ঢাকা , সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন ৯ জন

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে আওয়ামী লীগ-বিএনপির একাধিক সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশী আগাম গণসংযোগ করছেন।  আসনটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন ৯ জন। এর বাইরেও দু-একজন মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আসনটি ১৩টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। আসনটিতে জেলা জাতীয় পার্টির অর্থবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোস্তাক আহম্মেদ রতন একাই দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আসনটির সব দলের সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বেশ আগে থেকেই গণসংযোগ শুরু করেছেন। বড় দুই দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময়, নির্বাচনি এলাকায় পোস্টার ও লিফলেট সেঁটে জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। আর তৃণমূল নেতাদের সমর্থন ও কেন্দ্রের সবুজ সংকেত পেতে লবিংও চালাচ্ছেন তারা।

আসনটি বরাবরই ভিআইপি আসন হিসেবে চিহ্নিত। এ আসনের চির প্রতিদ্বন্দ্বী মহান স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক ও সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান সিরাজ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে টাঙ্গাইলের অন্যতম সংগঠক আবদুল লতিফ সিদ্দিকী উভয়েই রাজনীতির মাঠ থেকে ছিটকে পড়েছেন। এদের মধ্যে শাহজাহান সিরাজ অসুস্থতাজনিত করণে রাজনীতিতে নীরব এবং আবদুল লতিফ সিদ্দিকী নিউইয়র্কে হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের কারণে মন্ত্রিত্ব হারিয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হন এবং সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। বস্তুত শাহজাহান সিরাজ রাজনীতি থেকে বিচ্যুত হলেও আবদুল লতিফ সিদ্দিকী তাকে সাচ্চা আওয়ামী লীগার হিসেবে দাবি করেন। তিনি এখনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থাশীল। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এমন আভাস তার কাছের লোকজনের। গেল বছর ১৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের পরও তিনি নিয়মিত এলাকায় আসছেন। কাছের লোকদের নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।

জানা গেছে, ১৯৭৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ প্রার্থী তিনবার, বিএনপি প্রার্থী তিনবার, জাতীয় পার্টির প্রার্থী একবার, জাসদ (সিরাজ) প্রার্থী একবার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী একবার জয়লাভ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার কালিহাতী থেকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য, এরপর ১৯৭৩, ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ আসনে যিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তার দলই সরকার গঠন করে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

সরেজমিন দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০৮ সালে শাহজাহান সিরাজ জেলহাজতে থাকায় এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শিল্পপতি লুৎফর রহমান মতিনকে। তিনি আওয়ামী লীগের আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর কাছে পরাজিত হন। লতিফ সিদ্দিকী সংসদ সদস্য হওয়ার পর মন্ত্রী হিসেবে এলাকার বেশ উন্নয়ন করেন। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ফের আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এ আসনে শাসক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অন্তর্কোন্দল সীমাহীন। এদিকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর পদত্যাগের পর উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হন আওয়ামী লীগের হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী। তার সঙ্গে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলামের সম্পর্কের কিছুটা দূরত্ব রয়েছে।

বর্তমান সংসদ সদস্য সোহেল হাজারী আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। দলীয় মনোনয়নও তিনিই পাবেন— এমন বিশ্বাস তার কর্মী ও সমর্থকদের। সোহেল হাজারী প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৪ থেকে ৫ দিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত এলাকার মানুষের খোঁজখবর নেন। সময়-অসময় দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ি গিয়ে হাজির হন, কুশল বিনিময় করেন। মাথায় টুপরি নিয়ে নিজেই উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করেন। এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু, ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবু নাসের গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী বিভিন্ন এলাকায় দুই হাতে দান-খয়রাতও করছেন। বিশেষ করে এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে তিনি প্রায় সব সময় ছিলেন এবং ব্যক্তি উদ্যোগে উল্লেখযোগ্য ত্রাণ বিতরণও করেছেন। এছাড়া আবদুল লতিফ সিদ্দিকী দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে ধারণা করছেন তার অনুসারীরা।

এ আসনে বিএনপির অন্তর্কোন্দলও চরমে। স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক শাহজাহান সিরাজের স্ত্রী বেগম রাবেয়া সিরাজ, লুৎফর রহমান মতিন, মো. শাফি খান, বেনজীর আহম্মেদ টিটু ও প্রকৌশলী বাদলুর রহমানের রয়েছে নিজ নিজ গ্রুপ। ২০০৮ সালে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পেয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শিল্পপতি লুৎফর রহমান মতিন পরাজিত হলেও ভোট পান ৮৬ হাজার ৯১২টি। কিন্তু নির্বাচনের পরই তিনি দলীয় কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। সরকারবিরোধী কোনো কর্মকা-ে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে পাশে পাননি। ফলে আন্দোলন-সংগ্রামে মামলা হামলার শিকার নেতাকর্মীরা এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শাফি খানের দিকে ঝুঁকে পড়েন। এ কারণে জেলা বিএনপি নেতা শাফি খান তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রিয়পাত্র। তিনি দলীয় মনোনয়ন পাবেন— এমনটাই মনে করেন তার ঘনিষ্ট কর্মী-সমর্থকরা। এছাড়া আগে থেকেই দলীয় মনোনয়ন নিয়ে কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সভাপতি শিল্পপতি লুৎফর রহমান মতিনের সঙ্গে শাহজাহান সিরাজের সহধর্মিণী বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রাবেয়া সিরাজের দ্বন্দ্ব রয়েছে। আগামী নির্বাচনে রাবেয়া সিরাজ বা ছেলে রাজিব আহমেদ (অপু সিরাজ) দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন। উপজেলা বিএনপির একটি অংশ মনে করে, লুৎফর রহমান মতিন ব্যবসায়ী হলেও কালিহাতী বিএনপির রাজনীতিতে তার প্রয়োজন রয়েছে, তিনিই বিএনপি দলীয় প্রার্থী। এছাড়া মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী বাদলুর রহমান খান বাদল, সাবেক ছাত্র নেতা বেনজীর আহম্মেদ টিটু, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হালিম, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি কৃষিবিদ এসএমএ খালিদ দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় এলাকায় গণসংযোগ করছেন। এ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির অর্থবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোস্তাক আহম্মেদ রতন দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে ১৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের পরও তিনি নিয়মিত এলাকায় আসছেন। কাছের লোকদের নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।

জানা গেছে, ১৯৭৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ প্রার্থী তিনবার, বিএনপি প্রার্থী তিনবার, জাতীয় পার্টির প্রার্থী একবার, জাসদ (সিরাজ) প্রার্থী একবার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী একবার জয়লাভ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার কালিহাতী থেকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য, এরপর ১৯৭৩, ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ আসনে যিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তার দলই সরকার গঠন করে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

সরেজমিন দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০৮ সালে শাহজাহান সিরাজ জেলহাজতে থাকায় এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শিল্পপতি লুৎফর রহমান মতিনকে। তিনি আওয়ামী লীগের আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর কাছে পরাজিত হন। লতিফ সিদ্দিকী সংসদ সদস্য হওয়ার পর মন্ত্রী হিসেবে এলাকার বেশ উন্নয়ন করেন। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ফের আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এ আসনে শাসক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অন্তর্কোন্দল সীমাহীন। এদিকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর পদত্যাগের পর উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হন আওয়ামী লীগের হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী। তার সঙ্গে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলামের সম্পর্কের কিছুটা দূরত্ব রয়েছে।

বর্তমান সংসদ সদস্য সোহেল হাজারী আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। দলীয় মনোনয়নও তিনিই পাবেন— এমন বিশ্বাস তার কর্মী ও সমর্থকদের। সোহেল হাজারী প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৪ থেকে ৫ দিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত এলাকার মানুষের খোঁজখবর নেন। সময়-অসময় দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ি গিয়ে হাজির হন, কুশল বিনিময় করেন। মাথায় টুপরি নিয়ে নিজেই উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করেন। এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু, ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবু নাসের গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী বিভিন্ন এলাকায় দুই হাতে দান-খয়রাতও করছেন। বিশেষ করে এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে তিনি প্রায় সব সময় ছিলেন এবং ব্যক্তি উদ্যোগে উল্লেখযোগ্য ত্রাণ বিতরণও করেছেন। এছাড়া আবদুল লতিফ সিদ্দিকী দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে ধারণা করছেন তার অনুসারীরা।

