ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুনিয়ার বিপর্যয় থেকে উত্তরণের পথ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আল্লাহতায়ালার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ। মানুষের জীবনাচার, সামাজিক নানাবিধ কার্যক্রম, পারস্পরিক লেনদেন, মেলামেশা, শরিয়তের বিধি-নিষেধ মান্যকরণ এবং নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের বাধ্যবাধকতার মধ্যদিয়ে বুঝে আসে- মানুষ অন্য সব প্রাণি ও জীব থেকে ভিন্ন ও স্বতন্ত্র। সামাজিক জীব হিসেবে আল্লাহতায়ালার নির্দেশাবলী পালনের পাশাপাশি পারিবার ও সামাজের দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতার ঝুলি কাঁধে তুলে নিতে হয় মানুষকে।

সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে হয়। অন্যের বিপদ-আপদে সহায়তার হাত বাড়াতে হয়। পরের সুখে খুশি এবং পরের দুঃখে কষ্ট অনুভব করতে হয়। একে অন্যের সঙ্গে মায়া-মমতা ও স্নেহ-ভালোবাসার চাদরে জড়াতে হয়। আর তখনই পরিবার, সমাজ ও দেশ পরিণত হয় শান্তির নীড়ে। সৃষ্টি হয় পারস্পরিক মাহাত্ম্যবোধ ও ভালোবাসা। অন্যদিকে মানুষ যখন এ সব বিষয় থেকে উদাসীন হয়। প্রবৃত্তির লাগামহীন বাসনা পূরণে সম্পদ ও ক্ষমতার লড়াইয়ে জড়িয়ে অঢেল সম্পদের নেশায় ঘুষ, দুর্নীতির আশ্রয় নেয়।

নিজের অবস্থান অটুট রাখতে অন্যায়-অবিচার, দাঙ্গা-হাঙ্গামা থেকে শুরু করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে। অপরকে ঠকাতে এবং অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করতে কুণ্ঠিত হয় না। নানাবিধ অন্যায়ে লিপ্ত হওয়াসহ  অন্যায়- অনাচার এবং বিদআত ও কুসংস্কারে লিপ্ত হয়। ধর্মীয় আদর্শ ত্যাগ করে- ঠিক তখনই তাদের ওপর নেমে আসে মহা বিপর্যয়। অতীত ইতিহাস যার জ্বলন্ত সাক্ষী। এ বিপর্যয় হতে পারে প্রাকৃতিক ধ্বংসযজ্ঞ, মানবনিধন। আবার হতে পারে নৈতিক চারিত্র অবক্ষয়ের এক ভয়ালগ্রাসী থাবা। যা মানুষকে আল্লাহতায়ালার অসন্তুষ্টি, অবাধ্যতা ও নাফরমানির দিকে প্রবলভাবে ধাবিত করে।

ফলে মানুষের প্রতি ক্রমাগত বিপদ-আপদ, নানাবিধ বিপর্যয় ও মসিবত আসতে থাকে একের পর এক। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের ওপর যেসব বিপদ-আপদ পতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল এবং তিনি তোমাদের অনেক গোনাহ ক্ষমা করে দেন।’ -সূরা আশ শোয়ারা: ৩০

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

দুনিয়ার বিপর্যয় থেকে উত্তরণের পথ

আপডেট টাইম : ০১:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আল্লাহতায়ালার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ। মানুষের জীবনাচার, সামাজিক নানাবিধ কার্যক্রম, পারস্পরিক লেনদেন, মেলামেশা, শরিয়তের বিধি-নিষেধ মান্যকরণ এবং নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের বাধ্যবাধকতার মধ্যদিয়ে বুঝে আসে- মানুষ অন্য সব প্রাণি ও জীব থেকে ভিন্ন ও স্বতন্ত্র। সামাজিক জীব হিসেবে আল্লাহতায়ালার নির্দেশাবলী পালনের পাশাপাশি পারিবার ও সামাজের দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতার ঝুলি কাঁধে তুলে নিতে হয় মানুষকে।

সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে হয়। অন্যের বিপদ-আপদে সহায়তার হাত বাড়াতে হয়। পরের সুখে খুশি এবং পরের দুঃখে কষ্ট অনুভব করতে হয়। একে অন্যের সঙ্গে মায়া-মমতা ও স্নেহ-ভালোবাসার চাদরে জড়াতে হয়। আর তখনই পরিবার, সমাজ ও দেশ পরিণত হয় শান্তির নীড়ে। সৃষ্টি হয় পারস্পরিক মাহাত্ম্যবোধ ও ভালোবাসা। অন্যদিকে মানুষ যখন এ সব বিষয় থেকে উদাসীন হয়। প্রবৃত্তির লাগামহীন বাসনা পূরণে সম্পদ ও ক্ষমতার লড়াইয়ে জড়িয়ে অঢেল সম্পদের নেশায় ঘুষ, দুর্নীতির আশ্রয় নেয়।

নিজের অবস্থান অটুট রাখতে অন্যায়-অবিচার, দাঙ্গা-হাঙ্গামা থেকে শুরু করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে। অপরকে ঠকাতে এবং অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করতে কুণ্ঠিত হয় না। নানাবিধ অন্যায়ে লিপ্ত হওয়াসহ  অন্যায়- অনাচার এবং বিদআত ও কুসংস্কারে লিপ্ত হয়। ধর্মীয় আদর্শ ত্যাগ করে- ঠিক তখনই তাদের ওপর নেমে আসে মহা বিপর্যয়। অতীত ইতিহাস যার জ্বলন্ত সাক্ষী। এ বিপর্যয় হতে পারে প্রাকৃতিক ধ্বংসযজ্ঞ, মানবনিধন। আবার হতে পারে নৈতিক চারিত্র অবক্ষয়ের এক ভয়ালগ্রাসী থাবা। যা মানুষকে আল্লাহতায়ালার অসন্তুষ্টি, অবাধ্যতা ও নাফরমানির দিকে প্রবলভাবে ধাবিত করে।

ফলে মানুষের প্রতি ক্রমাগত বিপদ-আপদ, নানাবিধ বিপর্যয় ও মসিবত আসতে থাকে একের পর এক। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের ওপর যেসব বিপদ-আপদ পতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল এবং তিনি তোমাদের অনেক গোনাহ ক্ষমা করে দেন।’ -সূরা আশ শোয়ারা: ৩০