ঢাকা , শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় স্বার্থে যে কোনো দল থেকে ডাক পেলে বিকল্পধারা অবশ্যই সাড়া দেবে

জঙ্গিবাদের সঙ্কট মোকাবেলায় সবাই মিলে জাতীয় কৌশল গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন,

জঙ্গিবাদের সঙ্কট মোকাবেলায় সবাই মিলে জাতীয় কৌশল গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় স্বার্থে যে কোনো দল থেকে ডাক পেলে বিকল্পধারা অবশ্যই সাড়া দেবে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের উত্থানে জাতীয় সঙ্কট অবস্থায় পড়েছে। এমন সঙ্কটে রাজনৈতিক দোষারোপের উর্ধ্বে উঠতে হবে। শুধু দলীয় ব্যক্তি নয়, সমস্ত জনগণের কাছে যেতে হবে। সবাই মিলে এ ব্যাপারে জাতীয় কৌশল গ্রহণ করতে হবে।
বি. চৌধুরী বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ হচ্ছে সরকার। সরকার কয়েকটি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে। কিন্তু জঙ্গিদের বড় নেতাদের জীবিত না পাওয়া পর্যন্ত তাদের মূল পরিকল্পনা উদ্ঘাটন করা কঠিন হবে। সরকার রাজনৈতিক বিরোধী দলকে ঐক্য প্রক্রিয়ায় শরিক করতে রাজি নয়। সরকারকে বুঝতে হবে দেশের ভোটারদের একটি বড় অংশের মানুষ এখনও বিরোধী দলের পাশে আছে। তাদের বাদ দিয়ে ঐক্য প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে কি না এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, বিষয়টি সরকারের পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
বি. চৌধুরী বলেন, বিরোধী দলগুলোর যেভাবে জনগণের কাছে যাওয়া উচিত ছিল, তা এখনও করতে পারেনি। সরকারও বিরোধী দলের শক্তিকে রাজনৈতিক কৌশলের মাধ্যমে এ সঙ্কটে আরও কাজে লাগাতে পারত। তিনি সরকারকে দ্রুত এবং দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ঐক্যের আহ্বানের পর কোনো আলোচনা বা বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব পেয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বি. চৌধুরী বলেন, তারা এ ধরনের কোনো প্রস্তাব পাননি। ড. কামাল হোসেনের ঐক্য প্রক্রিয়া সম্পর্কেও তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। আরেক প্রশ্নের জবাবে বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নান বলেন, জাতীয় স্বার্থে কোনো দল থেকে ডাক পেলে তারা অবশ্যই সাড়া দেবেন। যে কোনো দল বা ব্যক্তির সঙ্গে যে কোনো সময় আলোচনার জন্য তারা প্রস্তুত আছেন।

। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের উত্থানে জাতীয় সঙ্কট অবস্থায় পড়েছে। এমন সঙ্কটে রাজনৈতিক দোষারোপের উর্ধ্বে উঠতে হবে। শুধু দলীয় ব্যক্তি নয়, সমস্ত জনগণের কাছে যেতে হবে। সবাই মিলে এ ব্যাপারে জাতীয় কৌশল গ্রহণ করতে হবে।

 

বি. চৌধুরী বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ হচ্ছে সরকার। সরকার কয়েকটি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে। কিন্তু জঙ্গিদের বড় নেতাদের জীবিত না পাওয়া পর্যন্ত তাদের মূল পরিকল্পনা উদ্ঘাটন করা কঠিন হবে। সরকার রাজনৈতিক বিরোধী দলকে ঐক্য প্রক্রিয়ায় শরিক করতে রাজি নয়। সরকারকে বুঝতে হবে দেশের ভোটারদের একটি বড় অংশের মানুষ এখনও বিরোধী দলের পাশে আছে। তাদের বাদ দিয়ে ঐক্য প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে কি না এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, বিষয়টি সরকারের পুনর্বিবেচনা করা উচিত।

 

বি. চৌধুরী বলেন, বিরোধী দলগুলোর যেভাবে জনগণের কাছে যাওয়া উচিত ছিল, তা এখনও করতে পারেনি। সরকারও বিরোধী দলের শক্তিকে রাজনৈতিক কৌশলের মাধ্যমে এ সঙ্কটে আরও কাজে লাগাতে পারত। তিনি সরকারকে দ্রুত এবং দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

 

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ঐক্যের আহ্বানের পর কোনো আলোচনা বা বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব পেয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বি. চৌধুরী বলেন, তারা এ ধরনের কোনো প্রস্তাব পাননি। ড. কামাল হোসেনের ঐক্য প্রক্রিয়া সম্পর্কেও তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। আরেক প্রশ্নের জবাবে বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নান বলেন, জাতীয় স্বার্থে কোনো দল থেকে ডাক পেলে তারা অবশ্যই সাড়া দেবেন। যে কোনো দল বা ব্যক্তির সঙ্গে যে কোনো সময় আলোচনার জন্য তারা প্রস্তুত আছেন।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জাতীয় স্বার্থে যে কোনো দল থেকে ডাক পেলে বিকল্পধারা অবশ্যই সাড়া দেবে

