসেম্বর এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বাসের চাপায় নারী ও শিশুসহ দুই পরিবারের ৬ জন নিহত ও ৪ জন গুরুতর আহত হন। গত ডিসেম্বর ও এ মাসে মোট ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এই সড়কে।

এদিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে ওঠায় যাত্রীদের মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। প্রশস্ত সড়ক, ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, ইন্টারচেঞ্জ, ধীরগতির গাড়ির জন্য আলাদা সার্ভিস সড়ক থাকা সত্ত্বেও কেন ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে দুর্ঘটনার হটস্পট হয়ে উঠছে, তার কারণ খুঁজে ব্যবস্থা নেওয়ার এবং দুর্ঘটনা রোধে জোরালো আইন প্রয়োগের দাবি তাদের। হাইওয়ে পুলিশসহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বেপরোয়া গতি বা ওভারস্পিড, ওভারটেকিং এবং যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের কারণেই ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা ঘটছে। বলা হচ্ছে, ঘন কুয়াশাও সাম্প্রতিক কিছু দুর্ঘটনার কারণ।

সড়ক সংশ্লিষ্ট সূত্র ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যে দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে, এর পেছনে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে। এ ছাড়া বিপুল খরচের মাধ্যমে নির্মাণ করা মহাসড়কটির সাইন-সংকেত ব্যবস্থাও আধুনিক নয়, গতানুগতিক। ঘন কুয়াশার কারণে একটি যানবাহন দুর্ঘটনায় পড়লে পেছন থেকে একের পর এক যানবাহন এসে ধাক্কা দেয়। একে ‘পাইল আপ’ বলে। এ জন্য দৃষ্টিসীমা একেবারে কমে গেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়।

হাইওয়ে পুলিশের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে মুন্সীগঞ্জ অংশে মোট ৪৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত হন অর্ধশতাধিক মানুষ। আহত হন শতাধিক। দুমড়ে-মুচড়ে গেছে অন্তত ৫০টি যানবাহন। তবে ফায়ার সার্ভিসের হিসাবে এই সড়কে গত বছর দুর্ঘটনার সংখ্যা ৬৪।

মূল এক্সপ্রেসওয়েতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার ও পাশের সার্ভিস সড়কে ৪০ কিলোমিটার গতিতে যান চালানোর নির্দেশনা রয়েছে। তবে নির্ধারিত গতি উপেক্ষা করছে অধিকাংশ যানবাহন। মহাসড়কে টহলরত হাইওয়ে পুলিশের স্পিডগানে দেখা যায়Ñ কোনোটি ১০০, কোনোটি ১১০ কিলোমিটার ঘণ্টায় গাড়ি চালাচ্ছে। মোটরসাইকেল আরও বেশি বেপরোয়া।

হাইওয়ে পুলিশ বলছে, ঘন কুয়াশার মাঝেও চালকদের বেপরোয়া গতিতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে একমুখী রাস্তায় থেমে থাকা যানবাহনকে পেছন থেকে ধাক্কা দিচ্ছে দ্রুতগতির বাস-ট্রাক। তবে চালকদের দাবি, ঘন কুয়াশায় মহাসড়কে নেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, এ ছাড়া যত্রতত্র যানবাহন থামিয়ে রাখার কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্ঘটনার সংখ্যা।

স্থানীয় বাসিন্দা মহসিন জানায়, প্রায় দুর্ঘটনার পর দেখা যায় গাড়ির ফিটনেস নেই, চালকের লাইসেন্স নেই। এগুলো তো আগে দেখার কথা। এগুলো আগে দেখা হলে সচেতনতা বৃদ্ধি পেত, দুর্ঘটনাও ঘটত না।

এদিকে হুমায়ুন আহমেদ নামে একজন বাসচালক বলেন, বেশি দুর্ঘটনা ঘটে এ রুটে যারা নতুন আসে তাদের গাড়ি। অনেকে ঘুরতে এসে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। মোটরসাইকেল চালায় আরও নিয়ন্ত্রণহীনভাবে। তাদের বাঁচাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ি। আর গাড়িঘোড়ার তো টুকটাক সমস্যা থাকেই। তা ছাড়া ঘন কুয়াশার মধ্যে পথ দেখা যায় না। হঠাৎ একটা গাড়ি থামিয়ে রাখলে এই দুর্ঘটনাটা ঘটে। আমাদের করার কিছু থাকে না। আমরা তো ইচ্ছা করে দুর্ঘটনা ঘটাই না।

শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশায় ফগ লাইট না জ্বালানো, ট্রাফিক আইন না মেনে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, চালকদের গাফিলতি, ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে গাড়ি চালানো, আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতা, যত্রতত্র গাড়ি থামানো এবং ত্রুটিযুক্ত গাড়ি রাস্তায় বের করার কারণে ঘটেছে দুর্ঘটনা। এসব ঘটনা রাতের আঁধারে, ঘন কুয়াশা এবং বৃষ্টির মধ্যে বেশি হয়েছে। ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালানো, চালকদের বাস্তবসম্মত প্রশিক্ষিত করা ও যাত্রীরা সচেতন হলেই এই দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা যখন রেসকিউ করতে যাই তখন দেখি গাড়িগুলো একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। অনেক সময় যন্ত্রের মাধ্যমে কেটে হতাহতদের বের করতে হয়। গতির কারণেই এমন দুর্ঘটনা। ঘন কুয়াশায় নিয়ন্ত্রিতভাবে গাড়ি চালাতে হবে, সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ওভারটেকিং করা বা ওভার লোড গাড়ি চালানো যাবে না।

মুন্সীগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন, চালকদের দৃষ্টিসীমা দেখা যাচ্ছে না বলে সে ক্ষেত্রে আমরা অনেক সময় টোল প্লাজার আগে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখি। গাড়ি এসে যেন দুর্ঘটনায় না পড়ে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আমাদের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।

পুলিশের টহলদারি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাসাড়া থানার ওসি আবদুল কাদের জিলানী বলেন, প্রতিদিন রাতে দুটি গাড়ি দিয়ে ধলেশ্বরীর টোল প্লাজা থেকে শুরু করে মাওয়া এলাকার প্রায় ২৯.২ কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছেন তারা। সে সময় চালকদের বারবার ট্রাফিক আইন মেনে এবং কম গতিতে গাড়ি চালাতে বলা হচ্ছে। তাদের সামনে কম গতিতে গাড়ি চালালেও তাদের থেকে দূরে গিয়ে আবার বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছেন চালকরা। এর ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

দুর্ঘটনার হটস্পট হয়ে উঠছে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে

আপডেট টাইম : ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

দুর্ঘটনার হটস্পট হয়ে উঠছে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে। প্রায়ই এ পথে দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রাণ যাচ্ছে মানুষের। ক্ষতি হচ্ছে যানবাহনের। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় সিরাজদিখানের নিমতলা এলাকায় মাওয়ামুখী লেনে কাভার্ড ভ্যানের পেছনে যাত্রীবাহী মিনিবাসের ধাক্কায় দুজন নিহত হন। পৃথক ঘটনায় গতকাল শুক্রবার ভোরে এক্সপ্রেসওয়ের হাসাড়া এলাকায় ঢাকামুখী লেনে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন আরও দুজন। পৃথক এই দুর্ঘটনায় আরও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। গত ২৭ ডিসেম্বর এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বাসের চাপায় নারী ও শিশুসহ দুই পরিবারের ৬ জন নিহত ও ৪ জন গুরুতর আহত হন। গত ডিসেম্বর ও এ মাসে মোট ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এই সড়কে।

এদিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে ওঠায় যাত্রীদের মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। প্রশস্ত সড়ক, ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, ইন্টারচেঞ্জ, ধীরগতির গাড়ির জন্য আলাদা সার্ভিস সড়ক থাকা সত্ত্বেও কেন ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে দুর্ঘটনার হটস্পট হয়ে উঠছে, তার কারণ খুঁজে ব্যবস্থা নেওয়ার এবং দুর্ঘটনা রোধে জোরালো আইন প্রয়োগের দাবি তাদের। হাইওয়ে পুলিশসহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বেপরোয়া গতি বা ওভারস্পিড, ওভারটেকিং এবং যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের কারণেই ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা ঘটছে। বলা হচ্ছে, ঘন কুয়াশাও সাম্প্রতিক কিছু দুর্ঘটনার কারণ।

সড়ক সংশ্লিষ্ট সূত্র ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যে দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে, এর পেছনে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে। এ ছাড়া বিপুল খরচের মাধ্যমে নির্মাণ করা মহাসড়কটির সাইন-সংকেত ব্যবস্থাও আধুনিক নয়, গতানুগতিক। ঘন কুয়াশার কারণে একটি যানবাহন দুর্ঘটনায় পড়লে পেছন থেকে একের পর এক যানবাহন এসে ধাক্কা দেয়। একে ‘পাইল আপ’ বলে। এ জন্য দৃষ্টিসীমা একেবারে কমে গেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়।

