ভাদ্র মাসে বিয়ে করতে নেই, বিয়ে করলে নাকি অমঙ্গল হয়। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ রকম হাজারো কুসংস্কার প্রচলিত আছে।এখন প্রশ্ন হলো- আদৌ শরিয়তে এর কি কোনো ভিত্তি আছে? এর জবাব দিয়েছেন ইসলামিক স্কলার ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী।
তিনি বলেছেন,
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শরিয়তের দৃষ্টিতে যেকোনো দিন বিয়ে করা যাবে। এ ক্ষেত্রে কোনো বিধি নিষেধ নেই। কারণ, দিন মাস সবই আল্লাহর সৃষ্টি। তাই নির্দিষ্ট কোনো দিন বা মাসকে অশুভ নির্ণয় করা কোনোক্রমেই ঠিক নয়।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: الطِّيَرَةُ شِرْكٌ، الطِّيَرَةُ شِرْكٌ، ثَلَاثًا، وَمَا مِنَّا إِلَّا وَلَكِنَّ اللَّهَ يُذْهِبُهُ بِالتَّوَكُّلِ
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) এর সূত্রে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন, কোনো বস্তুকে কুলক্ষণ মনে করা শিরক, কোনো বস্তুকে কুলক্ষণ ভাবা শিরক। একথা তিনি তিনবার বললেন। আমাদের কারো মনে কিছু জাগা স্বাভাবিক, কিন্তু আল্লাহর ওপর ভরসা করলে তিনি তা দূর করে দিবেন।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩৯১০]
সুতরাং কোনো দিন বা মাসকে অশুভ ভাবা শুধুমাত্র কুসংস্কারই নয়, বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঈমান চলে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তাই এ জাতীয় বিশ্বাস থেকে আমাদের সবার বেঁচে থাকা কর্তব্য। বরং সর্বদা এক আল্লাহর ওপর ভরসা করা উচিত। কারণ, সব বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।