ঢাকা , বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় প্রতিদিন ১৩ ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ

রোহিঙ্গাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধের লক্ষ্যে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে প্রতিদিন ১৩ ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেশের সব মোবাইল অপারেটরদের পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ওই এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কের বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলে জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান।

এর ফলে উল্লেখিত সময়ে ওই এলাকায় টুজি চালু থাকায় ভয়েস কল করা গেলেও ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে না। তবে ভোর ৬টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ওই এলাকায় সব ধরনের মোবাইল সেবা পাওয়া যাবে।

এর আগে সোমবার বিটিআরসির কার্যালয়ে মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক হয়। বৈঠক সূত্র জানায়, বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরদের ওই দুই উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য নতুন সিম বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।

ওই দুই উপজেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে প্রায় ৯ লাখ মোবাইল সিম চালু রয়েছে বলে জানা গেছে। সে সব ক্যাম্পে চালু থাকা সব সিমের ক্রেতার পরিচয় যাচাই করতে বৈঠকে অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি।

এ ছাড়াও মিয়ানমার সীমান্তের ভেতরে চলে যাওয়া বাংলাদেশি মোবাইল টাওয়ারের নেটওয়ার্ক দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি।

২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের এক সমাবেশে তাদের অনেকের হাতে মোবাইল ফোন দেখা গিয়েছিল। বিষয়টি সামনে আসলে সোমবার বিটিআরসি দেশের সব মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে রোহিঙ্গারা যাতে মোবাইল ফোনের সুবিধা না পায়, তা সাত দিনের মধ্যে নিশ্চিত করতে সব মোবাইল অপারেটরকে বলা হয়। এর একদিন পর এবার ওই এলাকায় ইন্টারনেট সেবা সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হল।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার যুগান্তর অনলাইনে  শিরোনামে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশের পর রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বিটিআরসি থেকে দুই দফা সিদ্ধান্ত এল।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় প্রতিদিন ১৩ ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ

আপডেট টাইম : ০৩:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

রোহিঙ্গাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধের লক্ষ্যে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে প্রতিদিন ১৩ ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেশের সব মোবাইল অপারেটরদের পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ওই এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কের বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলে জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান।

এর ফলে উল্লেখিত সময়ে ওই এলাকায় টুজি চালু থাকায় ভয়েস কল করা গেলেও ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে না। তবে ভোর ৬টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ওই এলাকায় সব ধরনের মোবাইল সেবা পাওয়া যাবে।

এর আগে সোমবার বিটিআরসির কার্যালয়ে মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক হয়। বৈঠক সূত্র জানায়, বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরদের ওই দুই উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য নতুন সিম বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।

ওই দুই উপজেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে প্রায় ৯ লাখ মোবাইল সিম চালু রয়েছে বলে জানা গেছে। সে সব ক্যাম্পে চালু থাকা সব সিমের ক্রেতার পরিচয় যাচাই করতে বৈঠকে অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি।

এ ছাড়াও মিয়ানমার সীমান্তের ভেতরে চলে যাওয়া বাংলাদেশি মোবাইল টাওয়ারের নেটওয়ার্ক দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি।

২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের এক সমাবেশে তাদের অনেকের হাতে মোবাইল ফোন দেখা গিয়েছিল। বিষয়টি সামনে আসলে সোমবার বিটিআরসি দেশের সব মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে রোহিঙ্গারা যাতে মোবাইল ফোনের সুবিধা না পায়, তা সাত দিনের মধ্যে নিশ্চিত করতে সব মোবাইল অপারেটরকে বলা হয়। এর একদিন পর এবার ওই এলাকায় ইন্টারনেট সেবা সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হল।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার যুগান্তর অনলাইনে  শিরোনামে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশের পর রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বিটিআরসি থেকে দুই দফা সিদ্ধান্ত এল।