ফজলুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গেছে, তারা মাঠে নেই। এখন বিএনপি হলো দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল।
একাত্তর ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ফজলুর রহমান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে যারা অস্বীকার করে তারা ভালো মানুষ নয়। আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধকে না মানেন, আমি আপনাকে রাজাকার বলব। মুক্তিযুদ্ধকে না মানলে আমি বলব আপনার পূর্বপুরুষ আলবদর ও দালাল ছিল। এ জন্য আপনারা আমাকে যত গালাগালিই করেন না কেন, আমি মুক্তিযুদ্ধকে ছাড়তে পারব না। কারণ আমরা লাখ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে এ দেশকে স্বাধীন করেছি।’
রাজনৈতিক দলগুলোকে উদ্দেশ করে ফজলুর রহমান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে মাইনা আপনি পাল্লা (দাঁড়িপাল্লা) মার্কায় ভোট চান, ডালিম মার্কায় ভোট চান, ইসলামের কথা বলে ভোট চান, হেফাজতে ইসলামের কথা বলে ভোট চান, আহলে হাদিসের নামে ভোট চান। আমার আপত্তি নেই। মানুষ যদি আপনাদের ভোট দেয়, ইসলামের কথা শুনে যদি ভোট দেয়—আপনি দেশ চালান। আপনাকে আমি স্যালুট করব।’
তিনি আরো বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে হাসিনার কোনো সম্পর্ক নেই। হাসিনা আর মুক্তিযুদ্ধ এক নয়। এখন হাসিনা ফেল করেছে। তাই বলে তার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ তো ফেল করেনি। একটা জাতির মুক্তিযুদ্ধ কখনো ফেল করে না। যারা এসব বলছে তারা মুক্তিযুদ্ধকে হেয় করতে চায়, ছোট করতে চায়।’
ফজলুর রহমান তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম প্রসঙ্গে বলেন, ‘আল্লাহর পরে এই এলাকার মানুষ হচ্ছে আমার মালিক। আমি নেতা না, আমি আপনাদের গোলাম। আমি এখাকার প্রতিনিধি হতে পারলে, এখানে যেন ওয়াজ হবে, তেমনি ফুটবল খেলা হবে, সংস্কৃতিচর্চা হবে। ইসলামী শিক্ষা যেমন থাকবে, তেমনি থাকবে জ্ঞান-বিজ্ঞাননির্ভর আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। থাকবে মানুষের জীবন-জীবিকার অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সাধারণত ৩ মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে হয়। আপনারা ৮ মাস পার করে ফেলেছেন। নানা অজুহাতে, সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বিত করছেন। কখনো বলেন, ডিসেম্বরে, কখনো বলেন জুনে। আমরা হাসিনা সরকারকে বিদায় করেছি নতুন আরেকটি সরকার বা প্রধানমন্ত্রীর জন্য। কাজেই দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। অনির্বাচিতদের হাতে বেশিদিন দেশ থাকতে পারে না। নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মালিকদের পছন্দের সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এটাই হচ্ছে আমাদের প্রধান চাওয়া।’
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হেসেন মুকুল, অষ্টগ্রাম সদর বিএনপির সভাপতি সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু, সাধারণ সম্পাদক মো. দানাসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।