ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ-মিয়ানমার বৈঠক রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনো অগ্রগতি নেই

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তেমন কোনো অগ্রগতি ছাড়াই বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক শেষ হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের অবিলম্বে ফিরিয়ে নেয়া এবং রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। তবে এসব বিষয়ে মিয়ানমার পক্ষ সুস্পষ্ট কোনো আশ্বাস দেয়নি। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক। অপরদিকে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ওই দেশের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে।

গত বছরের আগস্টের পর প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আগে থেকেই তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ছিল। ফলে সব মিলিয়ে ১০ লাখ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে আশ্রিত আছে। তাদের ফেরত পাঠাতে গত বছরের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তি সই হয়। চুক্তির আলোকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়নে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে গঠিত হয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ।

ঢাকায় বৃহস্পতিবার হওয়া এবারের বৈঠক ছিল যৌথ ওয়ার্কিং গ্র“পের দ্বিতীয় বৈঠক। গত ১৬ নভেম্বর মিয়ানমারের প্রশাসনিক রাজধানী নেপিদোতে প্রথম বৈঠক হয়। তারপর বাংলাদেশ আট হাজার ৩২ জন রোহিঙ্গার একটি তালিকা মিয়ানমারকে দিয়েছে। মিয়ানমার তাদের মধ্যে ৮৭৮ জনের পরিচয় যাচাই করে ফেরত নেয়ার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি। প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম যুগান্তরকে বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্র এখনও প্রস্তুত নয়।

যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমার সরকারও সে দেশ থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফিরিয়ে নিতে চায়। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুততর করার বিষয়ে দু’পক্ষই একমত।

তাহলে সমস্যা কোথায়? জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসলে প্রত্যাবাসনের সঙ্গে সব ধরনের সমস্যাই উঠে আসে। আজ সব দিক নিয়েই আলোচনা হয়েছে। বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’ বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে মিন্ট থোয়ে বলেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় যে চুক্তি হয়েছে, সে অনুযায়ী তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রত্যাবাসনের জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। সে বিষয়টিও বৈঠকে এসেছে।

গত বছর ২৫ আগস্ট রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরুর পর সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা। তাদের কক্সবাজারের কয়েকটি কেন্দ্রে আশ্রয় দিয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় জরুরি মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে বাংলাদেশ সরকার।

বাংলাদেশের দেয়া তালিকা যাচাই করার প্রক্রিয়া নিয়ে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান শহীদুল হক। তিনি বলেন, ‘উনাদের ওখানে কী প্রস্তুতি নিয়েছে, আরও কী কী নেয়ার বিষয় আছে এবং আমাদের তরফ থেকে কী প্রস্তুতি নিয়েছি- আমরা সব বিষয়ে আলাপ করেছি।’

বাংলাদেশের দেয়া আট হাজার রোহিঙ্গার ওই তালিকার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা, সেখানে বাংলাদেশের কোনো ভুল ছিল কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘আমরাও তালিকা ভুল দিইনি, আর উনারাও (মিয়ানমার) ভুল করেননি। এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, আস্তে আস্তে উনারা ভেরিফাই করে দেখেবেন উনাদের তালিকার সঙ্গে এবং এভাবেই প্রত্যাবাসন কাজ এগিয়ে যায়। দুই পক্ষের টেকনিক্যাল দল এ বিষয়ে কাজ করছে।’

দুই পক্ষের মধ্যে সব বিষয়েই খোলামেলা আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শহীদুল হক বলেন, ‘আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে। আমি এটুক শুধু বলতে পারি, আলোচনায় সব দিক উঠে এসেছে।’ প্রত্যাবাসন কেন বিলম্বিত হচ্ছে? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি আপনাদের (সাংবাদিক) সামনে বলতে চাচ্ছি না। যে কারণগুলো আছে সেগুলো আমরা দেখছি এবং জানেন যে, প্রত্যাবাসন সব সময় জটিল ও দুরূহ ব্যাপার। কিন্তু এটা (প্রত্যাবাসন) যে হওয়া প্রয়োজন, সে ব্যাপারে কোনো পক্ষের দ্বিমত নাই।’

প্রত্যাবাসন দ্রুততর করতে যে সমস্যাগুলো রয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে সেগুলোর মীমাংসা করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। আরেক প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের পরবর্তী বৈঠকের তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফেরার ‘অনুকূল পরিবেশ তৈরি’ হলে তাদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার জন্য এপ্রিলে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সঙ্গেও একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশ।

ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে থাকা শরণার্থীরা যাতে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং সম্মানের সঙ্গে নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারে এবং এ প্রত্যাবাসন যাতে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করে হয়, তা নিশ্চিত করতেই একটি ‘ফ্রেমওয়ার্ক’ রয়েছে ওই সমঝোতা স্মারকে। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। সে কারণে তারা নানা অজুহাতে প্রক্রিয়াকে ধীর ও বিলম্বিত করছে। ২০০৫ সালের পর থেকে কোনো রোহিঙ্গাকেই ফেরত নেয়নি মিয়ানমার। আন্তর্জাতিক চাপ ছাড়া এবারও নেবে না বলেই তারা মনে করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশ-মিয়ানমার বৈঠক রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনো অগ্রগতি নেই

