ঢাকা , সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি তিনজনকে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেতে যাচ্ছেন তিন সচিব। তাঁরা হলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের এস এম গোলাম ফারুক, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই তিনজনকে সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি দেয়ার জন্য সারসংক্ষেপ তৈরি করা হয়েছে। সারসংক্ষেপে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সায় পাওয়া গেলে তাদেরকে সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পদস্থ এক কর্মকর্তা সাংবাদিককে বলেন, তিন সচিবকে সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। যেকোন সময় প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

২০১২ সালে ‘সিনিয়র সচিব’ নামে নতুন পদ সৃষ্টি করে সরকার। অষ্টম বেতন স্কেলে সচিবদের মূল বেতন ৭৮ হাজার টাকা নির্ধারিত থাকলেও সিনিয়র সচিবদের মূল বেতন ধরা হয়েছে ৮২ হাজার টাকা। সিনিয়র সচিবদের চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বেশি বেতন পান। তাদের নির্ধারিত মূল বেতন ৮৬ হাজার টাকা।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব এস এম গোলাম ফারুক ১৯৬০ সালের ১ জুন শরীয়তপুর জেলার জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ হতে ১৯৮১ ও ১৯৮২ সালে য্থাক্রমে বি এস এস (অনার্স) ও এম এস এস ডিগ্রি অর্জন করেন। জনাব ফারুক ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারে যোগদান করেন।

চাকরিতে যোগদানের পর থেকে তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হতে পেশাগত প্রশিক্ষণ লাভ করেন। গৃহীত প্রশিক্ষণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: সিভিল অফিসার্স ট্রেনিং একাডেমির অধীন আইন ও প্রশাসন কোর্স, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধীন বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ, উচ্চতর প্রশাসন ও উন্নয়ন কোর্স, সিনিয়র স্টাফ কোর্স  এবং সিভিল সার্ভিস কলেজ সিঙ্গাপুরের অধীন ম্যানেজিং এট দ্য টপ (ম্যাট) কোর্স।

যুক্তরাজ্যের ব্রাডফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ইনস্টিটিউট, চীনের ন্যাশনাল স্কুল অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন কোর্সে সফলতার সাথে অংশ নেন গোলাম ফারুক।

কর্মজীবনে মাঠ প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে জনাব এস এম গোলাম ফারুক দায়িত্ব পালন করেন। গত ১৬ এপ্রিল তিনি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব হিসেবে যোগদান করেন। এ পদে যোগদানের পূর্বে তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সরকারের সচিব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

যুগ্মসচিব হিসেবে শিল্প ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন ফারুক। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিচালকসহ সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাঠ প্রশাসনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট  হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ফয়জুর রহমান চৌধুরী ১৯৫৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর তারিখে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮২ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে তৎকালীন বৃহত্তর কুমিল্লা জেলায় চাকরিতে যোগ দেন।

কর্মজীবনে উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, উপসচিব, যুগ্মসচিব ও সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৪ সালের ২২ জুলাই তারিখে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব হিসেবে যোগদান করেন।

ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। তাঁর সহধর্মিনী নাছিমা বেগম বর্তমানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জিল্লার রহমান ১৩ অক্টোবর ২০১৬ থেকে এই মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি তিনজনকে

আপডেট টাইম : ১১:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অগাস্ট ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেতে যাচ্ছেন তিন সচিব। তাঁরা হলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের এস এম গোলাম ফারুক, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই তিনজনকে সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি দেয়ার জন্য সারসংক্ষেপ তৈরি করা হয়েছে। সারসংক্ষেপে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সায় পাওয়া গেলে তাদেরকে সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পদস্থ এক কর্মকর্তা সাংবাদিককে বলেন, তিন সচিবকে সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। যেকোন সময় প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

২০১২ সালে ‘সিনিয়র সচিব’ নামে নতুন পদ সৃষ্টি করে সরকার। অষ্টম বেতন স্কেলে সচিবদের মূল বেতন ৭৮ হাজার টাকা নির্ধারিত থাকলেও সিনিয়র সচিবদের মূল বেতন ধরা হয়েছে ৮২ হাজার টাকা। সিনিয়র সচিবদের চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বেশি বেতন পান। তাদের নির্ধারিত মূল বেতন ৮৬ হাজার টাকা।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব এস এম গোলাম ফারুক ১৯৬০ সালের ১ জুন শরীয়তপুর জেলার জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ হতে ১৯৮১ ও ১৯৮২ সালে য্থাক্রমে বি এস এস (অনার্স) ও এম এস এস ডিগ্রি অর্জন করেন। জনাব ফারুক ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারে যোগদান করেন।

চাকরিতে যোগদানের পর থেকে তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হতে পেশাগত প্রশিক্ষণ লাভ করেন। গৃহীত প্রশিক্ষণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: সিভিল অফিসার্স ট্রেনিং একাডেমির অধীন আইন ও প্রশাসন কোর্স, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধীন বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ, উচ্চতর প্রশাসন ও উন্নয়ন কোর্স, সিনিয়র স্টাফ কোর্স  এবং সিভিল সার্ভিস কলেজ সিঙ্গাপুরের অধীন ম্যানেজিং এট দ্য টপ (ম্যাট) কোর্স।

যুক্তরাজ্যের ব্রাডফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ইনস্টিটিউট, চীনের ন্যাশনাল স্কুল অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন কোর্সে সফলতার সাথে অংশ নেন গোলাম ফারুক।

কর্মজীবনে মাঠ প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে জনাব এস এম গোলাম ফারুক দায়িত্ব পালন করেন। গত ১৬ এপ্রিল তিনি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব হিসেবে যোগদান করেন। এ পদে যোগদানের পূর্বে তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সরকারের সচিব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

যুগ্মসচিব হিসেবে শিল্প ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন ফারুক। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিচালকসহ সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাঠ প্রশাসনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট  হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ফয়জুর রহমান চৌধুরী ১৯৫৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর তারিখে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮২ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে তৎকালীন বৃহত্তর কুমিল্লা জেলায় চাকরিতে যোগ দেন।

কর্মজীবনে উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, উপসচিব, যুগ্মসচিব ও সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৪ সালের ২২ জুলাই তারিখে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব হিসেবে যোগদান করেন।

ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। তাঁর সহধর্মিনী নাছিমা বেগম বর্তমানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জিল্লার রহমান ১৩ অক্টোবর ২০১৬ থেকে এই মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।