এ আসনে বিএনপির অন্তর্কোন্দলও চরমে। স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক শাহজাহান সিরাজের স্ত্রী বেগম রাবেয়া সিরাজ, লুৎফর রহমান মতিন, মো. শাফি খান, বেনজীর আহম্মেদ টিটু ও প্রকৌশলী বাদলুর রহমানের রয়েছে নিজ নিজ গ্রুপ। ২০০৮ সালে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পেয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শিল্পপতি লুৎফর রহমান মতিন পরাজিত হলেও ভোট পান ৮৬ হাজার ৯১২টি। কিন্তু নির্বাচনের পরই তিনি দলীয় কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। সরকারবিরোধী কোনো কর্মকা দেলীয় নেতাকর্মীরা তাকে পাশে পাননি। ফলে আন্দোলন-সংগ্রামে মামলা হামলার শিকার নেতাকর্মীরা এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শাফি খানের দিকে ঝুঁকে পড়েন। এ কারণে জেলা বিএনপি নেতা শাফি খান তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রিয়পাত্র। তিনি দলীয় মনোনয়ন পাবেন— এমনটাই মনে করেন তার ঘনিষ্ট কর্মী-সমর্থকরা। এছাড়া আগে থেকেই দলীয় মনোনয়ন নিয়ে কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সভাপতি শিল্পপতি লুৎফর রহমান মতিনের সঙ্গে শাহজাহান সিরাজের সহধর্মিণী বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রাবেয়া সিরাজের দ্বন্দ্ব রয়েছে। আগামী নির্বাচনে রাবেয়া সিরাজ বা ছেলে রাজিব আহমেদ (অপু সিরাজ) দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন। উপজেলা বিএনপির একটি অংশ মনে করে, লুৎফর রহমান মতিন ব্যবসায়ী হলেও কালিহাতী বিএনপির রাজনীতিতে তার প্রয়োজন রয়েছে, তিনিই বিএনপি দলীয় প্রার্থী। এছাড়া মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী বাদলুর রহমান খান বাদল, সাবেক ছাত্র নেতা বেনজীর আহম্মেদ টিটু, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হালিম, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি কৃষিবিদ এসএমএ খালিদ দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় এলাকায় গণসংযোগ করছেন। এ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির অর্থবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোস্তাক আহম্মেদ রতন দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন ৯ জন

আপডেট টাইম : ১১:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুন ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে আওয়ামী লীগ-বিএনপির একাধিক সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশী আগাম গণসংযোগ করছেন।  আসনটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন ৯ জন। এর বাইরেও দু-একজন মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আসনটি ১৩টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। আসনটিতে জেলা জাতীয় পার্টির অর্থবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোস্তাক আহম্মেদ রতন একাই দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আসনটির সব দলের সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বেশ আগে থেকেই গণসংযোগ শুরু করেছেন। বড় দুই দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময়, নির্বাচনি এলাকায় পোস্টার ও লিফলেট সেঁটে জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। আর তৃণমূল নেতাদের সমর্থন ও কেন্দ্রের সবুজ সংকেত পেতে লবিংও চালাচ্ছেন তারা।

আসনটি বরাবরই ভিআইপি আসন হিসেবে চিহ্নিত। এ আসনের চির প্রতিদ্বন্দ্বী মহান স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক ও সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান সিরাজ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে টাঙ্গাইলের অন্যতম সংগঠক আবদুল লতিফ সিদ্দিকী উভয়েই রাজনীতির মাঠ থেকে ছিটকে পড়েছেন। এদের মধ্যে শাহজাহান সিরাজ অসুস্থতাজনিত করণে রাজনীতিতে নীরব এবং আবদুল লতিফ সিদ্দিকী নিউইয়র্কে হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের কারণে মন্ত্রিত্ব হারিয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হন এবং সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। বস্তুত শাহজাহান সিরাজ রাজনীতি থেকে বিচ্যুত হলেও আবদুল লতিফ সিদ্দিকী তাকে সাচ্চা আওয়ামী লীগার হিসেবে দাবি করেন। তিনি এখনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থাশীল। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এমন আভাস তার কাছের লোকজনের। গেল বছর ১৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের পরও তিনি নিয়মিত এলাকায় আসছেন। কাছের লোকদের নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।

জানা গেছে, ১৯৭৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ প্রার্থী তিনবার, বিএনপি প্রার্থী তিনবার, জাতীয় পার্টির প্রার্থী একবার, জাসদ (সিরাজ) প্রার্থী একবার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী একবার জয়লাভ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার কালিহাতী থেকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য, এরপর ১৯৭৩, ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ আসনে যিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তার দলই সরকার গঠন করে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

সরেজমিন দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০৮ সালে শাহজাহান সিরাজ জেলহাজতে থাকায় এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শিল্পপতি লুৎফর রহমান মতিনকে। তিনি আওয়ামী লীগের আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর কাছে পরাজিত হন। লতিফ সিদ্দিকী সংসদ সদস্য হওয়ার পর মন্ত্রী হিসেবে এলাকার বেশ উন্নয়ন করেন। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ফের আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এ আসনে শাসক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অন্তর্কোন্দল সীমাহীন। এদিকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর পদত্যাগের পর উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হন আওয়ামী লীগের হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী। তার সঙ্গে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলামের সম্পর্কের কিছুটা দূরত্ব রয়েছে।

বর্তমান সংসদ সদস্য সোহেল হাজারী আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। দলীয় মনোনয়নও তিনিই পাবেন— এমন বিশ্বাস তার কর্মী ও সমর্থকদের। সোহেল হাজারী প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৪ থেকে ৫ দিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত এলাকার মানুষের খোঁজখবর নেন। সময়-অসময় দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ি গিয়ে হাজির হন, কুশল বিনিময় করেন। মাথায় টুপরি নিয়ে নিজেই উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করেন। এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু, ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবু নাসের গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী বিভিন্ন এলাকায় দুই হাতে দান-খয়রাতও করছেন। বিশেষ করে এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে তিনি প্রায় সব সময় ছিলেন এবং ব্যক্তি উদ্যোগে উল্লেখযোগ্য ত্রাণ বিতরণও করেছেন। এছাড়া আবদুল লতিফ সিদ্দিকী দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে ধারণা করছেন তার অনুসারীরা।

এ আসনে বিএনপির অন্তর্কোন্দলও চরমে। স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক শাহজাহান সিরাজের স্ত্রী বেগম রাবেয়া সিরাজ, লুৎফর রহমান মতিন, মো. শাফি খান, বেনজীর আহম্মেদ টিটু ও প্রকৌশলী বাদলুর রহমানের রয়েছে নিজ নিজ গ্রুপ। ২০০৮ সালে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পেয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শিল্পপতি লুৎফর রহমান মতিন পরাজিত হলেও ভোট পান ৮৬ হাজার ৯১২টি। কিন্তু নির্বাচনের পরই তিনি দলীয় কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। সরকারবিরোধী কোনো কর্মকা-ে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে পাশে পাননি। ফলে আন্দোলন-সংগ্রামে মামলা হামলার শিকার নেতাকর্মীরা এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শাফি খানের দিকে ঝুঁকে পড়েন। এ কারণে জেলা বিএনপি নেতা শাফি খান তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রিয়পাত্র। তিনি দলীয় মনোনয়ন পাবেন— এমনটাই মনে করেন তার ঘনিষ্ট কর্মী-সমর্থকরা। এছাড়া আগে থেকেই দলীয় মনোনয়ন নিয়ে কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সভাপতি শিল্পপতি লুৎফর রহমান মতিনের সঙ্গে শাহজাহান সিরাজের সহধর্মিণী বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রাবেয়া সিরাজের দ্বন্দ্ব রয়েছে। আগামী নির্বাচনে রাবেয়া সিরাজ বা ছেলে রাজিব আহমেদ (অপু সিরাজ) দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন। উপজেলা বিএনপির একটি অংশ মনে করে, লুৎফর রহমান মতিন ব্যবসায়ী হলেও কালিহাতী বিএনপির রাজনীতিতে তার প্রয়োজন রয়েছে, তিনিই বিএনপি দলীয় প্রার্থী। এছাড়া মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী বাদলুর রহমান খান বাদল, সাবেক ছাত্র নেতা বেনজীর আহম্মেদ টিটু, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হালিম, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি কৃষিবিদ এসএমএ খালিদ দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় এলাকায় গণসংযোগ করছেন। এ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির অর্থবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোস্তাক আহম্মেদ রতন দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে ১৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের পরও তিনি নিয়মিত এলাকায় আসছেন। কাছের লোকদের নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।

