বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলেছে ঢাকা ক্যাপিটাল। তবে এর কোনোটিতেই একাদশে ছিলেন না সাব্বির রহমান। কিন্তু এই টপঅর্ডার ব্যাটারের একাদশে জায়গা না পাওয়ার কারণ শুধু কম্বিনেশন নয়, শৃঙ্খলাভঙ্গও ছিল।
জানা যায়, সাব্বির গত ১ জানুয়ারি দলের অনুশীলনে ছিলেন না। এরপরই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার দলের অনুশীলন শেষে হেড কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন এমনটিই জানিয়েছেন। গত ১ জানুয়ারি অনুশীলনে হাজির না হওয়ায় পরের ম্যাচে তাকে খেলানো হয়নি বলে জানান ঢাকার কোচ।
সুজন বলেন, ‘সাব্বিরকে আমরা খেলাতে পারিনি, কম্বিনেশনের কারণে। এছাড়াও কিছু অন্য ইস্যু ছিল, অনেকেই হয়তো বলেছেন ফেসবুক বা সামাজিক মাধ্যমে। ভেতরের অনেক কিছু অনেকে জানে না বলে হয়তো মন্তব্য করে দেওয়াটা অনেক সহজ। এখানে আমার হাত ছিল না। অধিনায়কও ছিল দলে, তারও বলার থাকে অনেক কিছু। ’
‘ট্রেনিংয়ের ব্যাপারগুলো থাকে, যেগুলো আমরা বলতে পারি না অনেক কিছু। হ্যাঁ, ট্রেনিংয়ে সাব্বির অনুপস্থিত ছিল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচের মাঝে যে অনুশীলনে আসেনি। টিম ডিসিপ্লিনের ব্যাপারও ছিল, এই কারণেই তাকে খেলানো হয়নি, বিশেষ করে তৃতীয় ম্যাচটি, যেটি ছিল ২ তারিখে। ওই ম্যাচটি খেলানো হয়নি ১ তারিখে অনুশীলনে না আসার জন্য। ’
এদিকে ক্যারিয়ারজুড়েই শৃঙ্খলাভঙ্গের নানা ঘটনা ঘটিয়েছেন সাব্বির রহমান। এখন তো ফর্মেও নেই। গত আসরের বিপিএলেও খেলতে পারেননি। তবে এক্ষেত্রে সাব্বিরের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন সুজন। কালকের ম্যাচে সাব্বির খেলবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সুজন বলেন, ‘এটা পুরোপুরি ডিসিপ্লিনারি ইস্যু। এছাড়া সাব্বির ভালো ক্রিকেটার। আশা করি, কালকের ম্যাচ থেকে ওকে খেলাতে পারব এবং আশা করি সেরাটা খেলবে। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সে, একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের অভাব আছে আমাদের মিডল অর্ডারে। সাব্বিরের অন্তর্ভুক্তি আমাদের জন্য খুব ভালো হবে। এটা খুব সহজ পাবলিকলি বললাম, কারণ একটা দূরত্ব থেকে যেত, এজন্য বলে দিলাম। ওর ভক্তরাও বুঝতে পারবে যে ও কেন খেলেনি। এই একটা কারণই ছিল। আশা করি ওকে কালকের ম্যাচ থেকে খেলাতে পারব ও ওর সার্ভিসটা পাব। ’
‘এটা আমি ওকে বলেছি যে, না-ই আসতে পারে অনুশীলনে। অনেক ক্রিকেটারই ম্যাচের আগের দিন অনুশীলন করে না। কিন্তু আমি চাই, আমার প্রত্যেকটি ক্রিকেটার ম্যাচের আগের দিন ট্রেনিং করুক বা না করুক, ড্রেসিংরুমে যেন থাকে। সাব্বিরকে এটিই বুঝিয়েছি। ১ তারিখের অনুশীলনে সে আসবে না, এটা আমরা কেউ জানতাম না যে সে কেন আসেনি। ডিসিপ্লিনারি ইস্যু এজন্যই বললাম, যদি বলে নিত, তাহলে সেটা ডিসিপ্লিনারি ইস্যু নয়। কিন্তু আমি বা ম্যানেজার কেউই জানত না। ’
‘মাঠে গিয়ে যখন তাকে খুঁজি, জানি না যে সে কেন নেই, তাহলে তো সত্যিই শকিং ব্যাপার। আমি ওর সঙ্গে কথা বলেছি। সে অনুধাবন করতে পেরেছে। সে বলেছে যে, “সুজন ভাই ভুল হয়েছে, আপনি রাগ করবেন না’। আমার বিশ্বাস, ঢাকা ক্যাপিটালসের বাকি পুরো পথচলায় সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে সে আমাকে সাপোর্ট করবে এবং সিনিয়র ক্রিকেটারের মতো আচরণ করবে। যেন ওর কাছ থেকে আমর ভালো সার্ভিস পাই। আমি মনে করি, এই ব্যাপারগুলো সে মেনে নেবে এবং কালকে নতুনভাবে নিজের সেরাটা দেবে দলের জন্য।’