আপডেট টাইম : ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬
জঙ্গিবাদের সঙ্কট মোকাবেলায় সবাই মিলে জাতীয় কৌশল গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন,

জঙ্গিবাদের সঙ্কট মোকাবেলায় সবাই মিলে জাতীয় কৌশল গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় স্বার্থে যে কোনো দল থেকে ডাক পেলে বিকল্পধারা অবশ্যই সাড়া দেবে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের উত্থানে জাতীয় সঙ্কট অবস্থায় পড়েছে। এমন সঙ্কটে রাজনৈতিক দোষারোপের উর্ধ্বে উঠতে হবে। শুধু দলীয় ব্যক্তি নয়, সমস্ত জনগণের কাছে যেতে হবে। সবাই মিলে এ ব্যাপারে জাতীয় কৌশল গ্রহণ করতে হবে।
বি. চৌধুরী বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ হচ্ছে সরকার। সরকার কয়েকটি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে। কিন্তু জঙ্গিদের বড় নেতাদের জীবিত না পাওয়া পর্যন্ত তাদের মূল পরিকল্পনা উদ্ঘাটন করা কঠিন হবে। সরকার রাজনৈতিক বিরোধী দলকে ঐক্য প্রক্রিয়ায় শরিক করতে রাজি নয়। সরকারকে বুঝতে হবে দেশের ভোটারদের একটি বড় অংশের মানুষ এখনও বিরোধী দলের পাশে আছে। তাদের বাদ দিয়ে ঐক্য প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে কি না এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, বিষয়টি সরকারের পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
বি. চৌধুরী বলেন, বিরোধী দলগুলোর যেভাবে জনগণের কাছে যাওয়া উচিত ছিল, তা এখনও করতে পারেনি। সরকারও বিরোধী দলের শক্তিকে রাজনৈতিক কৌশলের মাধ্যমে এ সঙ্কটে আরও কাজে লাগাতে পারত। তিনি সরকারকে দ্রুত এবং দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ঐক্যের আহ্বানের পর কোনো আলোচনা বা বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব পেয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বি. চৌধুরী বলেন, তারা এ ধরনের কোনো প্রস্তাব পাননি। ড. কামাল হোসেনের ঐক্য প্রক্রিয়া সম্পর্কেও তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। আরেক প্রশ্নের জবাবে বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নান বলেন, জাতীয় স্বার্থে কোনো দল থেকে ডাক পেলে তারা অবশ্যই সাড়া দেবেন। যে কোনো দল বা ব্যক্তির সঙ্গে যে কোনো সময় আলোচনার জন্য তারা প্রস্তুত আছেন।

। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের উত্থানে জাতীয় সঙ্কট অবস্থায় পড়েছে। এমন সঙ্কটে রাজনৈতিক দোষারোপের উর্ধ্বে উঠতে হবে। শুধু দলীয় ব্যক্তি নয়, সমস্ত জনগণের কাছে যেতে হবে। সবাই মিলে এ ব্যাপারে জাতীয় কৌশল গ্রহণ করতে হবে।

 

বি. চৌধুরী বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ হচ্ছে সরকার। সরকার কয়েকটি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে। কিন্তু জঙ্গিদের বড় নেতাদের জীবিত না পাওয়া পর্যন্ত তাদের মূল পরিকল্পনা উদ্ঘাটন করা কঠিন হবে। সরকার রাজনৈতিক বিরোধী দলকে ঐক্য প্রক্রিয়ায় শরিক করতে রাজি নয়। সরকারকে বুঝতে হবে দেশের ভোটারদের একটি বড় অংশের মানুষ এখনও বিরোধী দলের পাশে আছে। তাদের বাদ দিয়ে ঐক্য প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে কি না এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, বিষয়টি সরকারের পুনর্বিবেচনা করা উচিত।

 

বি. চৌধুরী বলেন, বিরোধী দলগুলোর যেভাবে জনগণের কাছে যাওয়া উচিত ছিল, তা এখনও করতে পারেনি। সরকারও বিরোধী দলের শক্তিকে রাজনৈতিক কৌশলের মাধ্যমে এ সঙ্কটে আরও কাজে লাগাতে পারত। তিনি সরকারকে দ্রুত এবং দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

 

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ঐক্যের আহ্বানের পর কোনো আলোচনা বা বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব পেয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বি. চৌধুরী বলেন, তারা এ ধরনের কোনো প্রস্তাব পাননি। ড. কামাল হোসেনের ঐক্য প্রক্রিয়া সম্পর্কেও তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। আরেক প্রশ্নের জবাবে বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নান বলেন, জাতীয় স্বার্থে কোনো দল থেকে ডাক পেলে তারা অবশ্যই সাড়া দেবেন। যে কোনো দল বা ব্যক্তির সঙ্গে যে কোনো সময় আলোচনার জন্য তারা প্রস্তুত আছেন।