ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাশরাফির বিশ্বাস ইংল্যান্ড আসবে

সম্প্রতি গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার পর অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে ইংল্যান্ডের আসন্ন বাংলাদেশ সফর নিয়ে। যার দরূন ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সফর করেছে তিন সদস্যের ইংল্যান্ড নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ দল। দেশে ফেরার আগে তারা এদেশীয় গণমাধ্যমকে সন্তুষ্টির কথা জানালেও, দেশে ফিরে বুধবার ভেন্যুর বাইরের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দলটির প্রধান রেগ ডিকসন। এ অবস্থায় নিরাপত্তার অতীত ইতিহাস স্মরণ করে বাংলাদেশ সফরে আসার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় দলের ওয়ানডে ফরমেটের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি বিশ্বাস করেন, সব শঙ্কা ভুলে গিয়ে সিরিজ খেলতে আসবে ইংল্যান্ড। আর এই সিরিজে অংশ নেওয়ার মধ্যদিয়ে খেলার ধারাবাহিকতাও চালু থাকবে উভয় দলের মধ্য।

বুধবার(২৪ আগস্ট) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে মাশরাফি বলেন, ‘প্রথমত বলব, তাদের আসতে। এখনও আমি বিশ্বাস করি তারা আসবে।স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যেভাবে অন্যান্য টিমের প্লেয়ারদের নিরাপত্তা দেয়া হয়, আমরা আত্নবিশ্বাস এবারও বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ড ও সরকারের তরফ থেকে সেভাবে নিরাপত্তা দেয়া হবে।’

ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর নিয়ে মাশরাফির আত্নবিশ্বাসের মূলে রয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ওই ধরনের (নিরাপত্তা জনিত) কোনো সমস্য হবে না। আমাদের সঙ্গে ইংল্যান্ডের ভাল সম্পর্ক রয়েছে। এর আগেও দু’বার(ইংল্যান্ড) বাংলাদেশে এসেছে। ইংল্যান্ড আমাদের বিবেচনা করবে এবং আমরাও নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। যতুটুক জেনেছি, সিকিউরিটি সর্বোচ্চ পর্যায়ের যেটা থাকবে সেটাই নিশ্চিত করা হবে। প্রয়োজনে বাড়ানো হবে। সেই সুযোগ আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের আছে। এর আগে আমরা দিয়ে এসেছি। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা বড় বড় টুর্নামেন্ট করেছি।’

সংবাদ সম্মেলনে ইংল্যান্ডের ভিন্ন দুই ফরম্যাটের অধিনায়ককে উদ্দেশ্যে করে এসময় মাশরাফি বলেন,‘তোমরা আসবা এবং আমি নিশ্চিত যে এখানে এসে খেলা ছাড়া অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই। এখানে এসে স্বস্তিতে ক্রিকেট খেলতে পারবে এবং ভাল প্রতিযোগিতা হবে আশা করি।’

ক্রিকেটের স্বার্থে খেলা চালু রাখার উপর গুরুত্বারোপ করে মাশরাফি আরও বলেন, ‘আমি প্লেয়ার হিসেবে আরেকজন প্লেয়ারদের বলব, খেলা অবশ্যই চালু রাখতে, যাতে খেলাটা হয়। বলা যাবে না কোথায় এ ধরণের ঘটনা ঘটবে। যদি না খেলতে থাকেন এক সময় তো খেলাই বন্ধ হয় যাবে। ফ্রান্সের মতো জায়গায় অ্যাটাক হওয়ার পরও কিন্তু ইউরোপের সব প্লেয়াররা খেলেছে। বিভিন্ন জায়গায় এরকম সমস্য হচ্ছে তারপরও খেলছে। আমাদের দেশের খেলোয়াড়রাও কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে খেলতে বাইরে যাচ্ছে। আমি মনে করি খেলোয়াড়দের উচিত খেলার দিকে ফোকাস করা। বাকি বিষয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে ছেড়ে দেয়া।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

