ঢাকা , সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাসুল (সা.) এর সুন্নত ও বিজ্ঞান

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ অনেক দিন ধরে ডাক্তার ও বৈজ্ঞানিকরা বলেছিলেন, প্রত্যেক মানুষ ভোরে উঠে সর্বপ্রথম দাঁত পরিষ্কার করবে, মুখ ব্রাশ করবে। এতে মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য টুথপেস্ট ও ব্রাশ কোম্পানিগুলো বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রতিযোগিতা ও নিরলস প্রচারণা চালাল। আরও রিসার্চ করে এখন তারা বলছেন, ভোরে ব্রাশ করার চেয়ে রাতে ব্রাশ করা আরও বেশি জরুরি। কারণ, দাঁত রাতেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দিনে আমরা কথা বলতে থাকি অথবা কিছু না কিছু খেতে থাকি, তাই মুখটা সবসময় নাড়াচাড়া করতে হয়। ফলে মুখের জীবাণুর ক্ষতি করার সুযোগ হয় না। কিন্তু রাতে দুর্গন্ধময় মুখ নিয়ে ঘুমায় বিধায় দাঁতের ফাঁকে অনেক খাদ্যকণা জমে থাকে। তা থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন জীবাণু তৈরি হয়।

তারা ক্ষতি করার সুযোগ পায়। তাই মানুষ অল্প বয়সে দাঁত হারায় বা মুখের বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়। এ কারণে ডাক্তার ও বিজ্ঞানীরা বলছেন, সকালে দাঁত পরিষ্কার করা ভালো; কিন্তু রাতে অবশ্যই দাঁত পরিষ্কার করতে হবে। এখানে বিজ্ঞানের গবেষণায় বারবার দুর্বলতা ও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন লক্ষণীয়। এ ক্ষেত্রে প্রিয় রাসুল (সা.) এর সুন্নত দেখুন। হজরত আয়েশা (রা.) এর বর্ণনায় রাসুল (সা.) এর পবিত্র সুন্নত হলো, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মতো রাতেও দাঁত মিসওয়াক বা পরিষ্কার করে ঘুমানো।

নবী করিম (সা.) মুসলমানদের শিক্ষা দিয়েছেন যে, তোমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অজু করার সময় প্রত্যহ পাঁচবার মিসওয়াক করো। তিনি এরশাদ করেছেন, উম্মতের জন্য কঠিন হওয়ার আশঙ্কা যদি না হতো, আমি প্রত্যেক নামাজে অজু করার সময় মিসওয়াক করা ফরজ করে দিতাম। আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে যখন পৃথিবী সায়েন্সের এ-বি-সিও জানত না, তখন প্রিয়নবী (সা.) প্রত্যেক নামাজের অজু করার সময় মিসওয়াক করা সুন্নতরূপে নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কতক সেমিনারের কথা আমরা শুনেছি। এসব সেমিনারে দু-তিন ঘণ্টা সেমিনার চলার পর পর শারীরিক ব্যায়াম করার জন্য ১০-১৫ মিনিট বিরতি দেয়। বিরতিতে প্রত্যেকে চেয়ারের পাশে দাঁড়িয়ে হাত উঁচু-নিচু করে ব্যায়াম করতে থাকে। কয়েক মিনিট পর সবাই নিজ স্থানে আবার বসে পড়ে। দু-তিন ঘণ্টা সেমিনার চললে ফের ব্যায়ামের জন্য বিরতি দেয়। এভাবে একটি সেমিনার ১২ ঘণ্টা বা দিনব্যাপী হলে কমপক্ষে চারবার ব্যায়ামের বিরতি দেয়। তাদের যদি প্রশ্ন করা হয়, আপনারা কেন এ রকম করেন?

উত্তরে তারা বলে, সাম্প্রতিক আমাদের গবেষণা মতে সকালে একবার কঠিন ব্যায়াম করার চেয়ে ২৪ ঘণ্টায় কয়েকবার হালকা ব্যায়াম করাই স্বাস্থ্যসম্মত। লক্ষ্য করুন, মুসলামানরা যখন দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন তখন কত সুন্দরভাবে ইবাদতের সঙ্গে সঙ্গে ব্যায়ামটা এমনিতেই হয়ে যায়। আলহামদুলিল্লাহ, মুসলমানদের দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজেই কত নীরবে স্বাস্থসম্মত ব্যায়াম এমনিতেই আদায় হয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ তায়ালার হুকুম মানার কারণে সওয়াবের সঙ্গে এই শারীরিক নেয়ামত মুসলমানদের এমনিতেই অর্জিত হয়।

