বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ অবশেষে বাদ পড়া নাগরিকদের হাতে লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তুলে দিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ২০১২ সালের পর যেসব নাগরিক ভোটার হয়েছেন তাদের হাতে ১ সেপ্টেম্বর থেকে এনআইডি তুলে দেওয়া হবে। ওইদিন গোপালগঞ্জ ও পটুয়াখালীসহ ৮টি জেলায় এনআইডি বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৮টি জেলায় এ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। অক্টোবরের মধ্যে সব জেলার সব উপজেলায় কার্ড পৌঁছে দেওয়া হবে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে বাদ পড়া সব নাগরিকের হাতে এগুলো পৌঁছে দিতে কাজ করছে কমিশন। আর এসব কার্ড নিজ নিজ উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
ইসি সূত্র জানায়, বর্তমানে নাগরিকের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে স্মার্টকার্ড। ২০১২ সালের পর থেকে যারা ভোটার হয়েছেন তাদেরকে বছরের পর বছর জাতীয় পরিচয়পত্র না পাওয়ায় ব্যাংক একাউন্ট খোলা, মোবাইল ফোনের সিম রেজিস্ট্রেশনসহ নানা সুবিধা পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তাই এসব নাগরিকের হাত প্রাথমিকভাবে লেমিনেটেড কার্ড তুলে দিয়ে এ সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনা নেয় কমিশন।
সূত্র আরো জানায়, নতুন এসব ভোটারদের জন্য একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিলামের মাধ্যমে চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী ৯৩ লাখ লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময় মতো তা না দিতে পারা এবং কার্ড মানসম্মত না হওয়ায় তা গ্রহণ না করার জন্য সুপারিশ করে ইসির এ সংক্রান্ত কমিটি। পরবর্তীতে তাদের আগের কার্ড বাতিল করে গত মাসে নতুন করতে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকেই দায়িত্ব দেয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে এর আগে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, যেসব নাগরিককে এখনই স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া যায়নি তাদেরকে আপাতত: লেমিনেটেড কার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, দেশের ৯ কোটির বেশি মানুষের হাতে স্মার্ট বা লেমিনেটেড কার্ড রয়েছে। বর্তমানে ভোটার সংখ্যা কমবেশি ১০ কোটি ৪০ লাখ। এ হিসেবে কোটিও বেশি নাগরিকের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র নেই।
জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৯৩ লাখ জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করতে স্মার্ট টেকনোলজিস বিডি লিমিটেডকে কার্যাদেশ দেয় ইসি। এতে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৯ কোটি টাকা। গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানকে এসব কার্ড সরবরাহের কথা থাকলেও তা গত মার্চে সরবরাহ করে। যার কারণে আগের কার্ডগুলো বাতিল করে নতুন করে প্রিন্ট করে দিতে বলা হয়।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১০ কোটি ৪০ লাখের উপরে ভোটার রয়েছে। প্রথম থেকে এনআইডি সংশোধন বা হারানো সেবা বিনামূল্যে দেওয়া হলেও ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ফি নেওয়া শুরু করে কমিশন।