ঢাকা , শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুলাই মাস থেকে বকেয়া বেতনসহ সব সুযোগ-সুবিধা

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ এমপিওভুক্ত দুই হাজার ৭৩০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাচাই-বাছাই শেষ। মার্চেই প্রকাশ হবে গেজেট। আর আগামী জুলাই থেকেই দেয়া হবে বকেয়া বেতনসহ সকল সুযোগ-সুবিধা। এ তথ্য জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রায় সাড়ে ৯ বছর পর গত বছরের ২৩ অক্টোবর ২ হাজার ৭৩০টি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করে সরকার। কিন্তু ওই তালিকায় বেশ কয়েকটি অযোগ্য প্রতিষ্ঠানের নাম আসায় নানা মহলে শুরু হয় সমালোচনা। এরপরই এসব প্রতিষ্ঠান যাচাই বাছাইয়ের কাজ শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু তিন মাস পার হলেও এখনো প্রকাশ করা হয়নি গেজেট। ফলে হতাশ শিক্ষকরা।

নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফেডারেশনের সহ-সভাপতি কাজী নুরুল হক বলেন, প্রতিষ্ঠানের এমপিও ইনডেক্র না পারার কারনে নতুন শিক্ষকও অংশ নিতে পারছে না। যার ফলে শিক্ষা ব্যবস্থার উপর একটা প্রভাব পড়ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যাচাই-বাছাই শেষে প্রতিবেদন চূড়ান্ত। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। তবে খুব বেশি প্রতিষ্ঠান বাদ যাবে না।

মাউশির মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, সকল তথ্য আমাদের যাছাই-বাছাই করা হয়। একটা রিপোর্ট তৈরি করে সেটা শিক্ষামন্ত্রণালয় পাঠিয়েছি। আমরা আশা করছি মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

এদিকে এমপিওভুক্তিতে স্বচ্ছতার সঙ্গে শিক্ষকদের স্বার্থ যাতে রক্ষা হয় সেদিকে নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরা।

শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শিক্ষার মান উন্নত করতে হরে শিক্ষকদের বেতন ভাতা সুনিশ্চিত করতে হবে। তারা যাতে বেতন পান সেটা দেখতে হবে। তারা যাতে বঞ্চিত না হন সে দিকেও নজর দিতে হবে।

এদিকে চলতি এমপিওভুক্তির গেজেটের পরই নতুন এমপিওভুক্তির জন্য প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আবেদন নেয়া হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জুলাই মাস থেকে বকেয়া বেতনসহ সব সুযোগ-সুবিধা

আপডেট টাইম : ১২:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ এমপিওভুক্ত দুই হাজার ৭৩০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাচাই-বাছাই শেষ। মার্চেই প্রকাশ হবে গেজেট। আর আগামী জুলাই থেকেই দেয়া হবে বকেয়া বেতনসহ সকল সুযোগ-সুবিধা। এ তথ্য জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রায় সাড়ে ৯ বছর পর গত বছরের ২৩ অক্টোবর ২ হাজার ৭৩০টি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করে সরকার। কিন্তু ওই তালিকায় বেশ কয়েকটি অযোগ্য প্রতিষ্ঠানের নাম আসায় নানা মহলে শুরু হয় সমালোচনা। এরপরই এসব প্রতিষ্ঠান যাচাই বাছাইয়ের কাজ শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু তিন মাস পার হলেও এখনো প্রকাশ করা হয়নি গেজেট। ফলে হতাশ শিক্ষকরা।

নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফেডারেশনের সহ-সভাপতি কাজী নুরুল হক বলেন, প্রতিষ্ঠানের এমপিও ইনডেক্র না পারার কারনে নতুন শিক্ষকও অংশ নিতে পারছে না। যার ফলে শিক্ষা ব্যবস্থার উপর একটা প্রভাব পড়ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যাচাই-বাছাই শেষে প্রতিবেদন চূড়ান্ত। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। তবে খুব বেশি প্রতিষ্ঠান বাদ যাবে না।

মাউশির মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, সকল তথ্য আমাদের যাছাই-বাছাই করা হয়। একটা রিপোর্ট তৈরি করে সেটা শিক্ষামন্ত্রণালয় পাঠিয়েছি। আমরা আশা করছি মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

এদিকে এমপিওভুক্তিতে স্বচ্ছতার সঙ্গে শিক্ষকদের স্বার্থ যাতে রক্ষা হয় সেদিকে নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরা।

শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শিক্ষার মান উন্নত করতে হরে শিক্ষকদের বেতন ভাতা সুনিশ্চিত করতে হবে। তারা যাতে বেতন পান সেটা দেখতে হবে। তারা যাতে বঞ্চিত না হন সে দিকেও নজর দিতে হবে।

এদিকে চলতি এমপিওভুক্তির গেজেটের পরই নতুন এমপিওভুক্তির জন্য প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আবেদন নেয়া হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।