ঢাকা , সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কম দামে বিক্রি হচ্ছে গুরুর চামড়া

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চলছে চামড়া কেনাবেচা। বড় পাইকারি বাজার লালবাগ, সায়েন্সল্যাবে কাঁচা চামড়া বেচাকেনার ধুম পড়েছে।

তবে চামড়ার দাম অনেক কম বলে মৌসুমি  ব্যবসায়ীরা বলছিলেন। পশু জবাই হওয়ায় ঈদের দ্বিতীয় দিন আজও চামড়া আসবে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাক কিংবা ভ্যানে ভরে চামড়া আনছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এখানে চামড়া ৯০০-১ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এর থেকে কম দামেও চামড়া বিক্রি হচ্ছে। আর সায়েন্সল্যাবেও একই অবস্থা বলে মৌসুমি ব্যবসায়ী ফরহাদ জানান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘অনেক আশা করে ব্যবসায় এসেছি। কিন্তু এখন যে দাম দেওয়া হচ্ছে তাতে অনেক লোকসান গুণতে হচ্ছে।’ তিনি ৭৫টি চামড়া এখানে বিক্রি করেন।

পুরান ঢাকা ব্যবসায়ী হাসেম মিয়া বলেন, ‘সরকার যে দাম দিয়েছে এখানে সে দাম পাচ্ছি না। পাইকাররা কম দাম বলছে। আবার চামড়া রাখাও যায় না। একটি চামড়া সর্বনিম্ন ৫০০ টাকায়ও বিক্রি করতে হয়েছে।’

পাইকাররা জানান, সরকারি নির্ধারিত দামেই তারা চামড়া কিনছেন। অনেক সময় বেশি দামও দেওয়া হচ্ছে। সরকার যে দাম দিয়েছে সে দামেই চামড়া কেনা হচ্ছে বলে সায়েন্সল্যাবের পাইকার জয়নাল আবেদিন বলছিলেন।

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলেন, এবার চামড়া সংরক্ষণে কোনো সমস্যা হবে না। যে চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে, তা লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। সব মিলিয়ে ২০ কোটি ফুট চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর প্রতি বর্গফুট কাঁচা চামড়ার দাম ধরা হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা জানান, চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা সোয়া এক কোটি। বুধবার রাতেই অনেক কাঁচা চামড়া এসেছে। যা সারা বছরের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

কম দামে বিক্রি হচ্ছে গুরুর চামড়া

আপডেট টাইম : ০২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চলছে চামড়া কেনাবেচা। বড় পাইকারি বাজার লালবাগ, সায়েন্সল্যাবে কাঁচা চামড়া বেচাকেনার ধুম পড়েছে।

তবে চামড়ার দাম অনেক কম বলে মৌসুমি  ব্যবসায়ীরা বলছিলেন। পশু জবাই হওয়ায় ঈদের দ্বিতীয় দিন আজও চামড়া আসবে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাক কিংবা ভ্যানে ভরে চামড়া আনছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এখানে চামড়া ৯০০-১ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এর থেকে কম দামেও চামড়া বিক্রি হচ্ছে। আর সায়েন্সল্যাবেও একই অবস্থা বলে মৌসুমি ব্যবসায়ী ফরহাদ জানান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘অনেক আশা করে ব্যবসায় এসেছি। কিন্তু এখন যে দাম দেওয়া হচ্ছে তাতে অনেক লোকসান গুণতে হচ্ছে।’ তিনি ৭৫টি চামড়া এখানে বিক্রি করেন।

পুরান ঢাকা ব্যবসায়ী হাসেম মিয়া বলেন, ‘সরকার যে দাম দিয়েছে এখানে সে দাম পাচ্ছি না। পাইকাররা কম দাম বলছে। আবার চামড়া রাখাও যায় না। একটি চামড়া সর্বনিম্ন ৫০০ টাকায়ও বিক্রি করতে হয়েছে।’

পাইকাররা জানান, সরকারি নির্ধারিত দামেই তারা চামড়া কিনছেন। অনেক সময় বেশি দামও দেওয়া হচ্ছে। সরকার যে দাম দিয়েছে সে দামেই চামড়া কেনা হচ্ছে বলে সায়েন্সল্যাবের পাইকার জয়নাল আবেদিন বলছিলেন।

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলেন, এবার চামড়া সংরক্ষণে কোনো সমস্যা হবে না। যে চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে, তা লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। সব মিলিয়ে ২০ কোটি ফুট চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর প্রতি বর্গফুট কাঁচা চামড়ার দাম ধরা হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা জানান, চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা সোয়া এক কোটি। বুধবার রাতেই অনেক কাঁচা চামড়া এসেছে। যা সারা বছরের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।