ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এলডিপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অল্প সময়েই সংস্কার করে নির্বাচন সম্ভব: বিএনপি

দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বলেছেন, জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জনে অবশ্যই এই ঐক্য বজায় রাখতে হবে। ঐক্য বজায় রেখে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে জাতিকে এগিয়ে যেতে হবে। দেশে গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত নির্বাচনি সংস্কারের মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্য, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে হবে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে নেতৃবৃন্দ এসব বলেন।

রাজনীতিবিদরা যদি দেশের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে এবং মানসিকতার পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে রাজনীতির কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন তারা।

আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক আব্দুল হালিম প্রমুখ।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘গত ১৫/১৬ বছর ধরে দেশে কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছিল না। এখন সময় এসেছে, দেশের মানুষকে একটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। দেশের জনগণের মালিকানা পুনরুদ্ধার ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে একটি নির্বাচিত সংসদ ও সরকার প্রতিষ্ঠা জরুরি। একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে বারবার ক্ষমতা দখল করায় কখনো ভোটের প্রয়োজন হয়নি বলেই শেখ হাসিনার মতো দানব সৃষ্টি হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, আইনের শাসনকে কলঙ্কিত করেছেন। জনগণের মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন প্রধান ইস্যু। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তা অর্জন করতে হবে।’

আমীর খসরু বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায় হচ্ছে দ্রুত নির্বাচনি সংস্কারের মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্য, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান। শেখ হাসিনা দেশের প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছেন। এগুলো অবশ্যই সংস্কার করতে হবে। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন তাদের দল ছয় বছর আগে ভিশন-২০৩০ উন্মোচনের মাধ্যমে প্রথম সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করে। পরে তাদের দল অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলগুলোর সঙ্গে মিলে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের জন্য ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। এগুলো শুধু বিএনপির প্রস্তাব নয়, আমাদের যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্যান্য দলকে নিয়ে এগুলো প্রণয়ন করা হয়েছে। সংস্কার আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়। ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়ন করে নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচনি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কোনো মতপার্থক্য নেই। এটি একট সহজ কাজ। স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য আপনাদের (সরকার) শুধু নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। অবশিষ্ট মৌলিক সংস্কার জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব।’

অন্তর্বর্তী সরকারকে যুক্তিসংগত সময় দিতে হবে: অলি

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, ‘বিগত ১৫ বছরের জঞ্জাল পরিষ্কার করতে না পারলে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে না। এজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যুক্তিসংগত সময় দিতে হবে। কিছু কিছু লোক দেশকে এখনো অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন খাতে যে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার গতি অনেকটাই কম।’ তিনি বলেন, ‘যে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুদ্ধ করে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান, সে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো আপস হতে পারে না।’ সমাজের সবাইকে শুদ্ধি অভিযানের আওতায় আনতে হবে। রাজনীতিবিদরা ন্যায়পরায়ণ না হলে শুদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় উল্লেখ করে কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা সততার উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারলেই দেশ সঠিক পথে এগোবে। দেশকে রক্ষা করতে বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান অলি।

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চায় জামায়াত:
‘রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চায় জামায়াতে ইসলামী’, বলেছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক আব্দুল হালিম। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যত দ্রুত সম্ভব মৌলিক সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দেবে।’ বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের আমলে জামায়াতের ১১ জন শীর্ষনেতাকে হত্যা করা হয়েছে, ৩০ জন ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছেন, ১ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে উল্লেখ করে আব্দুল হালিম বলেন, ‘পতিত আওয়ামী লীগ একেক দিন একেক রূপে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে দলটির পতন হয়েছে। এখন জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন জরুরি বলে দাবি করেছেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

এলডিপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অল্প সময়েই সংস্কার করে নির্বাচন সম্ভব: বিএনপি

আপডেট টাইম : ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বলেছেন, জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জনে অবশ্যই এই ঐক্য বজায় রাখতে হবে। ঐক্য বজায় রেখে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে জাতিকে এগিয়ে যেতে হবে। দেশে গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত নির্বাচনি সংস্কারের মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্য, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে হবে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে নেতৃবৃন্দ এসব বলেন।

রাজনীতিবিদরা যদি দেশের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে এবং মানসিকতার পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে রাজনীতির কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন তারা।

আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক আব্দুল হালিম প্রমুখ।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘গত ১৫/১৬ বছর ধরে দেশে কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছিল না। এখন সময় এসেছে, দেশের মানুষকে একটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। দেশের জনগণের মালিকানা পুনরুদ্ধার ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে একটি নির্বাচিত সংসদ ও সরকার প্রতিষ্ঠা জরুরি। একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে বারবার ক্ষমতা দখল করায় কখনো ভোটের প্রয়োজন হয়নি বলেই শেখ হাসিনার মতো দানব সৃষ্টি হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, আইনের শাসনকে কলঙ্কিত করেছেন। জনগণের মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন প্রধান ইস্যু। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তা অর্জন করতে হবে।’

আমীর খসরু বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায় হচ্ছে দ্রুত নির্বাচনি সংস্কারের মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্য, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান। শেখ হাসিনা দেশের প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছেন। এগুলো অবশ্যই সংস্কার করতে হবে। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন তাদের দল ছয় বছর আগে ভিশন-২০৩০ উন্মোচনের মাধ্যমে প্রথম সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করে। পরে তাদের দল অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলগুলোর সঙ্গে মিলে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের জন্য ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। এগুলো শুধু বিএনপির প্রস্তাব নয়, আমাদের যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্যান্য দলকে নিয়ে এগুলো প্রণয়ন করা হয়েছে। সংস্কার আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়। ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়ন করে নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচনি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কোনো মতপার্থক্য নেই। এটি একট সহজ কাজ। স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য আপনাদের (সরকার) শুধু নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। অবশিষ্ট মৌলিক সংস্কার জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব।’

অন্তর্বর্তী সরকারকে যুক্তিসংগত সময় দিতে হবে: অলি

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, ‘বিগত ১৫ বছরের জঞ্জাল পরিষ্কার করতে না পারলে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে না। এজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যুক্তিসংগত সময় দিতে হবে। কিছু কিছু লোক দেশকে এখনো অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন খাতে যে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার গতি অনেকটাই কম।’ তিনি বলেন, ‘যে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুদ্ধ করে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান, সে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো আপস হতে পারে না।’ সমাজের সবাইকে শুদ্ধি অভিযানের আওতায় আনতে হবে। রাজনীতিবিদরা ন্যায়পরায়ণ না হলে শুদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় উল্লেখ করে কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা সততার উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারলেই দেশ সঠিক পথে এগোবে। দেশকে রক্ষা করতে বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান অলি।

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চায় জামায়াত:
‘রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চায় জামায়াতে ইসলামী’, বলেছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক আব্দুল হালিম। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যত দ্রুত সম্ভব মৌলিক সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দেবে।’ বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের আমলে জামায়াতের ১১ জন শীর্ষনেতাকে হত্যা করা হয়েছে, ৩০ জন ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছেন, ১ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে উল্লেখ করে আব্দুল হালিম বলেন, ‘পতিত আওয়ামী লীগ একেক দিন একেক রূপে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে দলটির পতন হয়েছে। এখন জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন জরুরি বলে দাবি করেছেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল।