ঢাকা , সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংসদে জেলা পরিষদ বিল উত্থাপন

নির্বাচিত কোনো জনপ্রতিনিধি পদে থেকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। নির্বাচন করার জন্য তাকে পদত্যাগ করতে হবে। আর নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কিংবা সদস্যের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার চার্জশিট গৃহীত হলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পারবে মন্ত্রণালয়।

এমন বিধান রেখে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন-২০১৬’ উত্থাপন করা হয়েছে।

বিকেলে সংসদ অধিবেশন শুরু হলে বিলটি উত্থাপন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বিরোধীদলীয় সদস্য ফখরুল ইমাম বিলটিতে আপত্তি জানালে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে একদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদ হবে ২১ সদস্যের। যার মধ্যে একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও ৫ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য থাকবেন। সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ভোটে তারা নির্বাচিত হবেন।

আয়তন ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে জেলা পরিষদকে ১৫টি ভাগ করা হয়েছে। এক ভাগে একজন করে সদস্য ও প্রতি তিনটি ভাগে একজন করে সদস্য সংরক্ষিত আসন বিবেচনায় নির্বাচিত হবেন।

বিলে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদের নির্বাহী ক্ষমতা থাকবে চেয়ারম্যানের কাছে। তবে তার অনুপস্থিতিতে কাউন্সিলরদের মধ্যে থেকে একজন কিংবা সরকারি কর্মকর্তারাও চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। সরকার গেজেট করে সরকারি কোনো কর্মকর্তাকেও এ দায়িত্ব দিতে পারবে।

গত ২৯ আগস্ট জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। সংসদের চলতি অধিবেশনেই বিলটি পাস হওয়ার কথা রয়েছে। আইন পাসের পর ডিসেম্বর মাসে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে সরকার। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে এ আইনের অধীন নির্বাচনী বিধিমালা তৈরির কাজও শুরু করেছে। দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের সীমানা নির্ধারণের কাজও শেষ হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

সংসদে জেলা পরিষদ বিল উত্থাপন

আপডেট টাইম : ০৫:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০১৬

নির্বাচিত কোনো জনপ্রতিনিধি পদে থেকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। নির্বাচন করার জন্য তাকে পদত্যাগ করতে হবে। আর নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কিংবা সদস্যের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার চার্জশিট গৃহীত হলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পারবে মন্ত্রণালয়।

এমন বিধান রেখে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন-২০১৬’ উত্থাপন করা হয়েছে।

বিকেলে সংসদ অধিবেশন শুরু হলে বিলটি উত্থাপন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বিরোধীদলীয় সদস্য ফখরুল ইমাম বিলটিতে আপত্তি জানালে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে একদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদ হবে ২১ সদস্যের। যার মধ্যে একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও ৫ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য থাকবেন। সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ভোটে তারা নির্বাচিত হবেন।

আয়তন ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে জেলা পরিষদকে ১৫টি ভাগ করা হয়েছে। এক ভাগে একজন করে সদস্য ও প্রতি তিনটি ভাগে একজন করে সদস্য সংরক্ষিত আসন বিবেচনায় নির্বাচিত হবেন।

বিলে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদের নির্বাহী ক্ষমতা থাকবে চেয়ারম্যানের কাছে। তবে তার অনুপস্থিতিতে কাউন্সিলরদের মধ্যে থেকে একজন কিংবা সরকারি কর্মকর্তারাও চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। সরকার গেজেট করে সরকারি কোনো কর্মকর্তাকেও এ দায়িত্ব দিতে পারবে।

গত ২৯ আগস্ট জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। সংসদের চলতি অধিবেশনেই বিলটি পাস হওয়ার কথা রয়েছে। আইন পাসের পর ডিসেম্বর মাসে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে সরকার। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে এ আইনের অধীন নির্বাচনী বিধিমালা তৈরির কাজও শুরু করেছে। দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের সীমানা নির্ধারণের কাজও শেষ হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।