এক নোবেল বিজয়ীর সাক্ষাৎকার পড়লাম, সেখানে তাকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, আমার কয়েকটি গুণের মধ্যে একটি গুণ হলো আমি এক ধরনের ব্যায়াম করে থাকি, যা অন্য কেউ করে না, ফলে আমার মস্তিষ্ক তুলনামুলক বেশি কাজ করে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, ব্যায়ামটা কী? উত্তরে তিনি বললেন, আমি মাথা নিচের দিকে এবং পা উপরের দিকে করে পনের মিনিট উল্টো দাঁড়িয়ে থাকি। ফলে আমার মস্তিষ্ক খুব ফ্রেশ হয়ে যায়। সাক্ষাৎকারটি পড়ে আমি অবাক হলাম!

দেখুন ঈমান আল্লাহর কত বড় নেয়ামত। তিনি বেঈমান হওয়ায় তাকে উল্টো দাঁড়িয়ে ব্যায়াম করতে হচ্ছে। অথচ সুন্নত তরিকায় নামাজ পড়লে ব্যায়ামটি মুসলমানদের এমনিতেই হয়ে যাচ্ছে। কীভাবে? যখন আমরা নামাজে সিজদা করি আমাদের হৃৎপি-টা উপরে এবং মাথা নিচে থাকে। সুন্নত পদ্ধতিতে সিজদা একটু দীর্ঘ করলে আপনি অবশ্যই অনুভব করবেন যে, চোখে কানে চেহারায় যেন রক্তবন্যা বয়ে যাচ্ছে। উল্টো দাঁড়ানোর চেয়ে দীর্ঘ সিজদা করা উত্তম ব্যায়াম নয় কি? আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টিও পেলেন, সঙ্গে পার্থিব শারীরিক  উপকারিতাও পেলেন।

একদা এক মার্কিন নাগরিক ডগ গ্লাস বাংলাদেশের পর্যটন নগরীতে বেড়াতে এলেন। তিনি বাইরে থেকে মসজিদে মুসলমানদের আসরের নামাজ আদায় করতে দেখে প্রশ্ন করলেন, ফ্রেন্ড! আমি শুনেছি মুসলমান নামাজিদের চেহারা খুব আলোকিত হয়। মুসলমান বলল ইয়েস ব্রাদার! তিনি বললেন, ফ্রেন্ড! এর কারণ কী? মুসলমানরা বলল, নামাজিরা দীর্ঘ সিজদা করে। ফলে তাদের চেহারার রূপলাবণ্য খুবই পুষ্ট থাকে। বার্ধক্যেও টগবগে যুবকের মতো দেখা যায়।

দীর্ঘ সিজদার কারণে চেহারার প্রত্যেকটি কোষে ভালোভাবে রক্ত চলাচল হয়। তাই তাদের চেহারা খুব হৃষ্টপুষ্ট হয়। অতঃপর তিনি বললেন, ফ্রেন্ডস! এ রহস্য আমাদের মেয়েরা জানলে অনেকে মুসলমান হয়ে দীর্ঘ দীর্ঘ সিজদা করত। প্রসাধনী ক্রিম ইত্যাদিতে তাদের ঘৃণা সৃষ্টি হতো। তার কথা শুনে মুসলমান বলল, পথহারা বিজ্ঞান ও গবেষণা যেখানে বারবার হোঁচট খায়, সেখানে প্রিয়তম (সা.) এর সুন্নত দেখা যায়।

যেসব দ্বীনদার মুসলমান তাহাজ্জুদ নামাজ এবং দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ খুশু-খুজু সহকারে আদায় করে, আল্লাহ তায়ালা তাদের চেহারায় নূর, লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা সৃষ্টি করে দেয়। এটি তার আনুগত্যের পুরস্কার, বন্দেগির ইনাম, যা তিনি স্বীয় বান্দাদেরই দান করে থাকেন। এটা কি উত্তম নয় যে, আমরা আল্লাহর ইবাদতও করব এবং পার্থিব উপকারিতাও ভোগ করব। আল্লাহ আমাদের জীবনকে রাসুল (সা.) এর সুন্নতের আলোকে যাপন করার তৌফিক দান করুন।

লেখক : খতিব, জামিয়া বায়তুল করিম জামে মসজিদ, হালিশহর, চট্টগ্রাম

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাসুল (সা.) এর সুন্নত ও বিজ্ঞান

আপডেট টাইম : ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ অক্টোবর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ অনেক দিন ধরে ডাক্তার ও বৈজ্ঞানিকরা বলেছিলেন, প্রত্যেক মানুষ ভোরে উঠে সর্বপ্রথম দাঁত পরিষ্কার করবে, মুখ ব্রাশ করবে। এতে মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য টুথপেস্ট ও ব্রাশ কোম্পানিগুলো বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রতিযোগিতা ও নিরলস প্রচারণা চালাল। আরও রিসার্চ করে এখন তারা বলছেন, ভোরে ব্রাশ করার চেয়ে রাতে ব্রাশ করা আরও বেশি জরুরি। কারণ, দাঁত রাতেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দিনে আমরা কথা বলতে থাকি অথবা কিছু না কিছু খেতে থাকি, তাই মুখটা সবসময় নাড়াচাড়া করতে হয়। ফলে মুখের জীবাণুর ক্ষতি করার সুযোগ হয় না। কিন্তু রাতে দুর্গন্ধময় মুখ নিয়ে ঘুমায় বিধায় দাঁতের ফাঁকে অনেক খাদ্যকণা জমে থাকে। তা থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন জীবাণু তৈরি হয়।

তারা ক্ষতি করার সুযোগ পায়। তাই মানুষ অল্প বয়সে দাঁত হারায় বা মুখের বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়। এ কারণে ডাক্তার ও বিজ্ঞানীরা বলছেন, সকালে দাঁত পরিষ্কার করা ভালো; কিন্তু রাতে অবশ্যই দাঁত পরিষ্কার করতে হবে। এখানে বিজ্ঞানের গবেষণায় বারবার দুর্বলতা ও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন লক্ষণীয়। এ ক্ষেত্রে প্রিয় রাসুল (সা.) এর সুন্নত দেখুন। হজরত আয়েশা (রা.) এর বর্ণনায় রাসুল (সা.) এর পবিত্র সুন্নত হলো, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মতো রাতেও দাঁত মিসওয়াক বা পরিষ্কার করে ঘুমানো।

নবী করিম (সা.) মুসলমানদের শিক্ষা দিয়েছেন যে, তোমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অজু করার সময় প্রত্যহ পাঁচবার মিসওয়াক করো। তিনি এরশাদ করেছেন, উম্মতের জন্য কঠিন হওয়ার আশঙ্কা যদি না হতো, আমি প্রত্যেক নামাজে অজু করার সময় মিসওয়াক করা ফরজ করে দিতাম। আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে যখন পৃথিবী সায়েন্সের এ-বি-সিও জানত না, তখন প্রিয়নবী (সা.) প্রত্যেক নামাজের অজু করার সময় মিসওয়াক করা সুন্নতরূপে নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কতক সেমিনারের কথা আমরা শুনেছি। এসব সেমিনারে দু-তিন ঘণ্টা সেমিনার চলার পর পর শারীরিক ব্যায়াম করার জন্য ১০-১৫ মিনিট বিরতি দেয়। বিরতিতে প্রত্যেকে চেয়ারের পাশে দাঁড়িয়ে হাত উঁচু-নিচু করে ব্যায়াম করতে থাকে। কয়েক মিনিট পর সবাই নিজ স্থানে আবার বসে পড়ে। দু-তিন ঘণ্টা সেমিনার চললে ফের ব্যায়ামের জন্য বিরতি দেয়। এভাবে একটি সেমিনার ১২ ঘণ্টা বা দিনব্যাপী হলে কমপক্ষে চারবার ব্যায়ামের বিরতি দেয়। তাদের যদি প্রশ্ন করা হয়, আপনারা কেন এ রকম করেন?

উত্তরে তারা বলে, সাম্প্রতিক আমাদের গবেষণা মতে সকালে একবার কঠিন ব্যায়াম করার চেয়ে ২৪ ঘণ্টায় কয়েকবার হালকা ব্যায়াম করাই স্বাস্থ্যসম্মত। লক্ষ্য করুন, মুসলামানরা যখন দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন তখন কত সুন্দরভাবে ইবাদতের সঙ্গে সঙ্গে ব্যায়ামটা এমনিতেই হয়ে যায়। আলহামদুলিল্লাহ, মুসলমানদের দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজেই কত নীরবে স্বাস্থসম্মত ব্যায়াম এমনিতেই আদায় হয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ তায়ালার হুকুম মানার কারণে সওয়াবের সঙ্গে এই শারীরিক নেয়ামত মুসলমানদের এমনিতেই অর্জিত হয়।

এক নোবেল বিজয়ীর সাক্ষাৎকার পড়লাম, সেখানে তাকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, আমার কয়েকটি গুণের মধ্যে একটি গুণ হলো আমি এক ধরনের ব্যায়াম করে থাকি, যা অন্য কেউ করে না, ফলে আমার মস্তিষ্ক তুলনামুলক বেশি কাজ করে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, ব্যায়ামটা কী? উত্তরে তিনি বললেন, আমি মাথা নিচের দিকে এবং পা উপরের দিকে করে পনের মিনিট উল্টো দাঁড়িয়ে থাকি। ফলে আমার মস্তিষ্ক খুব ফ্রেশ হয়ে যায়। সাক্ষাৎকারটি পড়ে আমি অবাক হলাম!

দেখুন ঈমান আল্লাহর কত বড় নেয়ামত। তিনি বেঈমান হওয়ায় তাকে উল্টো দাঁড়িয়ে ব্যায়াম করতে হচ্ছে। অথচ সুন্নত তরিকায় নামাজ পড়লে ব্যায়ামটি মুসলমানদের এমনিতেই হয়ে যাচ্ছে। কীভাবে? যখন আমরা নামাজে সিজদা করি আমাদের হৃৎপি-টা উপরে এবং মাথা নিচে থাকে। সুন্নত পদ্ধতিতে সিজদা একটু দীর্ঘ করলে আপনি অবশ্যই অনুভব করবেন যে, চোখে কানে চেহারায় যেন রক্তবন্যা বয়ে যাচ্ছে। উল্টো দাঁড়ানোর চেয়ে দীর্ঘ সিজদা করা উত্তম ব্যায়াম নয় কি? আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টিও পেলেন, সঙ্গে পার্থিব শারীরিক  উপকারিতাও পেলেন।

একদা এক মার্কিন নাগরিক ডগ গ্লাস বাংলাদেশের পর্যটন নগরীতে বেড়াতে এলেন। তিনি বাইরে থেকে মসজিদে মুসলমানদের আসরের নামাজ আদায় করতে দেখে প্রশ্ন করলেন, ফ্রেন্ড! আমি শুনেছি মুসলমান নামাজিদের চেহারা খুব আলোকিত হয়। মুসলমান বলল ইয়েস ব্রাদার! তিনি বললেন, ফ্রেন্ড! এর কারণ কী? মুসলমানরা বলল, নামাজিরা দীর্ঘ সিজদা করে। ফলে তাদের চেহারার রূপলাবণ্য খুবই পুষ্ট থাকে। বার্ধক্যেও টগবগে যুবকের মতো দেখা যায়।

দীর্ঘ সিজদার কারণে চেহারার প্রত্যেকটি কোষে ভালোভাবে রক্ত চলাচল হয়। তাই তাদের চেহারা খুব হৃষ্টপুষ্ট হয়। অতঃপর তিনি বললেন, ফ্রেন্ডস! এ রহস্য আমাদের মেয়েরা জানলে অনেকে মুসলমান হয়ে দীর্ঘ দীর্ঘ সিজদা করত। প্রসাধনী ক্রিম ইত্যাদিতে তাদের ঘৃণা সৃষ্টি হতো। তার কথা শুনে মুসলমান বলল, পথহারা বিজ্ঞান ও গবেষণা যেখানে বারবার হোঁচট খায়, সেখানে প্রিয়তম (সা.) এর সুন্নত দেখা যায়।

যেসব দ্বীনদার মুসলমান তাহাজ্জুদ নামাজ এবং দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ খুশু-খুজু সহকারে আদায় করে, আল্লাহ তায়ালা তাদের চেহারায় নূর, লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা সৃষ্টি করে দেয়। এটি তার আনুগত্যের পুরস্কার, বন্দেগির ইনাম, যা তিনি স্বীয় বান্দাদেরই দান করে থাকেন। এটা কি উত্তম নয় যে, আমরা আল্লাহর ইবাদতও করব এবং পার্থিব উপকারিতাও ভোগ করব। আল্লাহ আমাদের জীবনকে রাসুল (সা.) এর সুন্নতের আলোকে যাপন করার তৌফিক দান করুন।

লেখক : খতিব, জামিয়া বায়তুল করিম জামে মসজিদ, হালিশহর, চট্টগ্রাম