বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ রোজা আল্লাহর প্রিয় ইবাদত। রোজা আল্লাহ তায়ালার জন্য রাখা হয়। আর রোজার প্রতিদান আল্লাহ তায়ালা নিজ হাতে দেবেন বা রোজার প্রতিদান আল্লাহ নিজেই বলে হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন।
আল্লাহ তায়ালা বছরে মানুষের জন্য দীর্ঘ এক মাস রোজা পালনকে ফরজ করেছেন। যা আমরা রমজান মাসব্যাপী পালন করেছেন। রমজানরে ফরজ রোজা ছাড়াও রাসূলুল্লাহ (সা.) বিভিন্ন উপলক্ষ্যে বিশেষ দিনে রোজা রেখেছেন এবং তাঁর উম্মতকে রোজা রাখতে বলেছেন। তাছাড়া মানুষের মান্নতের রোজা রাখাও আবশ্যক।
প্রিয় নবী (সা.) প্রতি সপ্তাহে ২দিন রোজা রাখতেন। আর তা হলো সোমবার ও বৃহস্পতিবার। এই দুইদিন রোজা রাখার কয়েকটি ফজিলত উল্লেখ করা হলো-
>> আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন: হাদিসে কুদসিতে মহান রাব্বুল আলামিন বলেছেন, রোজা আমার এবং আমিই এর প্রতিদান দেব।
>> বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ (সা.) এর অনুসরণ: হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) সোমবার এবং বৃহস্পতিবারের রোজার অপেক্ষা করতেন। (ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, নাসাঈ)
>> মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দা থেকে জাহান্নামকে ১০০ বছরের দূরত্বে সরিয়ে রাখবেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একদিন রোজা রাখবে, আল্লাহ তায়ালা জাহান্নামকে তার থেকে ১০০ বছরের দূরত্বে সরিয়ে রাখবেন। (আস সিলসিলাতুস সহিহাহ: খণ্ড-৬, হাদিস নম্বর: ২৫৬৫)
>> আল্লাহ তায়ালা বান্দা এবং জাহান্নামের মাঝে আসমান ও জমিনের দূরত্ব সমান খন্দক তৈরি করে রাখেন প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একদিন রোজা রাখবে, আল্লাহ তায়ালা তার এবং জাহান্নামের মাঝে আসমান ও জমিনের দূরত্ব সমপরিমাণ খন্দক তৈরি করে দেবেন। (আস সিলসিলাতুস সহিহাহ: খণ্ড-২, হাদিস নম্বর: ৫৬৩)
>> রোজা কেয়ামতের দিন বান্দার মুক্তির জন্য সুপারিশ করবে: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রোজা এবং কোরআন কেয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা আল্লাহ তায়ালাকে বলবে, হে আমার রব! আমি তাকে আহার এবং স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত রেখেছিলাম সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল কর। কোরআন বলবে, আমি তাকে রাতে ঘুম থেকে জাগিয়ে রেখেছিলাম, এজন্য তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল কর। রাসূল (সা.) বলেন, তখন উভয়ের সুপারিশ কবুল করা হবে। (আহমদ: খণ্ড-২, হাদিস নম্বর: ১৭৪)
>> কেয়ামতের দিন বাবুর রাইয়ান দিয়ে প্রবেশের সুযোগ লাভ করবে রাসূল (সা.) বলেন, নিশ্চয় জান্নাতের রাইয়ান নামের একটি দরজা আছে, কেয়ামতের দিন সেখান দিয়ে রোজাদাররা প্রবেশ করবে। (বুখারি: হাদিস নম্বর: ১৮৯৬, মুসলিম: হাদদি নম্বর: ১১৫২)
>> রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করার সম্ভাবনা এবং জান্নাত লাভ রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন, যে রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (সহিহ আল জামে: হাদিস নম্বর: ৬২২৪)
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে প্রতি সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।