ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিটাগংকে জেতালেন মোহাম্মদ নবী

আগের ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে প্রথম জয় পেয়েছিল মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। পরের ম্যাচেই জ্বলে উঠলেন দলটির ব্যাটসম্যানরা। তামিম ইকবালের চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেন কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা। ৫৩ বলে ৭৬ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন খালিদ লতিফ। ৬টি বাউন্ডারি আর ৫টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস। ২৬ বলে ৩৬ রান করেন ইমরুল কায়েস এবং ২৫ বলে অপরাজিত ৪০ রান করেন আহমেদ শেহজাদ।

চিটাগাংয়ের সামনে ১৮৪ রানের বিশাল লক্ষ্য বেধে দেয় মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ৪ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় চিটাগং। ২৪ বলে ৪৬ রান করে চিটাগংয়ের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন আফগান ক্রিকেটার মোহাম্মদ নবী। যাতে ছিল ৫টি চার ও দুটি ছক্কার মার। ৪০ রান করেন আনামুল হক। এছাড়া শোয়েব মালিক করেন ৩৮ ও তামিম করেন ৩০ রান।

দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। আগের ম্যাচে জয়ের কারণে এই ম্যাচেও আগের সেই পরিবর্তিত ব্যাটিং অর্ডারই ধরে রাখে কুমিল্লা।

ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত আর খালিদ লতিফ দারুণ সূচনা এনে দেন কুমিল্লাকে। ২৫ বলে দু’জনের ২৯ রানের জুটিই যেন ইঙিত দিচ্ছিল বড় স্কোর গড়ার। তবে ১৫ বলে ১৭ রান করে তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে যান শান্ত।

এরপরই ইমরুল কায়েসকে নিয়ে ৬৮ রানের দারুণ এক জুটি বাধেন খালিত লতিফ। ১ উইকেটে ২৯ রান থেকে এ দু’জন কুমিল্লার ইনিংস নিয়ে যান ৯৭ রানে। তবে এ সময় দুর্ভাগ্যের কারণে রানআউট হয়ে যান ইমরুল কায়েস। পরিবর্তিত ব্যাটিং অর্ডারে বেশ ভালোই ফর্মে ফিরেছেন ইমরুল কায়েস। আউট হওয়ার আগে ২৬ বলে করলেন ৩৬ রান। ৩টি বাউন্ডারি আর ১টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস।চিটাগংকে জেতালেন মোহাম্মদ নবী

এরপর কুমিল্লার হয়ে চিটাগাংয়ের ওপর তাণ্ডব চালান দুই পাকিস্তানি খালিদ লতিফ আর আহমেদ শেহজাদ। এ দু’জন ৭০ রানের জুটি গড়ে কুমিল্লাকে বড় ইনিংসের ওপর দাঁড় করিয়ে দেয়। ১৯তম ওভারের শেষ বলে এসে ৭৬ রান করে রানআউট হয়ে যান খালিদ লতিফ।

শেষ ওভারে আহমেদ শেহজাদ আর ডাক অলরাউন্ডার রায়ান টেন ডেসকাট মিলে নেন ১৭ রান। ডেসকাট ৩ বলে করেন ৯ রান। শেহজাদ অপরাজিত থাকেন ২৫ বলে ৪০ রানে। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। চিটাগাংয়ের হয়ে ১ মাত্র উইকেটটি নেন তাসকিন আহমেদ। বাকি দু’জন রানআউট।

১৮৪ রানের লক্ষ্যে  ওপেনিংয়ে নামেন তামিম ইকবাল এবং ডোয়াইন স্মিথ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে স্মিথকে ফিরিয়ে দেন মাশরাফি। ১২ বলে ৫টি চারে ২১ রান করে ম্যাশের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন স্মিথ। দলীয় ২৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় চিটাগং। পঞ্চম ওভারে দলীয় অর্ধশতক আসে চিটাগংয়ের।

দশম ওভারের শেষ বলে দারুণ খেলতে থাকা ওপেনার তামিম ইকবালকে সরাসরি বোল্ড করেন কুমিল্লার পেসার রায়ান টেন ডয়েসকাটে। ২৭ বলে এক চার ও এক ছয়ে ৩০ রান করেন চিটাগং অধিনায়ক। ১২তম ওভারে ডয়েসকাটের দ্বিতীয় শিকার হন আনামুল। ৩০ বলে দুই চার ও দুই ছয়ে ৪০ রান করা আনামুলকেও বোল্ড করেন কুমিল্লা পেসার।

এরপরই হাল ধরেন শোয়েব মালিক  ও মোহাম্মদ নবী। ৬.৩ ওভারে এ দুজন মিলে গড়েন ৬৪ রানের জুটি। ২৪ বলে ৩৮ রান করে শোয়েব মালিক যখন আউট হলেন তখন চিটাগংয়ের প্রয়োজন ১১ বলে ১৭ রান।

তবে তখনও হাল ধরেছিলেন মোহাম্মদ নবী। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ আরো জমিয়ে দেন তিনি। সোহেল তানভীরের ওই ওভারে আসে ৯ রান। শেষ ওভারে চিটাগংয়ের প্রয়োজন দাঁড়ায় ৮ রান।

বোলিংয়ে আসেন সাউফউদ্দিন। প্রথম বলে চার মারেন নবী। পরের বলে ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়ে দেন তিনি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

