ঢাকা , শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা ৪২২ উপজেলায় মিলবে ওএমএসের চাল

হালাল উপার্জন ফরজ ইবাদত

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ হালাল উপার্জন মানে বৈধ উপার্জন। আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশিত-প্রদর্শিত ও অনুমোদিত পন্থায় যে আয় উপার্জন করা হয়, সেটাই হালাল উপার্জন; হালাল উপার্জন সবার জন্যই কল্যাণকর।

হালাল উপার্জন এবং হালাল উপার্জন দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করা ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষ সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তারই ইবাদত করার জন্য।

ইবাদত করা যেমন ফরজ, ঠিক তেমনি হালাল উপার্জন বা হালাল রুজি অন্বেষণ করাও ফরজ। আল্লাহ পাকের নির্দেশ- সালাত সমাপ্ত হয়ে গেলে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় আর আল্লাহর অনুগ্রহে জীবিকা অন্বেষণ কর, তথা উপার্জন কর (সূরা জুমুয়া-১০)।

মহানবী (সা.) বলেছেন, হালাল রুজি অন্বেষণ করা ফরজের পরও একটি ফরজ (বায়হাকি)।

ইসলামে মৌলিক ইবাদতগুলো কবুল হওয়ার পূর্বশর্ত হল হালাল রুজি। যার রুজি হালাল নয়, তার সব ধরনের সালাত, সাওম, হজ, জাকাত কিছুই কবুল হবে না।

মহানবী (সা.) তাই বলেছেন, দু’হাতের উপার্জিত হালাল খাদ্যের চেয়ে উত্তম খাদ্য আর কিছুই নেই (বোখারি)। মহানবী (সা.) আরও বলেছেন, যে ব্যক্তি হালাল রুজি দিয়ে সে নিজে ও তার পরিবার-পরিজন প্রতিপালনের চেষ্টা করে সে আল্লাহর পথে মুজাহিদের মতো।

ইসলাম হালাল উপার্জনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করার নির্দেশ দেয়। আল্লাহ বলেন, হে ইমানদাররা, তোমরা নিজেদের মধ্যে একজন অপরজনের অর্থ-সম্পদ অবৈধভাবে ভক্ষণ করও না (বাকারা ২৩)।

হালাল উপার্জন করতে হলে মানুষকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। হাড়ভাঙা খাটুনি খাটতে হয়। বসে বসে অবৈধ উপায়ে উপার্জনে তেমন কষ্ট করতে হয় না; কিন্তু হালাল উপার্জনের জন্য তিলে তিলে সময়, শ্রম, মেধা ব্যয় করতে হয়। এতে মানুষের কর্মবিমুখতা দূর হয়। তাই বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, তোমরা ফজরের সালাত আদায় হয়ে গেলে জীবিকা অনুসন্ধান না করে ঘুমিয়ে পড়বে না।

বিখ্যাত সাহাবি হজরত উমর (রা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন জীবিকার্জনের চেষ্টায় নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে বসে না থাকে। পৃথিবীতে যত নবী-রাসূল এসেছেন, তারা সবাই নিজ হাতে হালাল উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। তাই হালাল উপার্জন সব নবী-রাসূলের সার্বজনীন সুন্নাত।

হালাল উপার্জন এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হালাল ছাড়া অন্য উপায়ে অবৈধভাবে উপার্জনের সম্পদ দ্বারা যে শরীর বা প্রজন্ম গড়ে উঠবে, তা জাহান্নামের ইন্ধন হবে। তা দিয়ে নিজের দুনিয়ার জীবন ধ্বংস হবে, পরিবার-পরিজনের জীবন নষ্ট হবে- আখিরাতের শাস্তি তো আছেই। কাজেই হালাল উপার্জনে সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

হালাল উপার্জন ফরজ ইবাদত

আপডেট টাইম : ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ হালাল উপার্জন মানে বৈধ উপার্জন। আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশিত-প্রদর্শিত ও অনুমোদিত পন্থায় যে আয় উপার্জন করা হয়, সেটাই হালাল উপার্জন; হালাল উপার্জন সবার জন্যই কল্যাণকর।

হালাল উপার্জন এবং হালাল উপার্জন দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করা ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষ সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তারই ইবাদত করার জন্য।

ইবাদত করা যেমন ফরজ, ঠিক তেমনি হালাল উপার্জন বা হালাল রুজি অন্বেষণ করাও ফরজ। আল্লাহ পাকের নির্দেশ- সালাত সমাপ্ত হয়ে গেলে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় আর আল্লাহর অনুগ্রহে জীবিকা অন্বেষণ কর, তথা উপার্জন কর (সূরা জুমুয়া-১০)।

মহানবী (সা.) বলেছেন, হালাল রুজি অন্বেষণ করা ফরজের পরও একটি ফরজ (বায়হাকি)।

ইসলামে মৌলিক ইবাদতগুলো কবুল হওয়ার পূর্বশর্ত হল হালাল রুজি। যার রুজি হালাল নয়, তার সব ধরনের সালাত, সাওম, হজ, জাকাত কিছুই কবুল হবে না।

মহানবী (সা.) তাই বলেছেন, দু’হাতের উপার্জিত হালাল খাদ্যের চেয়ে উত্তম খাদ্য আর কিছুই নেই (বোখারি)। মহানবী (সা.) আরও বলেছেন, যে ব্যক্তি হালাল রুজি দিয়ে সে নিজে ও তার পরিবার-পরিজন প্রতিপালনের চেষ্টা করে সে আল্লাহর পথে মুজাহিদের মতো।

ইসলাম হালাল উপার্জনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করার নির্দেশ দেয়। আল্লাহ বলেন, হে ইমানদাররা, তোমরা নিজেদের মধ্যে একজন অপরজনের অর্থ-সম্পদ অবৈধভাবে ভক্ষণ করও না (বাকারা ২৩)।

হালাল উপার্জন করতে হলে মানুষকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। হাড়ভাঙা খাটুনি খাটতে হয়। বসে বসে অবৈধ উপায়ে উপার্জনে তেমন কষ্ট করতে হয় না; কিন্তু হালাল উপার্জনের জন্য তিলে তিলে সময়, শ্রম, মেধা ব্যয় করতে হয়। এতে মানুষের কর্মবিমুখতা দূর হয়। তাই বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, তোমরা ফজরের সালাত আদায় হয়ে গেলে জীবিকা অনুসন্ধান না করে ঘুমিয়ে পড়বে না।

বিখ্যাত সাহাবি হজরত উমর (রা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন জীবিকার্জনের চেষ্টায় নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে বসে না থাকে। পৃথিবীতে যত নবী-রাসূল এসেছেন, তারা সবাই নিজ হাতে হালাল উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। তাই হালাল উপার্জন সব নবী-রাসূলের সার্বজনীন সুন্নাত।

হালাল উপার্জন এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হালাল ছাড়া অন্য উপায়ে অবৈধভাবে উপার্জনের সম্পদ দ্বারা যে শরীর বা প্রজন্ম গড়ে উঠবে, তা জাহান্নামের ইন্ধন হবে। তা দিয়ে নিজের দুনিয়ার জীবন ধ্বংস হবে, পরিবার-পরিজনের জীবন নষ্ট হবে- আখিরাতের শাস্তি তো আছেই। কাজেই হালাল উপার্জনে সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।