বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ জুমআ মুসলিম উম্মাহর জন্য অনেক মর্যাদা দিন। সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে এ দিনটি উত্তম। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর জন্য এদিনটিকে সেরা দিন হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। এ দিনে মসজিদে গমনের সময়ের ওপর আল্লাহ তাআলা আলাদা আলাদা ফজিলত বর্ণনা করেছেন।
জুমআর দিন মসজিদে গমনের সময় ও তাঁর ফজিলত বর্ণনা করেছেন। জুমআর দিন নামাজ শুরু হওয়ার আগের সময়কে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৫টি প্রহরে ভাগ করেছেন। আবার এ সব প্রহরের আলাদা আলাদা ফজিলত বর্ণনা করেছেন। হাদিসে এসেছে-
>> ‘যে ব্যক্তি জুমআর দিন অপবিত্রতা থেকে গোসল করার মতো গোসল করবে, অতঃপর প্রথম প্রহরে মসজিদে গমন করবে সে যেন একটি উট কুরবানি করল।’
>> যে ব্যক্তি দ্বিতীয় প্রহরে মসজিদে গমন করবে, সে যেন একটি গরু কুরবানি করল।
>> যে ব্যক্তি তৃতীয় প্রহরে মসজিদে গমন করবে, সে যেন একটি দুম্বা কুরবানি করল।
>> যে ব্যক্তি চতুর্থ প্রহরে মসজিদে গমন করবে, সে যেন (আল্লাহর পথে) একটি মুরগি উৎসর্গ করল।
>> যে ব্যক্তি পঞ্চম প্রহরে মসজিদে গমন করবে, সে যেন (আল্লাহর পথে) একটি ডিম উৎসর্গ করল।
অতঃপর ইমাম মিম্বারে খোতবা প্রদানের জন্য আরোহন করলে ফেরেশতারা সাওয়াব লেখা বন্ধ করে (জিকির) খুতবা শোনার জন্য বসে পড়ে। (বুখারি)
হাদিসে উল্লেখিত ৫টি প্রহর/সময় হলো- ‘জুমআর দিন সূর্য উদয় হওয়া থেকে শুরু করে ইমামের মিম্বারে আরোহন পর্যন্ত সময়কে বুঝানো হয়েছে।’
যারা এ সময়গুলোর মধ্যে আগমন করবে; তারা হাদিসে উল্লেখিত সাওয়াবের অধিকারী হবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে ঘোষিত প্রহরগুলোর মধ্যে পবিত্রতার সঙ্গে মসজিদে আসার তাওফিক দান করুন। আমিন।