বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ চলতি বছর হজ ভিসার আবেদন জমা দেয়ার শেষ সময় গত বৃহস্পতিবার নির্ধারণ করে দিয়েছিল সৌদি সরকার। কিন্তু এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রায় ৫ হাজার হজযাত্রীর আবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হয় সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সি। হজযাত্রীদের কথা বিবেচনা করে ওই দিন সৌদি দূতাবাসের কাছে হজ ভিসার আবেদনের সময়সীমা আরো তিন দিন বাড়ানোর আবেদন করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
আবেদনের সেই তিন দিনও শেষ হয়েছে সোমবার। কিন্তু এর পরও প্রায় ১ হাজার হজযাত্রীর আবেদন সৌদি দূতাবাসে জমা হয়নি।ফলে এই ১ হাজার যাত্রীর হজে যাওয়ার সব সম্ভাবনার দূয়ার বন্ধ হয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ভিসার জন্য সৌদি দূতাবাসে আবেদন জমা হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ২০৫ জনের। এর মধ্যে ভিসা পাওয়া গেছে মোট ১ লাখ ২৫ হাজার ৯৭৯ জনের। এ বছর হজে যাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। হিসেব অনুযায়ী মোট ৯৯৩ জনের হজ ভিসার আবেদন জমা হয়নি।
আরো জানা গেছে, চলতি বছর পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত ৯০ হাজার ৪০৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৩ হাজার ৩৪০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৭ হাজার ৬৯ জন। হজের জন্য সৌদি যেতে এখনও বাকি রয়েছে ৩৬ হাজার ৭৮৯ জন। আগামী সোমবারের মধ্যে এদের সবাইকে সৌদি পাঠাতে হবে।
কেন এজেন্সিগুলো সময়মত ভিসার আবেদন জমা দেয়নি এ প্রসঙ্গে হজ অফিসের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, কেন যে এতো আবেদন জমা পড়েনি সেটা আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না। আমরা এজেন্সিগুলোর সাথে কথা বলছি। জানার চেষ্টা করছি কোন কোন এজেন্সি টাকা নিয়ে সব ঠিক থাকা সত্ত্বেও ভিসার আবেদন জমা দেয়নি।
কোনো এজেন্সি যদি দায়ী হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, প্রতি বছরই কিছু যাত্রী ঝরে পড়ে। যেমন অনেকেই রেজিস্ট্রেশন করেও শেষ মূহুর্তে হজে যেতে চায় না। তবে এই সংখ্যা খুব বেশি হওয়ার কথা না।
প্রসঙ্গত, যাত্রী সংকটে এখন পর্যন্ত মোট ২৮টি হজ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আর বাকি ৪টি সৌদি এয়ারলাইন্সের।
হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার প্রথম ফ্লাইট শুরু হয়েছে ২৪ জুলাই থেকে। হজের শেষ ফ্লাইট যাবে ২৮ আগস্ট । ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ৬ সেপ্টেম্বর ও শেষ ফিরতি ফ্লাইট ৫ অক্টোবর।
এ বছর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হজ অনুষ্ঠিত হবে ১ সেপ্টেম্বর।