ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেঘনা নদীর পাড়ে ইজতেমার প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বিশ্ব ইজতিমার তত্ত্বাবধানে চাঁদপুরে এই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেলা পর্যায়ে তাবলীগ জামাতের ইজতিমা। আগামী ৩০ নভেম্বর, ১ ও ২ ডিসেম্বর এ তিনদিন শহরের পুরাণবাজার জাফরাবাদ মেঘনা নদীরপাড়ে অনুষ্ঠিত হবে এ ইজতিমা। এখানে ৪/৫ লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম হবে বলে আয়োজকরা আশাবাদী।
শহরের এমদাদিয়া মাদরাাসা সংলগ্ন মেঘনা নদীর পাড় ঘেঁষে স্থানীয়দের বিশাল জমিতে এ ইজতিমার প্যান্ডেলের কাজ দ্রত গতিতে এগিয়ে চলছে। প্রতিদিন গড়ে ৪/৫শ’ লোক স্বেচ্ছায় প্যান্ডেলসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণে কাজ করছেন। চাঁদপুরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণীর লোকজন প্যান্ডেল নির্মাণের কাজে সহায়তা করছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলার কলেজ, স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও প্যান্ডেলের কাজ ও স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করছেন। আমন্ত্রিত বিদেশী অতিথিদের থাকার জন্যে আলাদা প্যান্ডেল নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া মুসল্লিদের গোসল, ওযুর ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত টয়লেট নির্মাণ করা হচ্ছে।
তাবলীগ জামাতের স্থানীয় মুরব্বিরা জানান, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতিমার আওতায় এ বছর দেশের ৩২টি জেলায় আলাদাভাবে জেলাভিত্তিক ইজতিমার আয়োজন করা হয়েছে। চাঁদপুরে প্রথমবারের মতো বিশাল এ ইজতিমার আয়োজন করায় জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে আল্লাহ ও রাসূলের পথে বলিয়ান হবার উদ্দীপনা আরো বেগবান হয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ইজতেমার প্যান্ডেলস্থান এক নজর দেখার জন্যে নদীর পাড়ে সমবেত হচ্ছেন। মাঠের আশপাশে বসবাসরত বাসিন্দারাও যার যার সাধ্যমতো প্যান্ডেল নির্মাণে সহায়তা করে যাচ্ছেন। স্থানীয় মুরুব্বি মাওলানা আঃ রশিদ, আলহাজ জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম, আলহাজ মোঃ সিরাজুল ইসলাম খানসহ আরো অনেকে চাঁদপুরে জেলা পর্যায়ে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনে পুরাণবাজার এমদাদীয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মেঘনা নদী বেষ্টিত জাফরাবাদ এলাকার বিশাল এ জায়গাটি নির্ধারণ করেন। এলাকার মানুষও মুরুব্বিদের অনুরোধে ইজতিমার জন্যে তাদের জায়গা-জমি ব্যবহারের জন্যে ছেড়ে দেন।
আয়োজকদের মধ্যে স্থানীয় মুরুব্বি হাজী আব্দুল লতিফ দাবি করেন, সব শ্রেণির ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ইজতিমায় অংশগ্রহণ করলে লাখ লাখ মুসল্লির সমাবেশ ঘটবে। টঙ্গী ইজতিমা মাঠের ন্যায় এ মাঠেও ৮টি উপজেলা থেকে আগত মুসল্লিদের জন্যে আলাদাভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মুসল্লিদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তারও ব্যবস্থা রাখা হবে। এতে তারা সরকারি কোনো প্রকার সহায়তা নিচ্ছেন না।
এদিকে গত তিনদিন আগে জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল, পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ ওচমান গনি পাটওয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, ব্যবসায়ী নেতা ও ইজতিমা আয়োজক মুরুব্বি জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম ইজতিমা স্থান পরিদর্শন করেছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

মেঘনা নদীর পাড়ে ইজতেমার প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে

আপডেট টাইম : ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বিশ্ব ইজতিমার তত্ত্বাবধানে চাঁদপুরে এই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেলা পর্যায়ে তাবলীগ জামাতের ইজতিমা। আগামী ৩০ নভেম্বর, ১ ও ২ ডিসেম্বর এ তিনদিন শহরের পুরাণবাজার জাফরাবাদ মেঘনা নদীরপাড়ে অনুষ্ঠিত হবে এ ইজতিমা। এখানে ৪/৫ লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম হবে বলে আয়োজকরা আশাবাদী।
শহরের এমদাদিয়া মাদরাাসা সংলগ্ন মেঘনা নদীর পাড় ঘেঁষে স্থানীয়দের বিশাল জমিতে এ ইজতিমার প্যান্ডেলের কাজ দ্রত গতিতে এগিয়ে চলছে। প্রতিদিন গড়ে ৪/৫শ’ লোক স্বেচ্ছায় প্যান্ডেলসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণে কাজ করছেন। চাঁদপুরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণীর লোকজন প্যান্ডেল নির্মাণের কাজে সহায়তা করছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলার কলেজ, স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও প্যান্ডেলের কাজ ও স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করছেন। আমন্ত্রিত বিদেশী অতিথিদের থাকার জন্যে আলাদা প্যান্ডেল নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া মুসল্লিদের গোসল, ওযুর ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত টয়লেট নির্মাণ করা হচ্ছে।
তাবলীগ জামাতের স্থানীয় মুরব্বিরা জানান, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতিমার আওতায় এ বছর দেশের ৩২টি জেলায় আলাদাভাবে জেলাভিত্তিক ইজতিমার আয়োজন করা হয়েছে। চাঁদপুরে প্রথমবারের মতো বিশাল এ ইজতিমার আয়োজন করায় জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে আল্লাহ ও রাসূলের পথে বলিয়ান হবার উদ্দীপনা আরো বেগবান হয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ইজতেমার প্যান্ডেলস্থান এক নজর দেখার জন্যে নদীর পাড়ে সমবেত হচ্ছেন। মাঠের আশপাশে বসবাসরত বাসিন্দারাও যার যার সাধ্যমতো প্যান্ডেল নির্মাণে সহায়তা করে যাচ্ছেন। স্থানীয় মুরুব্বি মাওলানা আঃ রশিদ, আলহাজ জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম, আলহাজ মোঃ সিরাজুল ইসলাম খানসহ আরো অনেকে চাঁদপুরে জেলা পর্যায়ে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনে পুরাণবাজার এমদাদীয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মেঘনা নদী বেষ্টিত জাফরাবাদ এলাকার বিশাল এ জায়গাটি নির্ধারণ করেন। এলাকার মানুষও মুরুব্বিদের অনুরোধে ইজতিমার জন্যে তাদের জায়গা-জমি ব্যবহারের জন্যে ছেড়ে দেন।
আয়োজকদের মধ্যে স্থানীয় মুরুব্বি হাজী আব্দুল লতিফ দাবি করেন, সব শ্রেণির ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ইজতিমায় অংশগ্রহণ করলে লাখ লাখ মুসল্লির সমাবেশ ঘটবে। টঙ্গী ইজতিমা মাঠের ন্যায় এ মাঠেও ৮টি উপজেলা থেকে আগত মুসল্লিদের জন্যে আলাদাভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মুসল্লিদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তারও ব্যবস্থা রাখা হবে। এতে তারা সরকারি কোনো প্রকার সহায়তা নিচ্ছেন না।
এদিকে গত তিনদিন আগে জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল, পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ ওচমান গনি পাটওয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, ব্যবসায়ী নেতা ও ইজতিমা আয়োজক মুরুব্বি জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম ইজতিমা স্থান পরিদর্শন করেছেন।