চিটাগংকে জেতালেন মোহাম্মদ নবী

আপডেট টাইম : ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০১৬

আগের ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে প্রথম জয় পেয়েছিল মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। পরের ম্যাচেই জ্বলে উঠলেন দলটির ব্যাটসম্যানরা। তামিম ইকবালের চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেন কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা। ৫৩ বলে ৭৬ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন খালিদ লতিফ। ৬টি বাউন্ডারি আর ৫টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস। ২৬ বলে ৩৬ রান করেন ইমরুল কায়েস এবং ২৫ বলে অপরাজিত ৪০ রান করেন আহমেদ শেহজাদ।

চিটাগাংয়ের সামনে ১৮৪ রানের বিশাল লক্ষ্য বেধে দেয় মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ৪ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় চিটাগং। ২৪ বলে ৪৬ রান করে চিটাগংয়ের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন আফগান ক্রিকেটার মোহাম্মদ নবী। যাতে ছিল ৫টি চার ও দুটি ছক্কার মার। ৪০ রান করেন আনামুল হক। এছাড়া শোয়েব মালিক করেন ৩৮ ও তামিম করেন ৩০ রান।

দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। আগের ম্যাচে জয়ের কারণে এই ম্যাচেও আগের সেই পরিবর্তিত ব্যাটিং অর্ডারই ধরে রাখে কুমিল্লা।

ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত আর খালিদ লতিফ দারুণ সূচনা এনে দেন কুমিল্লাকে। ২৫ বলে দু’জনের ২৯ রানের জুটিই যেন ইঙিত দিচ্ছিল বড় স্কোর গড়ার। তবে ১৫ বলে ১৭ রান করে তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে যান শান্ত।

এরপরই ইমরুল কায়েসকে নিয়ে ৬৮ রানের দারুণ এক জুটি বাধেন খালিত লতিফ। ১ উইকেটে ২৯ রান থেকে এ দু’জন কুমিল্লার ইনিংস নিয়ে যান ৯৭ রানে। তবে এ সময় দুর্ভাগ্যের কারণে রানআউট হয়ে যান ইমরুল কায়েস। পরিবর্তিত ব্যাটিং অর্ডারে বেশ ভালোই ফর্মে ফিরেছেন ইমরুল কায়েস। আউট হওয়ার আগে ২৬ বলে করলেন ৩৬ রান। ৩টি বাউন্ডারি আর ১টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস।চিটাগংকে জেতালেন মোহাম্মদ নবী

এরপর কুমিল্লার হয়ে চিটাগাংয়ের ওপর তাণ্ডব চালান দুই পাকিস্তানি খালিদ লতিফ আর আহমেদ শেহজাদ। এ দু’জন ৭০ রানের জুটি গড়ে কুমিল্লাকে বড় ইনিংসের ওপর দাঁড় করিয়ে দেয়। ১৯তম ওভারের শেষ বলে এসে ৭৬ রান করে রানআউট হয়ে যান খালিদ লতিফ।

শেষ ওভারে আহমেদ শেহজাদ আর ডাক অলরাউন্ডার রায়ান টেন ডেসকাট মিলে নেন ১৭ রান। ডেসকাট ৩ বলে করেন ৯ রান। শেহজাদ অপরাজিত থাকেন ২৫ বলে ৪০ রানে। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। চিটাগাংয়ের হয়ে ১ মাত্র উইকেটটি নেন তাসকিন আহমেদ। বাকি দু’জন রানআউট।

১৮৪ রানের লক্ষ্যে  ওপেনিংয়ে নামেন তামিম ইকবাল এবং ডোয়াইন স্মিথ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে স্মিথকে ফিরিয়ে দেন মাশরাফি। ১২ বলে ৫টি চারে ২১ রান করে ম্যাশের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন স্মিথ। দলীয় ২৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় চিটাগং। পঞ্চম ওভারে দলীয় অর্ধশতক আসে চিটাগংয়ের।

দশম ওভারের শেষ বলে দারুণ খেলতে থাকা ওপেনার তামিম ইকবালকে সরাসরি বোল্ড করেন কুমিল্লার পেসার রায়ান টেন ডয়েসকাটে। ২৭ বলে এক চার ও এক ছয়ে ৩০ রান করেন চিটাগং অধিনায়ক। ১২তম ওভারে ডয়েসকাটের দ্বিতীয় শিকার হন আনামুল। ৩০ বলে দুই চার ও দুই ছয়ে ৪০ রান করা আনামুলকেও বোল্ড করেন কুমিল্লা পেসার।

এরপরই হাল ধরেন শোয়েব মালিক  ও মোহাম্মদ নবী। ৬.৩ ওভারে এ দুজন মিলে গড়েন ৬৪ রানের জুটি। ২৪ বলে ৩৮ রান করে শোয়েব মালিক যখন আউট হলেন তখন চিটাগংয়ের প্রয়োজন ১১ বলে ১৭ রান।

তবে তখনও হাল ধরেছিলেন মোহাম্মদ নবী। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ আরো জমিয়ে দেন তিনি। সোহেল তানভীরের ওই ওভারে আসে ৯ রান। শেষ ওভারে চিটাগংয়ের প্রয়োজন দাঁড়ায় ৮ রান।

বোলিংয়ে আসেন সাউফউদ্দিন। প্রথম বলে চার মারেন নবী। পরের বলে ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়ে দেন তিনি।