ইয়াওমুল জুমআ তথা শুক্রবার দিন মুমিন মুসলমানের রয়েছে অনেক করণীয় কাজ। যারা এ দিনের করণীয়গুলো যথাযথ আদায় করবে তাদের জন্য রয়েছে অনেক ফজিলত ও মর্যাদা।
হজরত আবু সাঈদ খুদরি ও হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে, সুগন্ধি থাকলে ব্যবহার করবে এবং জুমার নামাজ আদায়ে মসজিদের দিকে যাবে, (মসজিদে) লোকদের ঘাড় টপকাবে না (অর্থাৎ যেখানে খালি জায়গা পাবে সেখানেই বসে যাবে) আর মহান আল্লাহর নির্ধারিত নামাজ আদায় করে ইমামের খুতবা থেকে শুরু করে নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত নিরবতা পালন করবে। এটা তার জন্য এ জুমআ ও পরবর্তী জুমার মধ্যবর্তী যাবতীয় গোনাহের কাফ্ফারা হয়ে যাবে।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আরো ৩ দিনের গোনাহেরও কাফ্ফারা হবে। কেননা নেক কাজের সাওয়াব ১০ গুণ হয়।’ (আবু দাউদ, ইবনে খুযায়মা, মুসনাদে আহমদ, মুসতাদরেকে হাকেম)
আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত কাজগুলো যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমাসহ ন্যূনতম ১০ দিনের গোনাহ থেকে হেফাজত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।