হাইওয়ে পুলিশের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে মুন্সীগঞ্জ অংশে মোট ৪৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত হন অর্ধশতাধিক মানুষ। আহত হন শতাধিক। দুমড়ে-মুচড়ে গেছে অন্তত ৫০টি যানবাহন। তবে ফায়ার সার্ভিসের হিসাবে এই সড়কে গত বছর দুর্ঘটনার সংখ্যা ৬৪।

মূল এক্সপ্রেসওয়েতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার ও পাশের সার্ভিস সড়কে ৪০ কিলোমিটার গতিতে যান চালানোর নির্দেশনা রয়েছে। তবে নির্ধারিত গতি উপেক্ষা করছে অধিকাংশ যানবাহন। মহাসড়কে টহলরত হাইওয়ে পুলিশের স্পিডগানে দেখা যায়Ñ কোনোটি ১০০, কোনোটি ১১০ কিলোমিটার ঘণ্টায় গাড়ি চালাচ্ছে। মোটরসাইকেল আরও বেশি বেপরোয়া।

হাইওয়ে পুলিশ বলছে, ঘন কুয়াশার মাঝেও চালকদের বেপরোয়া গতিতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে একমুখী রাস্তায় থেমে থাকা যানবাহনকে পেছন থেকে ধাক্কা দিচ্ছে দ্রুতগতির বাস-ট্রাক। তবে চালকদের দাবি, ঘন কুয়াশায় মহাসড়কে নেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, এ ছাড়া যত্রতত্র যানবাহন থামিয়ে রাখার কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্ঘটনার সংখ্যা।

স্থানীয় বাসিন্দা মহসিন জানায়, প্রায় দুর্ঘটনার পর দেখা যায় গাড়ির ফিটনেস নেই, চালকের লাইসেন্স নেই। এগুলো তো আগে দেখার কথা। এগুলো আগে দেখা হলে সচেতনতা বৃদ্ধি পেত, দুর্ঘটনাও ঘটত না।

এদিকে হুমায়ুন আহমেদ নামে একজন বাসচালক বলেন, বেশি দুর্ঘটনা ঘটে এ রুটে যারা নতুন আসে তাদের গাড়ি। অনেকে ঘুরতে এসে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। মোটরসাইকেল চালায় আরও নিয়ন্ত্রণহীনভাবে। তাদের বাঁচাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ি। আর গাড়িঘোড়ার তো টুকটাক সমস্যা থাকেই। তা ছাড়া ঘন কুয়াশার মধ্যে পথ দেখা যায় না। হঠাৎ একটা গাড়ি থামিয়ে রাখলে এই দুর্ঘটনাটা ঘটে। আমাদের করার কিছু থাকে না। আমরা তো ইচ্ছা করে দুর্ঘটনা ঘটাই না।

শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশায় ফগ লাইট না জ্বালানো, ট্রাফিক আইন না মেনে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, চালকদের গাফিলতি, ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে গাড়ি চালানো, আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতা, যত্রতত্র গাড়ি থামানো এবং ত্রুটিযুক্ত গাড়ি রাস্তায় বের করার কারণে ঘটেছে দুর্ঘটনা। এসব ঘটনা রাতের আঁধারে, ঘন কুয়াশা এবং বৃষ্টির মধ্যে বেশি হয়েছে। ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালানো, চালকদের বাস্তবসম্মত প্রশিক্ষিত করা ও যাত্রীরা সচেতন হলেই এই দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা যখন রেসকিউ করতে যাই তখন দেখি গাড়িগুলো একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। অনেক সময় যন্ত্রের মাধ্যমে কেটে হতাহতদের বের করতে হয়। গতির কারণেই এমন দুর্ঘটনা। ঘন কুয়াশায় নিয়ন্ত্রিতভাবে গাড়ি চালাতে হবে, সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ওভারটেকিং করা বা ওভার লোড গাড়ি চালানো যাবে না।

মুন্সীগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন, চালকদের দৃষ্টিসীমা দেখা যাচ্ছে না বলে সে ক্ষেত্রে আমরা অনেক সময় টোল প্লাজার আগে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখি। গাড়ি এসে যেন দুর্ঘটনায় না পড়ে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আমাদের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।

পুলিশের টহলদারি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাসাড়া থানার ওসি আবদুল কাদের জিলানী বলেন, প্রতিদিন রাতে দুটি গাড়ি দিয়ে ধলেশ্বরীর টোল প্লাজা থেকে শুরু করে মাওয়া এলাকার প্রায় ২৯.২ কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছেন তারা। সে সময় চালকদের বারবার ট্রাফিক আইন মেনে এবং কম গতিতে গাড়ি চালাতে বলা হচ্ছে। তাদের সামনে কম গতিতে গাড়ি চালালেও তাদের থেকে দূরে গিয়ে আবার বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছেন চালকরা। এর ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে।