ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাশরাফি-সাকিবদের সঙ্গে আকরাম-নান্নুদের ক্রিকেট ম্যাচ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  আচ্ছা, ভাবুন তো মাশরাফি বল করছেন, তার বিপক্ষে ব্যাট করছেন মেহরাব হোসেন অপি, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ;
কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ আর দুই দ্রুত গতির বোলার রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদের সামনে ব্যাটসম্যান হাবিবুল বাশার কিংবা মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।

ব্যাটসম্যান আকরাম খান, বোলার সাকিব আল হাসান। কিংবা মোহাম্মদ রফিকের বোলিংয়ের সামনে তামিম ইকবাল-
উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে খালেদ মাসুদ পাইলট। খালেদ মাহমুদ সুজন বা নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের বিপক্ষে ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহীম বা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

নিশ্চয়ই প্রশ্ন আসবে, তা কী করে সম্ভব? মিনহাজুল আবেদিন, আকরাম খান, হাবিবুল বাশার, মেহরাব হোসেন অপি, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, খালেদ মাহমুদ সুজন, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, খালেদ মাসুদ পাইলট আর মোহাম্মদ রফিকরা তো আর এখন খেলেন না।

কেউ বোর্ড পরিচালক, কেউ বা নির্বাচক। আবার কেউ কেউ প্রশিক্ষক। কাজেই এই দুই প্রজন্মের ক্রিকেটারদের মুখোমুখি হওয়া যে অলীক কল্পনা। শুধু কল্পনায়ই তাদের মোকাবিলা বা মুখোমুখি হওয়ার দৃশ্য দেখা সম্ভব। বাস্তবে এ দুই প্রজন্মের ক্রিকেট লড়াই দেখা হওয়ার সুযোগ কই? কিন্তু না। সব কিছু ঠিক থাকলে হয়তো খুব শিগগিরই তাদের দেখা হয়ে যাবে।

যাদের হাত ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট সর্বোচ্চ পর্যায়ে, বিশ্ব মানে- সেই মিনহাজুল আবেদিন, আকরাম খান, হাবিবুল বাশার, খালেদ মাহমুদ, খালেদ মাসুদ ও মোহাম্মদ নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও মোহাম্মদ রফিকদের সাথে মাশরাফি, তামিম, মুশফিক, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ ও মোস্তাফিজ-মিরাজদের ব্যাট ও বলের দুর্লভ লড়াই দেখার সুযোগ চলে আসছে।

সব কিছু ঠিক থাকলে সম্ভবত ২৯ জুলাই কক্সবাজারের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই প্রজন্মের তারকাদের ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় দলের সাবেক এক অধিনায়ক আজ এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের প্রজন্মের সাথে বর্তমান প্রজন্মের একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করতে যাচ্ছি আমরা। লক্ষ্য- মূলত প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করতে। পাশাপাশি আমাদের প্রজন্মের ক্রিকেটারদের অনেকের সাথে বর্তমান ক্রিকেটারদের পরিচয় করিয়ে দিতে।’

‘যাদের গল্প শুনে কিংবা খেলা দেখে বড় হয়েছে মাশরাফি, তামিম, সাকিব ,তামিম ও মাহমুদউল্লাহরা। কিন্তু কখনো মাঠে একসঙ্গে খেলা হয়নি। কিংবা প্রতিপক্ষ হিসেবেও যাদের দেখা মেলেনি। সেই সাবেক ক্রিকেটারদের সাথে একটা প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করতে যাচ্ছি আমরা।’

সম্ভাব্য দিনক্ষণও চূড়ান্ত। আগামী ২৯ জুলাই কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত ঘেঁষা শেখ কামাল স্টেডিয়ামেই বর্তমান জাতীয় দলের সাথে সাবেক জাতীয় ক্রিকেটারদের প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ। তার আগে মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভালের এবারের পর্ব হবে একই ভেন্যুতে। আগামী ২৬ থেকে ২৮ জুলাই চলবে সাবেকদের এই ক্রিকেট উৎসব।

আগের মতোই ছয়টি দল অংশ নেবে এ আসরে। ঢাকা বিভাগ, ঢাকা মেট্রো, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও অলস্টার ইলেভেন- এই ছয় দল অংশ নেবে সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের এ আয়োজনে। এ আসর শেষেই জাতীয় দলের সাথে প্রীতি ম্যাচটি হবে।

এদিকে ২৮ জুলাই দেশে পা রাখবেন জাতীয় দলের হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। তিনি কি জাতীয় দলের সাথে সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের প্রীতি ম্যাচ খেলার অনুমতি দেবেন? এ ম্যাচের অন্যতম আয়োজক ও মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভালের অন্যতম উদ্যোক্তা খালেদ মাহমুদ সুজন জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, ‘আমরা আগেভাগেই হাথুরুর সাথে কথা বলেছি। সমস্যা হবে না। তার অনুমতি নিয়েই ওই প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

মাশরাফি-সাকিবদের সঙ্গে আকরাম-নান্নুদের ক্রিকেট ম্যাচ

আপডেট টাইম : ১২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  আচ্ছা, ভাবুন তো মাশরাফি বল করছেন, তার বিপক্ষে ব্যাট করছেন মেহরাব হোসেন অপি, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ;
কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ আর দুই দ্রুত গতির বোলার রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদের সামনে ব্যাটসম্যান হাবিবুল বাশার কিংবা মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।

ব্যাটসম্যান আকরাম খান, বোলার সাকিব আল হাসান। কিংবা মোহাম্মদ রফিকের বোলিংয়ের সামনে তামিম ইকবাল-
উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে খালেদ মাসুদ পাইলট। খালেদ মাহমুদ সুজন বা নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের বিপক্ষে ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহীম বা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

নিশ্চয়ই প্রশ্ন আসবে, তা কী করে সম্ভব? মিনহাজুল আবেদিন, আকরাম খান, হাবিবুল বাশার, মেহরাব হোসেন অপি, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, খালেদ মাহমুদ সুজন, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, খালেদ মাসুদ পাইলট আর মোহাম্মদ রফিকরা তো আর এখন খেলেন না।

কেউ বোর্ড পরিচালক, কেউ বা নির্বাচক। আবার কেউ কেউ প্রশিক্ষক। কাজেই এই দুই প্রজন্মের ক্রিকেটারদের মুখোমুখি হওয়া যে অলীক কল্পনা। শুধু কল্পনায়ই তাদের মোকাবিলা বা মুখোমুখি হওয়ার দৃশ্য দেখা সম্ভব। বাস্তবে এ দুই প্রজন্মের ক্রিকেট লড়াই দেখা হওয়ার সুযোগ কই? কিন্তু না। সব কিছু ঠিক থাকলে হয়তো খুব শিগগিরই তাদের দেখা হয়ে যাবে।

যাদের হাত ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট সর্বোচ্চ পর্যায়ে, বিশ্ব মানে- সেই মিনহাজুল আবেদিন, আকরাম খান, হাবিবুল বাশার, খালেদ মাহমুদ, খালেদ মাসুদ ও মোহাম্মদ নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও মোহাম্মদ রফিকদের সাথে মাশরাফি, তামিম, মুশফিক, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ ও মোস্তাফিজ-মিরাজদের ব্যাট ও বলের দুর্লভ লড়াই দেখার সুযোগ চলে আসছে।

সব কিছু ঠিক থাকলে সম্ভবত ২৯ জুলাই কক্সবাজারের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই প্রজন্মের তারকাদের ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় দলের সাবেক এক অধিনায়ক আজ এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের প্রজন্মের সাথে বর্তমান প্রজন্মের একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করতে যাচ্ছি আমরা। লক্ষ্য- মূলত প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করতে। পাশাপাশি আমাদের প্রজন্মের ক্রিকেটারদের অনেকের সাথে বর্তমান ক্রিকেটারদের পরিচয় করিয়ে দিতে।’

‘যাদের গল্প শুনে কিংবা খেলা দেখে বড় হয়েছে মাশরাফি, তামিম, সাকিব ,তামিম ও মাহমুদউল্লাহরা। কিন্তু কখনো মাঠে একসঙ্গে খেলা হয়নি। কিংবা প্রতিপক্ষ হিসেবেও যাদের দেখা মেলেনি। সেই সাবেক ক্রিকেটারদের সাথে একটা প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করতে যাচ্ছি আমরা।’

সম্ভাব্য দিনক্ষণও চূড়ান্ত। আগামী ২৯ জুলাই কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত ঘেঁষা শেখ কামাল স্টেডিয়ামেই বর্তমান জাতীয় দলের সাথে সাবেক জাতীয় ক্রিকেটারদের প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ। তার আগে মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভালের এবারের পর্ব হবে একই ভেন্যুতে। আগামী ২৬ থেকে ২৮ জুলাই চলবে সাবেকদের এই ক্রিকেট উৎসব।

আগের মতোই ছয়টি দল অংশ নেবে এ আসরে। ঢাকা বিভাগ, ঢাকা মেট্রো, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও অলস্টার ইলেভেন- এই ছয় দল অংশ নেবে সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের এ আয়োজনে। এ আসর শেষেই জাতীয় দলের সাথে প্রীতি ম্যাচটি হবে।

এদিকে ২৮ জুলাই দেশে পা রাখবেন জাতীয় দলের হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। তিনি কি জাতীয় দলের সাথে সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের প্রীতি ম্যাচ খেলার অনুমতি দেবেন? এ ম্যাচের অন্যতম আয়োজক ও মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভালের অন্যতম উদ্যোক্তা খালেদ মাহমুদ সুজন জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, ‘আমরা আগেভাগেই হাথুরুর সাথে কথা বলেছি। সমস্যা হবে না। তার অনুমতি নিয়েই ওই প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হবে।