ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ সেই ভয়াল ও বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আজ সোমবার, সেই ভয়াল ও বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট। ২০০৪ সালের এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসবিরোধী আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই জনসভায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে এ হামলা চালানো হয়।

ওই হামলায় নিহত হন দলটির মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভী রহমানসহ (প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী) ২৪ জন। আর অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান বঙ্গবন্ধুকন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেদিনের হামলায় আহত হওয়া পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীর অনেকেই গ্রেনেডের স্পি­ন্টারের দুর্বিষহ যন্ত্রণা নিয়েই ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। হাত-পা, চোখসহ দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারিয়ে অসংখ্য নেতাকর্মী পঙ্গু হয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছেন। ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ হানিফও মাথায় বিঁধে থাকা স্পি­ন্টারের যন্ত্রণা নিয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান।

বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকাকালে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ভয়াল ও বীভৎস এই হামলা। হামলার পর তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ‘জজ মিয়া’ নাটক সাজিয়ে ঘটনাটিকে ভিন্নদিকে নেয়ার অপতৎপরতা চালায়।

তবে দ্বিতীয় দফায় অধিকতর তদন্তে বেরিয়ে আসে হামলার নেপথ্যের নীলনকশা। দ্বিতীয় দফায় চার্জ গঠন হয়েছে। কিন্তু এতদিনেও শেষ হয়নি এ মামলার বিচার কাজ। এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে ওই ঘটনার মূল কুশীলবদের ১৮ জন।

এ ব্যাপারে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিনেও বিচার শেষ না হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। এর অন্যতম হল- তদন্তকালে ‘জজ মিয়া’ নাটক সাজিয়ে এ মামলাটি বিপথে নেয়ার চেষ্টা হয়েছিল।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

আজ সেই ভয়াল ও বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট

আপডেট টাইম : ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আজ সোমবার, সেই ভয়াল ও বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট। ২০০৪ সালের এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসবিরোধী আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই জনসভায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে এ হামলা চালানো হয়।

ওই হামলায় নিহত হন দলটির মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভী রহমানসহ (প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী) ২৪ জন। আর অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান বঙ্গবন্ধুকন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেদিনের হামলায় আহত হওয়া পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীর অনেকেই গ্রেনেডের স্পি­ন্টারের দুর্বিষহ যন্ত্রণা নিয়েই ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। হাত-পা, চোখসহ দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারিয়ে অসংখ্য নেতাকর্মী পঙ্গু হয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছেন। ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ হানিফও মাথায় বিঁধে থাকা স্পি­ন্টারের যন্ত্রণা নিয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান।

বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকাকালে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ভয়াল ও বীভৎস এই হামলা। হামলার পর তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ‘জজ মিয়া’ নাটক সাজিয়ে ঘটনাটিকে ভিন্নদিকে নেয়ার অপতৎপরতা চালায়।

তবে দ্বিতীয় দফায় অধিকতর তদন্তে বেরিয়ে আসে হামলার নেপথ্যের নীলনকশা। দ্বিতীয় দফায় চার্জ গঠন হয়েছে। কিন্তু এতদিনেও শেষ হয়নি এ মামলার বিচার কাজ। এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে ওই ঘটনার মূল কুশীলবদের ১৮ জন।

এ ব্যাপারে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিনেও বিচার শেষ না হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। এর অন্যতম হল- তদন্তকালে ‘জজ মিয়া’ নাটক সাজিয়ে এ মামলাটি বিপথে নেয়ার চেষ্টা হয়েছিল।