ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসলামীক দলগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক মোর্চা নিয়ে যা বলছে জামায়াত

গত ৫ই অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবার পরে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে নির্বাচন নিয়ে মতভেদ দেখা যাচ্ছে।

জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বলছেন নতুন কোন রাজনৈতিক দল আসতে চাইলে সেটিকে তারা সাধুবাদ জানাবেন এবং বিষয়টি নিয়ে তাদের চিন্তার কোন কারণ নেই।

জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, এখন নতুন কেউ যদি আসে, সেটা তো তাদের ডেমোক্রেটিক রাইট, সাংবিধানিক রাইট। আমরা মনে করি না যারা দীর্ঘদিন যাবত রাজনীতি করছেন, তাদের জন্য কোন নতুন রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব ঘটলে কোন চ্যালেঞ্জের কারণ হবে।

তিনি বলেন, জোট একসময় ছিল। সে সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জোট হয়েছিল অপশক্তির হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করার জন্য। এখন যেহেতু সেই অপশক্তি ক্ষমতায় নেই, সংগত কারণে জোটের কোন প্রয়োজন নেই। যার যে অবস্থান থেকে রাজনীতি করছে।কেউ কাউকে চ্যালেঞ্জ মনে করা বা প্রতিপক্ষ মনে করা ঠিক না।

জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন ইসলামপন্থী দল ও সংগঠনের সাথে রাজনৈতিক মোর্চা গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছে। সে রকম একটি জোট হলে রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ হবে বলে মনে করছেন অনেকে।

আকান্দ বলেন, কোন রাজনৈতিক মোর্চা বা নির্বাচনি ঐক্য করার আলোচনা এখনো হয়নি। আমরা পরস্পরের সাথে মতবিনিময় করেছি। ঐক্যটাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এখানে কোনও রাজনৈতিক কিংবা নির্বাচনি জোট করার কোন আলোচনা হয়নি। নির্বাচন নিয়ে জামায়াতে ইসলামী কোন তাড়াহুড়া করতে চাইছে না।

অনেকে মনে করছেন, নির্বাচনের জন্য যত বেশি সময় পাওয়া যাবে জামায়াত তত বেশি নিজেদের গুছিয়ে এনে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরির চেষ্টা করবে। সেক্ষেত্রে বিষয়টি জামায়াতকে রাজনৈতিক সুবিধা দেবে নির্বাচনে।

মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ না হয় এবং মেশিনারিগুলো যদি সঠিকভাবে কাজ করতে না পারে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন পরে হলেও যা আগে হলেও তা। সেজন্য আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি সংস্কারের ওপরে। পরে নির্বাচন হলে জামায়াতে সুবিধা, আগে হইলে অসুবিধা, বিষয়টা এমন নয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামীক দলগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক মোর্চা নিয়ে যা বলছে জামায়াত

আপডেট টাইম : ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গত ৫ই অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবার পরে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে নির্বাচন নিয়ে মতভেদ দেখা যাচ্ছে।

জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বলছেন নতুন কোন রাজনৈতিক দল আসতে চাইলে সেটিকে তারা সাধুবাদ জানাবেন এবং বিষয়টি নিয়ে তাদের চিন্তার কোন কারণ নেই।

জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, এখন নতুন কেউ যদি আসে, সেটা তো তাদের ডেমোক্রেটিক রাইট, সাংবিধানিক রাইট। আমরা মনে করি না যারা দীর্ঘদিন যাবত রাজনীতি করছেন, তাদের জন্য কোন নতুন রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব ঘটলে কোন চ্যালেঞ্জের কারণ হবে।

তিনি বলেন, জোট একসময় ছিল। সে সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জোট হয়েছিল অপশক্তির হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করার জন্য। এখন যেহেতু সেই অপশক্তি ক্ষমতায় নেই, সংগত কারণে জোটের কোন প্রয়োজন নেই। যার যে অবস্থান থেকে রাজনীতি করছে।কেউ কাউকে চ্যালেঞ্জ মনে করা বা প্রতিপক্ষ মনে করা ঠিক না।

জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন ইসলামপন্থী দল ও সংগঠনের সাথে রাজনৈতিক মোর্চা গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছে। সে রকম একটি জোট হলে রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ হবে বলে মনে করছেন অনেকে।

আকান্দ বলেন, কোন রাজনৈতিক মোর্চা বা নির্বাচনি ঐক্য করার আলোচনা এখনো হয়নি। আমরা পরস্পরের সাথে মতবিনিময় করেছি। ঐক্যটাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এখানে কোনও রাজনৈতিক কিংবা নির্বাচনি জোট করার কোন আলোচনা হয়নি। নির্বাচন নিয়ে জামায়াতে ইসলামী কোন তাড়াহুড়া করতে চাইছে না।

অনেকে মনে করছেন, নির্বাচনের জন্য যত বেশি সময় পাওয়া যাবে জামায়াত তত বেশি নিজেদের গুছিয়ে এনে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরির চেষ্টা করবে। সেক্ষেত্রে বিষয়টি জামায়াতকে রাজনৈতিক সুবিধা দেবে নির্বাচনে।

মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ না হয় এবং মেশিনারিগুলো যদি সঠিকভাবে কাজ করতে না পারে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন পরে হলেও যা আগে হলেও তা। সেজন্য আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি সংস্কারের ওপরে। পরে নির্বাচন হলে জামায়াতে সুবিধা, আগে হইলে অসুবিধা, বিষয়টা এমন নয়।