বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র সংস্কার চালিয়ে গেলেও পাশাপাশি নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করা জরুরি। তিনি বলেন, রোডম্যাপ ঘোষণা করা হলে জনগণ বুঝতে পারবে যে দেশে চলমান সংস্কার কার্যক্রম গণতান্ত্রিক পথে এগোচ্ছে এবং এর মাধ্যমে তারা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার করতে পারবে।
মঙ্গলবার কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলা ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা বিএনপির কার্যালয় পরিদর্শন করেন সালাহউদ্দিন।
তিনি আরও বলেন, সব রাজনৈতিক দলের আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। এ সংস্কার কার্যক্রম হবে নির্বাচনমুখী। যাতে কোনো ষড়যন্ত্রের সুযোগ না থাকে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত না হয়, সে লক্ষ্যে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা অত্যন্ত জরুরি।
ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত আন্দোলনের বিজয়কে অর্থবহ করতে হবে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। দেশের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং গণতন্ত্রের সুফল দেশের মানুষের কাছে পৌঁছাতে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে কাজ করতে হবে।
সাংবাদিকসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যে একটি আইনের শাসনের রাষ্ট্র, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে হবে। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে যেন সবাই মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারে, তার জন্য সাংবাদিকদেরসহ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সালাহউদ্দিন বলেন, যারা গুম, খুন, নির্যাতন এবং হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে, তাদের এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। স্বৈরাচারের হাতে নির্মমভাবে গুম-খুনের শিকার সব নেতাকর্মী এবং ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- তার সহধর্মিণী ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমেদ, কেন্দ্রীয় বিএনপির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না প্রমুখ।