ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু, হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হচ্ছেন না বাস চালকরা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রাজধানী ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থী আবদুল করিম রাজীব ও দিয়া খানম মিমের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট চালকরা। এ ঘটনায় চলতি সপ্তাহেই ৬ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করবে তদন্তকারী সংস্থা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
আসামিরা হচ্ছেন-জাবালে নুর পরিবহনের ঘাতক বাসের চালক মাসুম বিল্লাহ, তার সহকারী এনায়েত হোসেন, বাসটির মালিক শাহদাত হোসেন, পাল্লা দেয়া অপর বাসের চালক জুবায়ের সুমন, সহকারী আসাদ ও বাস মালিক জাহাঙ্গীর আলম।
তবে তদন্ত সূত্র জানায়, দণ্ডবিধির যে ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে, তার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত না হওয়ায় আসামিরা সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযুক্ত হচ্ছেন না। তাদেরকে ৩০৪, ২৭৯ ও ৩৪ ধারায় অভিযুক্ত করা হতে পারে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মশিউর রহমান বলেন,  মামলাটি তদন্ত কাজ শেষ হয়েছে। আশা করি চলতি সপ্তাহেই চার্জশিট দাখিল করা সম্ভব হবে।
অভিযুক্ত বাস চালকদের সর্বোচ্চ শাস্তির (৩০২ ধারায়) বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্তে ইচ্ছে করে বাস চাপা দেয়ার প্রমাণ মিললেও, ঘটনাটি ‘পূর্বপরিকল্পিত’ ছিল এমন প্রমাণ মেলেনি। ফলে আসামিরা হত্যা মামলার ধারায় অভিযুক্ত হচ্ছেন না।
নিহত মীমের বাবা জাহাঙ্গীর ফকির নিজেও একজন বাসচালক। তিনিও আসামিদের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনায় জড়িত কেউ ছাড় না পায়।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষির সময় নিহত হয় শহীদ রমিজউদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মীম ও আব্দুল করিম রাজীব। আহত হয় আট শিক্ষার্থী। ওই ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভ হয়।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু, হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হচ্ছেন না বাস চালকরা

আপডেট টাইম : ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রাজধানী ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থী আবদুল করিম রাজীব ও দিয়া খানম মিমের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট চালকরা। এ ঘটনায় চলতি সপ্তাহেই ৬ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করবে তদন্তকারী সংস্থা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
আসামিরা হচ্ছেন-জাবালে নুর পরিবহনের ঘাতক বাসের চালক মাসুম বিল্লাহ, তার সহকারী এনায়েত হোসেন, বাসটির মালিক শাহদাত হোসেন, পাল্লা দেয়া অপর বাসের চালক জুবায়ের সুমন, সহকারী আসাদ ও বাস মালিক জাহাঙ্গীর আলম।
তবে তদন্ত সূত্র জানায়, দণ্ডবিধির যে ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে, তার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত না হওয়ায় আসামিরা সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযুক্ত হচ্ছেন না। তাদেরকে ৩০৪, ২৭৯ ও ৩৪ ধারায় অভিযুক্ত করা হতে পারে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মশিউর রহমান বলেন,  মামলাটি তদন্ত কাজ শেষ হয়েছে। আশা করি চলতি সপ্তাহেই চার্জশিট দাখিল করা সম্ভব হবে।
অভিযুক্ত বাস চালকদের সর্বোচ্চ শাস্তির (৩০২ ধারায়) বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্তে ইচ্ছে করে বাস চাপা দেয়ার প্রমাণ মিললেও, ঘটনাটি ‘পূর্বপরিকল্পিত’ ছিল এমন প্রমাণ মেলেনি। ফলে আসামিরা হত্যা মামলার ধারায় অভিযুক্ত হচ্ছেন না।
নিহত মীমের বাবা জাহাঙ্গীর ফকির নিজেও একজন বাসচালক। তিনিও আসামিদের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনায় জড়িত কেউ ছাড় না পায়।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষির সময় নিহত হয় শহীদ রমিজউদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মীম ও আব্দুল করিম রাজীব। আহত হয় আট শিক্ষার্থী। ওই ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভ হয়।