আপডেট টাইম : ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ মে ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তেমন কোনো অগ্রগতি ছাড়াই বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক শেষ হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের অবিলম্বে ফিরিয়ে নেয়া এবং রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। তবে এসব বিষয়ে মিয়ানমার পক্ষ সুস্পষ্ট কোনো আশ্বাস দেয়নি। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক। অপরদিকে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ওই দেশের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে।

গত বছরের আগস্টের পর প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আগে থেকেই তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ছিল। ফলে সব মিলিয়ে ১০ লাখ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে আশ্রিত আছে। তাদের ফেরত পাঠাতে গত বছরের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তি সই হয়। চুক্তির আলোকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়নে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে গঠিত হয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ।

ঢাকায় বৃহস্পতিবার হওয়া এবারের বৈঠক ছিল যৌথ ওয়ার্কিং গ্র“পের দ্বিতীয় বৈঠক। গত ১৬ নভেম্বর মিয়ানমারের প্রশাসনিক রাজধানী নেপিদোতে প্রথম বৈঠক হয়। তারপর বাংলাদেশ আট হাজার ৩২ জন রোহিঙ্গার একটি তালিকা মিয়ানমারকে দিয়েছে। মিয়ানমার তাদের মধ্যে ৮৭৮ জনের পরিচয় যাচাই করে ফেরত নেয়ার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি। প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম যুগান্তরকে বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্র এখনও প্রস্তুত নয়।

যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমার সরকারও সে দেশ থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফিরিয়ে নিতে চায়। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুততর করার বিষয়ে দু’পক্ষই একমত।

তাহলে সমস্যা কোথায়? জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসলে প্রত্যাবাসনের সঙ্গে সব ধরনের সমস্যাই উঠে আসে। আজ সব দিক নিয়েই আলোচনা হয়েছে। বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’ বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে মিন্ট থোয়ে বলেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় যে চুক্তি হয়েছে, সে অনুযায়ী তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রত্যাবাসনের জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। সে বিষয়টিও বৈঠকে এসেছে।

গত বছর ২৫ আগস্ট রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরুর পর সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা। তাদের কক্সবাজারের কয়েকটি কেন্দ্রে আশ্রয় দিয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় জরুরি মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে বাংলাদেশ সরকার।

বাংলাদেশের দেয়া তালিকা যাচাই করার প্রক্রিয়া নিয়ে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান শহীদুল হক। তিনি বলেন, ‘উনাদের ওখানে কী প্রস্তুতি নিয়েছে, আরও কী কী নেয়ার বিষয় আছে এবং আমাদের তরফ থেকে কী প্রস্তুতি নিয়েছি- আমরা সব বিষয়ে আলাপ করেছি।’

বাংলাদেশের দেয়া আট হাজার রোহিঙ্গার ওই তালিকার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা, সেখানে বাংলাদেশের কোনো ভুল ছিল কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘আমরাও তালিকা ভুল দিইনি, আর উনারাও (মিয়ানমার) ভুল করেননি। এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, আস্তে আস্তে উনারা ভেরিফাই করে দেখেবেন উনাদের তালিকার সঙ্গে এবং এভাবেই প্রত্যাবাসন কাজ এগিয়ে যায়। দুই পক্ষের টেকনিক্যাল দল এ বিষয়ে কাজ করছে।’

দুই পক্ষের মধ্যে সব বিষয়েই খোলামেলা আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শহীদুল হক বলেন, ‘আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে। আমি এটুক শুধু বলতে পারি, আলোচনায় সব দিক উঠে এসেছে।’ প্রত্যাবাসন কেন বিলম্বিত হচ্ছে? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি আপনাদের (সাংবাদিক) সামনে বলতে চাচ্ছি না। যে কারণগুলো আছে সেগুলো আমরা দেখছি এবং জানেন যে, প্রত্যাবাসন সব সময় জটিল ও দুরূহ ব্যাপার। কিন্তু এটা (প্রত্যাবাসন) যে হওয়া প্রয়োজন, সে ব্যাপারে কোনো পক্ষের দ্বিমত নাই।’

প্রত্যাবাসন দ্রুততর করতে যে সমস্যাগুলো রয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে সেগুলোর মীমাংসা করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। আরেক প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের পরবর্তী বৈঠকের তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফেরার ‘অনুকূল পরিবেশ তৈরি’ হলে তাদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার জন্য এপ্রিলে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সঙ্গেও একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশ।

ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে থাকা শরণার্থীরা যাতে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং সম্মানের সঙ্গে নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারে এবং এ প্রত্যাবাসন যাতে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করে হয়, তা নিশ্চিত করতেই একটি ‘ফ্রেমওয়ার্ক’ রয়েছে ওই সমঝোতা স্মারকে। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। সে কারণে তারা নানা অজুহাতে প্রক্রিয়াকে ধীর ও বিলম্বিত করছে। ২০০৫ সালের পর থেকে কোনো রোহিঙ্গাকেই ফেরত নেয়নি মিয়ানমার। আন্তর্জাতিক চাপ ছাড়া এবারও নেবে না বলেই তারা মনে করেন।