আজ মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এই দিনটিকে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস হিসাবে পালন করে। ১৯৭৫ সালের এদিনে, সিপাহী বিপ্লবের নামে প্রথমে হত্যা করা হয় তিন খ্যাতনামা মুক্তিযোদ্ধাকে। কোন কোন রাজনৈতিক সংগঠন এ দিনটি সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস হিসাবেও পালন করে।
ঘটনাবহুল এই দিনটি সারা দেশে ‘মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আর বিএনপি ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি; দিবস।
দিনটি উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
সোমবার (৬ নভেম্বর) দলটির উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনসমূহকে সারা দেশে আজ মঙ্গলবার ‘মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অনুষ্ঠেয় সভায় বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী।
এদিকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সোমবার দেশব্যাপী সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান দিবস নামে দিনটি পালন করবে। এ উপলক্ষে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটি বিকেল ৩টায় শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে জাসদ নেতা শহীদ কর্নেল তাহের বীরউত্তমের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার জাসদের সব জেলা-উপজেলা কমিটিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অনুরূপ কর্মসূচির মাধ্যমে ঐতিহাসিক সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস পালন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।