বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মাতৃত্বকালে মৃত্যুহার কমাতে সরকারিভাবে যেসব কর্মসূচী রয়েছে তার যথার্থভাবে হচ্ছে কী না, এর মনিটরিং খুবই জরুরী। আজ নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস।
এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘কমাতে হলে মাতৃমৃত্যু হার, মিডওয়াইফ পাশে থাকা একান্ত দরকার।’ মাতৃস্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও মাতৃমৃত্যু রোধকল্পে ১৯৯৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবছর ২৮ মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালনের ঘোষণা দেন। সে থেকে দিবসটি গুরুত্বের সাথে পালিত হয়ে আসছে। আজ সারাদেশেই দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এ কথা স্বীকার্য যে মাতৃত্বকালীণ মৃত্যুহার এখন আগের চেয়ে অনেক কমেছে। এখন প্রশিক্ষিত ধাত্রীর সংখ্যাও বেড়েছে। অবশ্য সন্তান প্রসবকালীণ মায়েদের নিয়ে এক ধরণের ক্লিনিক ব্যবসা শুরু হয়েছে, এ ব্যাপারে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেওয়া খুবই জরুরী।
নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
প্রদত্ত বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যুহার কমানোর জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা, প্রসবপূর্ব, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী মানসম্মত সেবা এবং প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বর্তমানে সারাদেশে ১৩ হাজার ৫০০টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য, পরিবারকল্যাণ ও পুষ্টিসেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য হারে প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ তৈরির শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’
প্রদত্ত বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। এজন্য প্রতি ৬ হাজার জনগণের জন্য ১টি করে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মা ও শিশুর মানসম্মত সেবাদানে ইউনিয়ন সাব-সেন্টার ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে আরো নিয়োগ দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘উন্নতমানের মাতৃ ও নবজাতকের সেবা প্রদানের জন্য প্রয়োজন আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ, উন্নতমানের সেবা, জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের অঙ্গীকার। এ লক্ষ্যে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের অধীনে মিডওয়াইফারি কোর্সসহ ওয়েব বেইজড মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নার্সিং ইনস্টিটিউট ও নার্সিং কলেজের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
মিডওয়াইফগণ নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত এবং মাতৃমৃত্যু হার হ্রাসের মাধ্যমে একটি সুস্থ জাতি গঠনে ভূমিকা পালন করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।