বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা.) এর মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত পৃথিবীর ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এর মাধ্যমেই ইতিহাসে প্রথমবারের মত এক ঐশী আদর্শের ভিত্তিতে একটি স্বতন্ত্র ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দ্বার উন্মুক্ত হয়। হিজরতের এমনই দশটি বিষয় সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল।
এক. ইসলামের জন্য রাসূল (সা.) এবং প্রাথমিক যুগের সকল সাহাবাদের অনন্য ত্যাগ ও জীবন-সংগ্রামের নগদ ফলাফল হিজরতের মাধ্যমে লাভ হয়।
দুই. হিজরতের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই হিজরী ক্যালেন্ডারের সূচনা হয়।
তিন. হিজরত-পরবর্তী সময়েই রাসূল (সা.) এর প্রশিক্ষনের ভিত্তিতে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়।
চার. হিজরতের মাধ্যমেই ইসলামের ইতিহাসে নিগ্রহের যুগ শেষ হয়ে সমৃদ্ধির যুগের সূচনা হয়।
পাঁচ. হিজরত মানুষকে আশান্বিত করে যে, শত কষ্ট ও প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও মানুষের জন্য আশার এক আলো রয়েছে।
ছয়. মদীনায় মুহাজির ও আনসারদের পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব সকল মুসলমানকে ভিন্ন প্রেক্ষাপট থাকা স্বত্ত্বেও এক কালিমার ছায়াতলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হতে শিক্ষা প্রদান করে।
সাত. হিজরতের মাধ্যমেই ইসলাম পৃথিবীর বুকে একটি স্বতন্ত্র শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
আট. বর্ণবাদ, জাতিবিদ্বেষ, অসাম্য ও অন্যায় হতে মানবতাকে মুক্ত করার সংগ্রামের সূচনা হয় হিজরতের মাধ্যমেই।
নয়. আরবের বুকে গোত্রতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা এবং বিশ্বে জাতিগত রাষ্ট্র ও সাম্রাজ্যের পরিবর্তে প্রথম আদর্শভিত্তিক রাষ্ট্রের দৃষ্টান্ত হিজরতের মাধ্যমেই মদীনাতে প্রতিষ্ঠিত হয়।
দশ. ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার দৃষ্টান্ত হিজরতের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হয়।