ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলমান টার্গেট কিলিং পরিকল্পিত, আওয়ামী লীগ জড়িত বলে মন্তব্য: খালেদা জিয়া

চলমান টার্গেট কিলিং পরিকল্পিত এবং এর সাথে আওয়ামী লীগ জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, দেশে এরআগে কখনো এমন টার্গেট কিলিং ঘটেনি। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ সব ধর্মের মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে এটা পরিকল্পিত। আওয়ামী লীগের লোক এতে জড়িত। এই জন্যই হাসিনা বলেছেন আমি জানি। সেজন্য যে জেনেও এদেরকে ধরে না। এদের অনেককে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়ে এখন সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করছে।

বুধবার রাজধানীর লেডিস ক্লাবে ২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) আয়োজিত ইফতারে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদ জিয়া বলেন, দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব আছে কিনা বলা মুশকিল। এ অবৈধ সরকার সত্যিকার ক্ষমতায় থেকে দেশ শাসন করছে নাকি অন্য কোনো শক্তি পেছন থেকে কাজ করছে জনগণের মধ্যে এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

ঘরে বাইরে কোথাও মানুষ নিরাপদ নয় এমন অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, এই নিরাপত্তাহীন, গণতন্ত্রহীণ অবস্থা থেকে মুক্ত হতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জনগণ ও গণতন্ত্র এই অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, সরকার প্রতিনিয়ত মানুষ হত্যা করছে প্রন্তু দায় দিচ্ছে বিএনপির ওপর। অভিযানের নামে গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কারাগারগুলোতে মানুষের ঠাঁই হচ্ছে না। বাথরুমেও মানুষ জায়গা পাচ্ছে না।

বিএনপি হত্যায় বিশ্বাস করে না এমন দাবি করে দলটির চেয়ারপারসন বলেন, ‘গণগ্রেপ্তারে এখন পর‌্যন্ত সাড়ে ১২ হাজারের মতো গ্রেপ্তার হয়েছে। ক্রসফায়ারে মারা গেছে ৫০জন। এই কি দেশ চালানোর নমুনা?

খালেদা জিয়া বলেন, কোনো ধর্মের মানুষ আওয়ামী লীগের আমলে নিরাপদ নয়। হিন্দুদের ওপর এই সরকার সবচেয়ে বেশি নির‌্যাতন করছে। বাড়িঘর ভাঙচুর করছে। লুটপাট করছে।

রমজানে সবাইকে সরকারের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার দোয়া করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অচিরেই দেখবেন আওয়ামী লীগকে জনগণ কিভাবে বিতারিত করে। তাদের কি পরিণতি হয়।’

তিনি বলেন, অস্ত্র-সংঘাত নয়, শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচিগুলো এগিয়ে নিয়ে বিএনপি যাবে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ তৈরী করবো।’

জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. টিআই ফজলে রাব্বীর সভাপতিত্বে ইফতারে জোটের শরিকদের মধ্যে শফিউল আলম প্রধান, ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জেবেল রহমান গাণি, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, খন্দকার গোলাম মোর্তুজা, মো. কামারুজ্জামান, মজিবুর রহমান পেশওয়ারী, অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, কমরেড সাঈদ আহমেদ, খাজা গরীবে নেওয়াজ, আবুল কাশেম, শাহাদাত হোসেন সেলিম, গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, এম আমিনুর রহমান, জামায়াতের অ্যাডভোকেট মশিউর আলম, ড. হেলাল উদ্দিরূপ্রমুখ অংশ নেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, ড. মাহবুব উল্লাহ, মাহফুজ উল্লারূ প্রমুখ। ইফতারের আগে দেশ ও জাতীর কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

চলমান টার্গেট কিলিং পরিকল্পিত, আওয়ামী লীগ জড়িত বলে মন্তব্য: খালেদা জিয়া

আপডেট টাইম : ০৭:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুন ২০১৬

চলমান টার্গেট কিলিং পরিকল্পিত এবং এর সাথে আওয়ামী লীগ জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, দেশে এরআগে কখনো এমন টার্গেট কিলিং ঘটেনি। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ সব ধর্মের মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে এটা পরিকল্পিত। আওয়ামী লীগের লোক এতে জড়িত। এই জন্যই হাসিনা বলেছেন আমি জানি। সেজন্য যে জেনেও এদেরকে ধরে না। এদের অনেককে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়ে এখন সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করছে।

বুধবার রাজধানীর লেডিস ক্লাবে ২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) আয়োজিত ইফতারে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদ জিয়া বলেন, দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব আছে কিনা বলা মুশকিল। এ অবৈধ সরকার সত্যিকার ক্ষমতায় থেকে দেশ শাসন করছে নাকি অন্য কোনো শক্তি পেছন থেকে কাজ করছে জনগণের মধ্যে এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

ঘরে বাইরে কোথাও মানুষ নিরাপদ নয় এমন অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, এই নিরাপত্তাহীন, গণতন্ত্রহীণ অবস্থা থেকে মুক্ত হতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জনগণ ও গণতন্ত্র এই অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, সরকার প্রতিনিয়ত মানুষ হত্যা করছে প্রন্তু দায় দিচ্ছে বিএনপির ওপর। অভিযানের নামে গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কারাগারগুলোতে মানুষের ঠাঁই হচ্ছে না। বাথরুমেও মানুষ জায়গা পাচ্ছে না।

বিএনপি হত্যায় বিশ্বাস করে না এমন দাবি করে দলটির চেয়ারপারসন বলেন, ‘গণগ্রেপ্তারে এখন পর‌্যন্ত সাড়ে ১২ হাজারের মতো গ্রেপ্তার হয়েছে। ক্রসফায়ারে মারা গেছে ৫০জন। এই কি দেশ চালানোর নমুনা?

খালেদা জিয়া বলেন, কোনো ধর্মের মানুষ আওয়ামী লীগের আমলে নিরাপদ নয়। হিন্দুদের ওপর এই সরকার সবচেয়ে বেশি নির‌্যাতন করছে। বাড়িঘর ভাঙচুর করছে। লুটপাট করছে।

রমজানে সবাইকে সরকারের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার দোয়া করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অচিরেই দেখবেন আওয়ামী লীগকে জনগণ কিভাবে বিতারিত করে। তাদের কি পরিণতি হয়।’

তিনি বলেন, অস্ত্র-সংঘাত নয়, শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচিগুলো এগিয়ে নিয়ে বিএনপি যাবে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ তৈরী করবো।’

জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. টিআই ফজলে রাব্বীর সভাপতিত্বে ইফতারে জোটের শরিকদের মধ্যে শফিউল আলম প্রধান, ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জেবেল রহমান গাণি, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, খন্দকার গোলাম মোর্তুজা, মো. কামারুজ্জামান, মজিবুর রহমান পেশওয়ারী, অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, কমরেড সাঈদ আহমেদ, খাজা গরীবে নেওয়াজ, আবুল কাশেম, শাহাদাত হোসেন সেলিম, গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, এম আমিনুর রহমান, জামায়াতের অ্যাডভোকেট মশিউর আলম, ড. হেলাল উদ্দিরূপ্রমুখ অংশ নেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, ড. মাহবুব উল্লাহ, মাহফুজ উল্লারূ প্রমুখ। ইফতারের আগে দেশ ও জাতীর কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়।