ঢাকা , রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাক্ষাৎ

প্রায় এক দশক পর বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিনিয়র সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী।

শনিবার  রাতে রাজধানীর গুলশানে বেগম জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’তে দেখা করেন তিনি। সর্বশেষ ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে মুশফিকুল ফজল আনসারী সাংবাদিকদের বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, আমি উনার সঙ্গে কাজ করতাম (খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব ছিলেন)। আমি ব্যক্তিগতভাবে উনাকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলাম। উনি অসুস্থ্য, তারপরও উনার মনোবল অনেক শক্ত দেখতে পেয়েছি। মানুষের প্রতি যে উনার মমত্ববোধ-ভালোবাসা, সেটা আজকের আলোচনায়ও ফুটে উঠেছে। নিশ্চয়ই বাংলাদেশের মানুষ তার জন্য দোয়া করবেন, তিনি সেরে উঠবেন।

তিনি আরও বলেন, বিদেশে বেগম খালেদা জিয়ার অনেক বন্ধু-শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন। কংগ্রেসম্যান, সিনেটর তথা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির সঙ্গে যারা দীর্ঘদিন ধরে জড়িত, তারা প্রায়ই উনার খবর রাখেন, উনার স্বাস্থ্যের কী অবস্থা। সে সুবাদে আমি জেনে গেলাম। তাদেরও উনার ব্যাপারে বলতে আমার সুবিধা হবে।

মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, সরকারে এবং বিরোধী দলে থেকেও বেগম খালেদা জিয়া মানুষের জন্য রাজনীতি করতেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট সর্বশেষ যে মানবাধিকার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে বলেছে- রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চক্রান্ত করেই বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ম্যাডামের শারীরিক বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে উনাকে আমার মানসিকভাবে শক্ত মনে হয়েছে। উনি এটা আমাকে বলেছেন যে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে মানুষের খুব কষ্ট হয়েছে। অনেক মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়েছে, গুম হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাক্ষাৎ

আপডেট টাইম : এক ঘন্টা আগে

প্রায় এক দশক পর বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিনিয়র সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী।

শনিবার  রাতে রাজধানীর গুলশানে বেগম জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’তে দেখা করেন তিনি। সর্বশেষ ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে মুশফিকুল ফজল আনসারী সাংবাদিকদের বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, আমি উনার সঙ্গে কাজ করতাম (খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব ছিলেন)। আমি ব্যক্তিগতভাবে উনাকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলাম। উনি অসুস্থ্য, তারপরও উনার মনোবল অনেক শক্ত দেখতে পেয়েছি। মানুষের প্রতি যে উনার মমত্ববোধ-ভালোবাসা, সেটা আজকের আলোচনায়ও ফুটে উঠেছে। নিশ্চয়ই বাংলাদেশের মানুষ তার জন্য দোয়া করবেন, তিনি সেরে উঠবেন।

তিনি আরও বলেন, বিদেশে বেগম খালেদা জিয়ার অনেক বন্ধু-শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন। কংগ্রেসম্যান, সিনেটর তথা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির সঙ্গে যারা দীর্ঘদিন ধরে জড়িত, তারা প্রায়ই উনার খবর রাখেন, উনার স্বাস্থ্যের কী অবস্থা। সে সুবাদে আমি জেনে গেলাম। তাদেরও উনার ব্যাপারে বলতে আমার সুবিধা হবে।

মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, সরকারে এবং বিরোধী দলে থেকেও বেগম খালেদা জিয়া মানুষের জন্য রাজনীতি করতেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট সর্বশেষ যে মানবাধিকার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে বলেছে- রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চক্রান্ত করেই বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ম্যাডামের শারীরিক বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে উনাকে আমার মানসিকভাবে শক্ত মনে হয়েছে। উনি এটা আমাকে বলেছেন যে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে মানুষের খুব কষ্ট হয়েছে। অনেক মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়েছে, গুম হয়েছে।