বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘ভিসা হয়েছে এমন হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পাঠাতে হজ এজেন্সিগুলোকেই দায়িত্ব নিতে হবে।’
সোমবার রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রধান কার্যালয় বলাকায় হজসংক্রান্ত জরুরি সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘স্বাচ্ছন্দে ও নির্বিঘ্নে হজ পালনের ব্যবস্থা করতে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। কারো গাফিলতি, অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও অসহযোগিতায় এ কার্যক্রম বিঘ্নিত হলে তা বরদাশত করা হবে না, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এখনো প্রায় ১৫ হাজার হজযাত্রীর ভিসার জন্য পাসপোর্ট হজ অফিসে জমা হয়নি। ১৬টি এজেন্সি এখনো একজন হজযাত্রীকেও পাঠাতে পারেনি। অন্যদিকে অভিযোগ এসেছে, অনেক হজ এজেন্সি হাজিদের বাড়িভাড়া করেছে ২০ আগস্টের পর। এটি সত্যি হলে ২০ আগস্টের পর যে চাপ তৈরি হবে তা সামাল দিতে প্রয়োজনীয় এয়ারক্রাফট পাওয়া যেমন দুষ্কর হবে তেমনি অতিরিক্ত স্লটও পাওয়া যাবে না। তাই বিপর্যয় এড়াতে ভিসা হয়েছে এমন হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পাঠাতে হজ এজেন্সিগুলোকে দায়িত্ব নিতে হবে।’
হজযাত্রীর অভাবে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিমানের ২২টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, এ তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ফ্লাইট বাতিল হওয়া বিমানকে আর্থিক ক্ষতি ও ভাবমূর্তি সংকটের মুখোমুখি করেছে। এর দায় বিমানের ছিল না। তবুও ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ ক্যারিয়ার হিসেবে হজযাত্রীদের পরিবহন নিশ্চিত করতে বিমান প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এজন্য হজ ফ্লাইটের সময়সীমা ২৬ আগস্ট থেকে বাড়িয়ে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত করতে ‘জেনারেল অথরিটি অব সিভিল এভিয়েশন, সৌদি আরবের প্রতি অনুরোধপত্র পাঠানো হবে।’
মন্ত্রী জানান, নতুন পাওয়া ১৪টি স্লটের অতিরিক্ত আরো সাতটি স্লট পরিচালনা করতে আগস্ট থেকে বাংলাদেশ বিমানের আবুধাবির দুটি, ব্যাংককের তিনটি, দোহার পাঁচটি, দুবাইর একটি, কাঠমান্ডুর দুটি, কুয়ালালামপুরের একটি, লন্ডনের তিনটি, মাস্কাটের একটি, রিয়াদের তিনটি এবং দাম্মামের দুটি ফ্লাইট বাতিল অথবা কমিয়ে আনা হবে।
এ ছাড়া মালয়েশিয়া থেকে লিজ নেওয়া একটি এয়ারক্রাফট ২০ আগস্ট থেকে হজ পরিবহন করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
সভায় জানানো হয়, এ বছর বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত ১ লাখ ২৭ হজার ১৯৮ জনের মধ্যে ৬২ হাজার ৫৪৭ জন হজযাত্রী ইতিমধ্যে সৌদি আরবে গেছেন। এর মধ্যে বিমান ২৯ হাজার ৩৭৩ জন এবং সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস (সৌদিয়া) ৩৩ হাজার ১৩৫ জন হজযাত্রী বহন করেছে।
সভায় বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক, বিমান বোর্ডের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত এযার মার্শাল এনামুল বারী, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম জিয়াউল হক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এমডি মোসাদ্দেক আহমেদ, হজ ক্যাম্পের পরিচালক সাইফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।