ঢাকা , শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ একটি রোল মডেল : রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সমগ্র বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও দুর্যোগের প্রকোপ এবং মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে দুর্যোগ ঝুঁকিও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
তিনি বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশের গৃহীত কার্যক্রম এবং স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি সারাবিশ্বে এ দেশকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ‘রোল মডেল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
রাষ্ট্রপতি আগামীকাল আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি তথা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ কর্তৃক ‘চ্যাম্পিয়ন অব্ দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর দুর্যোগ প্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত। প্রায়ই মাঝারি থেকে বড় ধরণের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে এ অঞ্চল। সাম্প্রতিক সময়ে বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় একে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্যোগকে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, তবে আগাম বার্তা ও সম্মিলিত উদ্যোগে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি বহুলাংশে হ্রাস করা সম্ভব।
সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গণমাধ্যম, স্থানীয় জনগণসহ সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে সমন্বিতভাবে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসসহ দুর্যোগ প্রশমনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে এ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে হলে কৌশলসমূহ বলতে হবে’। এ প্রতিপাদ্য সময়োপযোগী ও বাস্তবধর্মী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
রাষ্ট্রপতি ‘দুর্যোগ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিকে মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে ১লা জুলাই ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)-কে নতুন আঙ্গিকে প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও সরকার সিপিপি-কে যৌথ কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করে দেশের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে একটি অনন্য মাইলফলক স্থাপন করে। দুর্যোগ প্রশমনে স্থানীয় জনগণের অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ কারণে স্থানীয় জনগণের বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানকে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সাথে সমন্বয় করে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করলে দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।
রাষ্ট্রপতি আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ একটি রোল মডেল : রাষ্ট্রপতি

আপডেট টাইম : ০৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০১৬

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সমগ্র বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও দুর্যোগের প্রকোপ এবং মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে দুর্যোগ ঝুঁকিও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
তিনি বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশের গৃহীত কার্যক্রম এবং স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি সারাবিশ্বে এ দেশকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ‘রোল মডেল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
রাষ্ট্রপতি আগামীকাল আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি তথা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ কর্তৃক ‘চ্যাম্পিয়ন অব্ দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর দুর্যোগ প্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত। প্রায়ই মাঝারি থেকে বড় ধরণের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে এ অঞ্চল। সাম্প্রতিক সময়ে বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় একে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্যোগকে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, তবে আগাম বার্তা ও সম্মিলিত উদ্যোগে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি বহুলাংশে হ্রাস করা সম্ভব।
সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গণমাধ্যম, স্থানীয় জনগণসহ সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে সমন্বিতভাবে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসসহ দুর্যোগ প্রশমনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে এ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে হলে কৌশলসমূহ বলতে হবে’। এ প্রতিপাদ্য সময়োপযোগী ও বাস্তবধর্মী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
রাষ্ট্রপতি ‘দুর্যোগ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিকে মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে ১লা জুলাই ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)-কে নতুন আঙ্গিকে প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও সরকার সিপিপি-কে যৌথ কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করে দেশের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে একটি অনন্য মাইলফলক স্থাপন করে। দুর্যোগ প্রশমনে স্থানীয় জনগণের অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ কারণে স্থানীয় জনগণের বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানকে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সাথে সমন্বয় করে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করলে দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।
রাষ্ট্রপতি আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।