জানা গেছে, ১৯৭৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ প্রার্থী তিনবার, বিএনপি প্রার্থী তিনবার, জাতীয় পার্টির প্রার্থী একবার, জাসদ (সিরাজ) প্রার্থী একবার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী একবার জয়লাভ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার কালিহাতী থেকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য, এরপর ১৯৭৩, ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ আসনে যিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তার দলই সরকার গঠন করে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

সরেজমিন দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০৮ সালে শাহজাহান সিরাজ জেলহাজতে থাকায় এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শিল্পপতি লুৎফর রহমান মতিনকে। তিনি আওয়ামী লীগের আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর কাছে পরাজিত হন। লতিফ সিদ্দিকী সংসদ সদস্য হওয়ার পর মন্ত্রী হিসেবে এলাকার বেশ উন্নয়ন করেন। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ফের আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এ আসনে শাসক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অন্তর্কোন্দল সীমাহীন। এদিকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর পদত্যাগের পর উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হন আওয়ামী লীগের হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী। তার সঙ্গে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলামের সম্পর্কের কিছুটা দূরত্ব রয়েছে।

বর্তমান সংসদ সদস্য সোহেল হাজারী আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। দলীয় মনোনয়নও তিনিই পাবেন— এমন বিশ্বাস তার কর্মী ও সমর্থকদের। সোহেল হাজারী প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৪ থেকে ৫ দিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত এলাকার মানুষের খোঁজখবর নেন। সময়-অসময় দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ি গিয়ে হাজির হন, কুশল বিনিময় করেন। মাথায় টুপরি নিয়ে নিজেই উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করেন। এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু, ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবু নাসের গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী বিভিন্ন এলাকায় দুই হাতে দান-খয়রাতও করছেন। বিশেষ করে এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে তিনি প্রায় সব সময় ছিলেন এবং ব্যক্তি উদ্যোগে উল্লেখযোগ্য ত্রাণ বিতরণও করেছেন। এছাড়া আবদুল লতিফ সিদ্দিকী দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে ধারণা করছেন তার অনুসারীরা।

এ আসনে বিএনপির অন্তর্কোন্দলও চরমে। স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক শাহজাহান সিরাজের স্ত্রী বেগম রাবেয়া সিরাজ, লুৎফর রহমান মতিন, মো. শাফি খান, বেনজীর আহম্মেদ টিটু ও প্রকৌশলী বাদলুর রহমানের রয়েছে নিজ নিজ গ্রুপ। ২০০৮ সালে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পেয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শিল্পপতি লুৎফর রহমান মতিন পরাজিত হলেও ভোট পান ৮৬ হাজার ৯১২টি। কিন্তু নির্বাচনের পরই তিনি দলীয় কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। সরকারবিরোধী কোনো কর্মকা দেলীয় নেতাকর্মীরা তাকে পাশে পাননি। ফলে আন্দোলন-সংগ্রামে মামলা হামলার শিকার নেতাকর্মীরা এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শাফি খানের দিকে ঝুঁকে পড়েন। এ কারণে জেলা বিএনপি নেতা শাফি খান তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রিয়পাত্র। তিনি দলীয় মনোনয়ন পাবেন— এমনটাই মনে করেন তার ঘনিষ্ট কর্মী-সমর্থকরা। এছাড়া আগে থেকেই দলীয় মনোনয়ন নিয়ে কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সভাপতি শিল্পপতি লুৎফর রহমান মতিনের সঙ্গে শাহজাহান সিরাজের সহধর্মিণী বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রাবেয়া সিরাজের দ্বন্দ্ব রয়েছে। আগামী নির্বাচনে রাবেয়া সিরাজ বা ছেলে রাজিব আহমেদ (অপু সিরাজ) দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন। উপজেলা বিএনপির একটি অংশ মনে করে, লুৎফর রহমান মতিন ব্যবসায়ী হলেও কালিহাতী বিএনপির রাজনীতিতে তার প্রয়োজন রয়েছে, তিনিই বিএনপি দলীয় প্রার্থী। এছাড়া মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী বাদলুর রহমান খান বাদল, সাবেক ছাত্র নেতা বেনজীর আহম্মেদ টিটু, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হালিম, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি কৃষিবিদ এসএমএ খালিদ দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় এলাকায় গণসংযোগ করছেন। এ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির অর্থবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোস্তাক আহম্মেদ রতন দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী।