ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহ অটোমেটিক চয়েজ

জাতীয় দলে টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহ অটোমেটিক চয়েজ! শুনে বিভ্রান্ত মনে হলেও বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস এ কথাই বলেছেন গণমাধ্যমে। তার দাবি, মাহমুদউল্লাহ অটোমেটিকলি টি-টোয়েন্ট দলে যুক্ত হচ্ছেন।

যদিও বছর খানেক আগেও তাকে এই ফরম্যাটে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। শুধু তাই নয়, নতুনের ডাকে সাড়া দিয়ে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে যে তরুণ দলটি গঠন করা হয়েছিল সেখানে জায়গা হয়নি মাহমুদউল্লাহর। শুধু একটি দুটি ম্যাচ নয়, একাধিক সিরিজে মাহমুদউল্লাহ উপেক্ষিত ছিলেন।

কিন্তু হঠাৎ তাকে নিয়ে আবার আলোচনার কারণ, চলতি বিপিএলের পারফরম্যান্স। মঙ্গলবার ২৪ বলে ৫১ রান করেছেন ৭ চার ও ২ ছক্কায়। এর আগে দুই ইনিংসে সিঙ্গেল ডিজিটে আউট হলেও প্রথম ম্যাচে ১১ বলে ২ ছক্কায় অপরাজিত ১৯ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ১৯ বলে ২৭ রান করেছিলেন ২টি করে চার ও ছক্কায়। শেষ দিকে নেমে অতি দ্রুত এবং কার্যকরী ইনিংস খেলায় মাহমুদউল্লাহর পারফরম্যান্স আলাদাভাবে নজর কেড়েছে।

তাইতো নীতি নির্ধারকদের কণ্ঠে তাকে নিয়ে উচ্ছ্বাস পাওয়া গেল, ‘কী বলব…মাহমুদউল্লাহর ব্রিলিয়ান্ট পারফরম্যান্স। একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে জায়গাটায় তার স্ট্রাইক রেট ছিল, দ্যাট ওয়াজ ফ্যান্টাসটিক। ওই স্ট্রাইক রেটেই তো সে আটোমেটিকলি চলে আসে টি-টোয়েন্টিতে। আর এখন প্রমাণ করছে।’

মাহমুদউল্লাহ অটোমেটিক চয়েজ দাবি করে জালাল ইউনুস যোগ করেন, ‘যে জায়গায় সে খেলছে, অটোমেটিক চয়েজ। এই মুহূর্তে সে চান্স পাবে কী পাবে না, এই প্রশ্নটা উঠছে না। হিজ ডুইং ওয়েল, হিজ পারফর্মিং ওয়েল। হি হ্যাজ বিকেম অ্যা পারফর্মার। আমি তো মনে করি অটোমেটিকালি হি কামস ইনটু দ্য সাইড। দ্বিতীয় চিন্তার অবকাশ নেই।’

গত বছর এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির পর মাহমুদউল্লাহ জাতীয় দলের হয়ে এই ফরম্যাটে কোনো ম্যাচ খেলেননি। এরপর জাতীয় দল ২৫টি ম্যাচ খেললেও মাহমুদউল্লাহ ছিলেন আড়ালে। লম্বা সময় পর টি-টোয়েন্টিতে তার পারফরম্যান্স জ্বলজ্বলে। যে পজিশনে মাহমুদউল্লাহ ব্যাটিং করছেন সেখানে অন্যরা কেউ ভালো করতে পারছেন না। ফলে মাহমুদউল্লাহকে আবার জাতীয় দলে দেখা কেবল সময়ের ব্যাপার।

তাকে দলে নিতে বয়স কোনো বাঁধা হবে না তা সাফ জানিয়েছেন জালাল ইউনুস, ‘বয়স কোনো বাধা নয়। আপনি ফিজিক্যালি হাউ মাচ ফিট দ্যাট ইজ ভেরি ইমপরট্যান্ট। অ্যান্ডারসন কিন্তু ৪১ বছর বয়সেও বোলিং করছে, টেস্টে করছে। কোন খেলোয়াড় যদি নিজেকে ফিট রাখে, হি ক্যান কন্টিনিউ। যদি পারফর্ম করে তাহলে তো তাকে টিমে রাখতে অসুবিধা নেই। মাহমুদউল্লাহ পারফর্ম করছে। বোলিং, ফিল্ডিংয়ে সে প্রোঅ্যাক্টিভ। তাহলে হোয়াই নট। এজন্য বয়সটা বড় ফ্যাক্টর নয়।’

বিপিএলের শুরুটা দারুণ করেছেন মাহমুদউল্লাহ। শেষটাও নিজের মতো করে রাঙাতে পারলে জাতীয় দলের জার্সি আবার গায়ে জড়াতে যাচ্ছেন মারকুটে ব্যাটসম্যান।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহ অটোমেটিক চয়েজ

আপডেট টাইম : ০৫:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪

জাতীয় দলে টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহ অটোমেটিক চয়েজ! শুনে বিভ্রান্ত মনে হলেও বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস এ কথাই বলেছেন গণমাধ্যমে। তার দাবি, মাহমুদউল্লাহ অটোমেটিকলি টি-টোয়েন্ট দলে যুক্ত হচ্ছেন।

যদিও বছর খানেক আগেও তাকে এই ফরম্যাটে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। শুধু তাই নয়, নতুনের ডাকে সাড়া দিয়ে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে যে তরুণ দলটি গঠন করা হয়েছিল সেখানে জায়গা হয়নি মাহমুদউল্লাহর। শুধু একটি দুটি ম্যাচ নয়, একাধিক সিরিজে মাহমুদউল্লাহ উপেক্ষিত ছিলেন।

কিন্তু হঠাৎ তাকে নিয়ে আবার আলোচনার কারণ, চলতি বিপিএলের পারফরম্যান্স। মঙ্গলবার ২৪ বলে ৫১ রান করেছেন ৭ চার ও ২ ছক্কায়। এর আগে দুই ইনিংসে সিঙ্গেল ডিজিটে আউট হলেও প্রথম ম্যাচে ১১ বলে ২ ছক্কায় অপরাজিত ১৯ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ১৯ বলে ২৭ রান করেছিলেন ২টি করে চার ও ছক্কায়। শেষ দিকে নেমে অতি দ্রুত এবং কার্যকরী ইনিংস খেলায় মাহমুদউল্লাহর পারফরম্যান্স আলাদাভাবে নজর কেড়েছে।

তাইতো নীতি নির্ধারকদের কণ্ঠে তাকে নিয়ে উচ্ছ্বাস পাওয়া গেল, ‘কী বলব…মাহমুদউল্লাহর ব্রিলিয়ান্ট পারফরম্যান্স। একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে জায়গাটায় তার স্ট্রাইক রেট ছিল, দ্যাট ওয়াজ ফ্যান্টাসটিক। ওই স্ট্রাইক রেটেই তো সে আটোমেটিকলি চলে আসে টি-টোয়েন্টিতে। আর এখন প্রমাণ করছে।’

মাহমুদউল্লাহ অটোমেটিক চয়েজ দাবি করে জালাল ইউনুস যোগ করেন, ‘যে জায়গায় সে খেলছে, অটোমেটিক চয়েজ। এই মুহূর্তে সে চান্স পাবে কী পাবে না, এই প্রশ্নটা উঠছে না। হিজ ডুইং ওয়েল, হিজ পারফর্মিং ওয়েল। হি হ্যাজ বিকেম অ্যা পারফর্মার। আমি তো মনে করি অটোমেটিকালি হি কামস ইনটু দ্য সাইড। দ্বিতীয় চিন্তার অবকাশ নেই।’

গত বছর এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির পর মাহমুদউল্লাহ জাতীয় দলের হয়ে এই ফরম্যাটে কোনো ম্যাচ খেলেননি। এরপর জাতীয় দল ২৫টি ম্যাচ খেললেও মাহমুদউল্লাহ ছিলেন আড়ালে। লম্বা সময় পর টি-টোয়েন্টিতে তার পারফরম্যান্স জ্বলজ্বলে। যে পজিশনে মাহমুদউল্লাহ ব্যাটিং করছেন সেখানে অন্যরা কেউ ভালো করতে পারছেন না। ফলে মাহমুদউল্লাহকে আবার জাতীয় দলে দেখা কেবল সময়ের ব্যাপার।

তাকে দলে নিতে বয়স কোনো বাঁধা হবে না তা সাফ জানিয়েছেন জালাল ইউনুস, ‘বয়স কোনো বাধা নয়। আপনি ফিজিক্যালি হাউ মাচ ফিট দ্যাট ইজ ভেরি ইমপরট্যান্ট। অ্যান্ডারসন কিন্তু ৪১ বছর বয়সেও বোলিং করছে, টেস্টে করছে। কোন খেলোয়াড় যদি নিজেকে ফিট রাখে, হি ক্যান কন্টিনিউ। যদি পারফর্ম করে তাহলে তো তাকে টিমে রাখতে অসুবিধা নেই। মাহমুদউল্লাহ পারফর্ম করছে। বোলিং, ফিল্ডিংয়ে সে প্রোঅ্যাক্টিভ। তাহলে হোয়াই নট। এজন্য বয়সটা বড় ফ্যাক্টর নয়।’

বিপিএলের শুরুটা দারুণ করেছেন মাহমুদউল্লাহ। শেষটাও নিজের মতো করে রাঙাতে পারলে জাতীয় দলের জার্সি আবার গায়ে জড়াতে যাচ্ছেন মারকুটে ব্যাটসম্যান।