মাশরাফির বিশ্বাস ইংল্যান্ড আসবে

আপডেট টাইম : ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৬

সম্প্রতি গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার পর অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে ইংল্যান্ডের আসন্ন বাংলাদেশ সফর নিয়ে। যার দরূন ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সফর করেছে তিন সদস্যের ইংল্যান্ড নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ দল। দেশে ফেরার আগে তারা এদেশীয় গণমাধ্যমকে সন্তুষ্টির কথা জানালেও, দেশে ফিরে বুধবার ভেন্যুর বাইরের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দলটির প্রধান রেগ ডিকসন। এ অবস্থায় নিরাপত্তার অতীত ইতিহাস স্মরণ করে বাংলাদেশ সফরে আসার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় দলের ওয়ানডে ফরমেটের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি বিশ্বাস করেন, সব শঙ্কা ভুলে গিয়ে সিরিজ খেলতে আসবে ইংল্যান্ড। আর এই সিরিজে অংশ নেওয়ার মধ্যদিয়ে খেলার ধারাবাহিকতাও চালু থাকবে উভয় দলের মধ্য।

বুধবার(২৪ আগস্ট) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে মাশরাফি বলেন, ‘প্রথমত বলব, তাদের আসতে। এখনও আমি বিশ্বাস করি তারা আসবে।স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যেভাবে অন্যান্য টিমের প্লেয়ারদের নিরাপত্তা দেয়া হয়, আমরা আত্নবিশ্বাস এবারও বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ড ও সরকারের তরফ থেকে সেভাবে নিরাপত্তা দেয়া হবে।’

ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর নিয়ে মাশরাফির আত্নবিশ্বাসের মূলে রয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ওই ধরনের (নিরাপত্তা জনিত) কোনো সমস্য হবে না। আমাদের সঙ্গে ইংল্যান্ডের ভাল সম্পর্ক রয়েছে। এর আগেও দু’বার(ইংল্যান্ড) বাংলাদেশে এসেছে। ইংল্যান্ড আমাদের বিবেচনা করবে এবং আমরাও নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। যতুটুক জেনেছি, সিকিউরিটি সর্বোচ্চ পর্যায়ের যেটা থাকবে সেটাই নিশ্চিত করা হবে। প্রয়োজনে বাড়ানো হবে। সেই সুযোগ আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের আছে। এর আগে আমরা দিয়ে এসেছি। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা বড় বড় টুর্নামেন্ট করেছি।’

সংবাদ সম্মেলনে ইংল্যান্ডের ভিন্ন দুই ফরম্যাটের অধিনায়ককে উদ্দেশ্যে করে এসময় মাশরাফি বলেন,‘তোমরা আসবা এবং আমি নিশ্চিত যে এখানে এসে খেলা ছাড়া অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই। এখানে এসে স্বস্তিতে ক্রিকেট খেলতে পারবে এবং ভাল প্রতিযোগিতা হবে আশা করি।’

ক্রিকেটের স্বার্থে খেলা চালু রাখার উপর গুরুত্বারোপ করে মাশরাফি আরও বলেন, ‘আমি প্লেয়ার হিসেবে আরেকজন প্লেয়ারদের বলব, খেলা অবশ্যই চালু রাখতে, যাতে খেলাটা হয়। বলা যাবে না কোথায় এ ধরণের ঘটনা ঘটবে। যদি না খেলতে থাকেন এক সময় তো খেলাই বন্ধ হয় যাবে। ফ্রান্সের মতো জায়গায় অ্যাটাক হওয়ার পরও কিন্তু ইউরোপের সব প্লেয়াররা খেলেছে। বিভিন্ন জায়গায় এরকম সমস্য হচ্ছে তারপরও খেলছে। আমাদের দেশের খেলোয়াড়রাও কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে খেলতে বাইরে যাচ্ছে। আমি মনে করি খেলোয়াড়দের উচিত খেলার দিকে ফোকাস করা। বাকি বিষয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে ছেড়ে দেয়া।’