বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ঈদের ছুটি শেষ। ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবী মানুষ। তাই বাস ও লঞ্চের মতো ট্রেনেও ঢাকামুখী মানুষের ভিড়। ট্রেনে আসনধারী যাত্রীর পাশাপাশি ভেতরে দাঁড়িয়ে ও ছাদে চড়ে ঢাকায় আসছেন লোকজন। রোববার বেশিরভাগ ট্রেনই নির্দিষ্ট সময়ে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ট্রেনের শিডিউলে বড় কোনো বিপর্যয় হয়নি। রোববার বিকেল পর্যন্ত ৪০টি ট্রেনে এসেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৬৮টি ট্রেন ঢাকায় আসবে এবং ৬৭টি ট্রেন ঢাকা ছাড়বে। যাত্রীচাপের কারণে নির্ধারিত গতিতে ট্রেন চলতে পারে না। এ কারণে দু-একটি ট্রেনে দেরি হয়।
কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রতিটি ট্রেনেই যাত্রীদের ভিড়। যে যেভাবে পারছিলেন নামছিলেন। এ সময় নারী ও শিশুদের ট্রেন থেকে নামতে বেশ বেগ পেতে দেখা যায়।
কিশোরগঞ্জ থেকে আসা ওমর ফারুক বলেন, ‘ফিরতি টিকিট পেতে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। এছাড়া, অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে ট্রেনের ভেতরে বসা দায়। অনেকে দাঁড়িয়ে এসেছেন। ব্যাগ ও মালামাল নিয়ে খুব কষ্ট হয়েছে।’
স্টেশনে কথা হয় জামালপুর থেকে আসা জোসনা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঈদ করতে গ্রামে গিয়েছিলাম। ঈদ উদযাপন শেষে জীবিকার জন্য ঢাকায় আসতে হবে, তাই প্রিয়জনদের ছেড়ে বাধ্য হয়ে আসলাম। ট্রেনে ভিড় ছিল।’
স্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার বিকেল পর্যন্ত ৪০টি ট্রেন বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় পৌঁছেছে। এর মধ্যে তিনটি ট্রেন বিলম্বে এসেছে। ধূমকেতু এক্সপ্রেস ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে রাজশাহী থেকে ঢাকায় আসার কথা থাকলেও কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছায় সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে। খুলনা থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে আসার কথা থাকলেও কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছায় সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে। লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা লালমনির ঈদ স্পেশাল ট্রেন দুই ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকায় পৌঁছায়। এছাড়া, জামালপুর এক্সপ্রেসও ১ ঘণ্টা দেরি করে পৌঁছায়।