ঢাকা , শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শরীরে ব্যারামের বাস

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ৯টি ত্রিপুরা পল্লীর প্রায় দুই হাজার শিশুকে টিকা ও ‘ভিটামিন এ’ ক্যাপসুল দেওয়া হয়নি। এ কারণে শিশুদের মৃত্যুঝুঁকি দেখা দিয়েছে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

সম্প্রতি সোনাইছড়ি ত্রিপুরা পল্লীতে অজ্ঞাত রোগে ৯ শিশুর মৃত্যু এবং ৮৩ শিশু ও এক অন্তঃসত্ত্বা নারী অসুস্থ হওয়ার পর কর্তৃপক্ষের অনিয়ম ও গাফিলতির এ ছবি বেরিয়ে এসেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের সব শিশুকে রোগবালাই থেকে নিরাপদ ও সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বছরজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় সারা দেশে এটি চলে। অথচ মাঠপর্যায়ে এ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতির কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

কালের কণ্ঠ’র অনুসন্ধানে জানা গেছে, বারৈয়াঢালা, শীতলপুর, সীতাকুণ্ড পৌরসভা, বাঁশবাড়িয়া, কুমিরা সুলতানা মন্দির, ছোট কুমিরা ও সোনাইছড়ির দুর্গম পাহাড়ে বসবাস করছে প্রায় এক হাজার আদিবাসী পরিবার। এসব পরিবারে শূন্য থেকে ১১ মাস বয়সী, এক থেকে পাঁচ বছর বয়সী ও পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সী প্রায় দুই হাজার শিশু রয়েছে। এসব শিশুর কাউকে জন্মের পর থেকে কখনো ইপিআই টিকা দেওয়া হয়নি, সেবন করানো হয়নি ‘ভিটামিন এ’ ক্যাপসুল। অথচ নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছর এখানে অন্তত দুবার ‘ভিটামিন এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা। বছরজুড়ে শূন্য থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের নির্দিষ্ট ১০টি টিকা (যক্ষ্মা, পোলিও, ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টঙ্কার, হেপাটাইটিস বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, পিসিবি, হাম, রুবেলা ও হুপাইন জিকাসি) দেওয়ার কথা। বাস্তবে কোনোটা প্রয়োগ করা হয়নি।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৩০টি ওয়ার্ডে কর্মরত আছেন সরকারের ৪৫ জন স্বাস্থ্য সহকারী। এ ছাড়া রয়েছে ইপিআই পরিদর্শক, টেকনোলজিস্টসহ আরো কয়েকজন।

বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের জঙ্গল কলাবাড়িয়া পল্লীতে গেলে বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, রেললাইন থেকে দুই কিলোমিটার পূর্বে অবস্থান তাদের। এখানে কখনো স্বাস্থ্যকর্মীরা আসেন না। তাঁদের পাড়ার কোনো শিশুকে টিকা দেওয়া হয় না, খাওয়ানো হয় না ভিটামিন এ ক্যাপসুল। বাচ্চাদের অসুখ-বিসুখ হলে লতাপাতার রস দিয়ে চিকিৎসা করে।

বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন বলেন, ‘আমি যতদূর জানি, স্বাস্থ্যকর্মীরা আদিবাসী পল্লীতে যান না। হয়তো বেশি দুর্গম পাহাড় বলে যান না। তবে স্বাস্থ্যকর্মীরা সহযোগিতা চাইলে আমি তাঁদের সঙ্গে চৌকিদার পাঠাব। ’

প্রায় একই ছবি সম্প্রতি অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত সোনাইছড়ি পল্লীতে। সেখানকার ৬৫ পরিবারের এক থেকে ১২ বছর বয়সী কোনো শিশুকে কোনোকালে টিকা বা ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়নি। এ পাড়ার অধিকাংশ শিশু অসুস্থ হয়ে বর্তমানে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। অসুস্থতার ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার আগেই বিনা চিকিৎসায় ৯ শিশু মারা গেছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গত শুক্রবার থেকে সোনাইছড়ি পল্লীতে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি বিশেষ ইপিআই ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই পরিদর্শক (ইনচার্জ) খালেদ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমি এখানে দায়িত্ব নিয়েছি বেশিদিন হয়নি। আসলে দুর্গম এলাকা হওয়ায় এসব পল্লীতে ইপিআই কেন্দ্র নেই। তবে পাশের গ্রামগুলোতে ক্যাম্প রয়েছে। আরেকটি বিষয়, টিকা দেওয়ার সময় আমরা গেলেও আদিবাসী লোকজন বাচ্চাদের টিকা দিতে চায় না। ’

সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস এম রাশেদুল করিম বলেন, ‘প্রায় প্রত্যেকটি পাড়ায় ইপিআই কেন্দ্র আছে। তারা স্বাস্থ্যসেবাও পাচ্ছে। বেশি অসচেতন হওয়ার কারণে শুধু সোনাইছড়ি পল্লীতে ক্যাম্প করা সম্ভব হয়নি। ’

এদিকে সোনাইছড়ি পল্লীতে টিকা না দেওয়ার অভিযোগে ইপিআই কর্মসূচিতে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় ও সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের অধীনে গঠিত তদন্ত কমিটি তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘সোনাইছড়ি পল্লীর শিশুদের টিকা দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া টিকা দেওয়ার সময় বাচ্চারা কান্না করে। এ জন্য পাড়ার বয়স্ক ব্যক্তিরা স্থানীয়দের টিকা দিতে নিরুৎসাহ করতেন। টিকাকর্মীরা এলাকায় গেলেও তাঁদের সহযোগিতা করতেন না। ইপিআই কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীরা এসব বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাননি। যদি টিকা দেওয়া থাকত তাহলে হয়তো এতগুলো শিশু অকালে মারা যেত না। তারা কর্তব্যে গাফিলতি করে থাকলে বদলিসহ শাস্তি দেওয়া হবে। ’

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম সীতাকুণ্ড উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্র কুমার ত্রিপুরা বাঙালী কণ্ঠকে অভিযোগ করে বলেন, ‘এখানে ৯টি আদিবাসী পল্লী রয়েছে। প্রায় আড়াই হাজার মানুষের বাস। চিকিৎসা কেন আমরা এখানে রাষ্ট্রের মৌলিক সুবিধার কোনোটাই পাই না। টিকা কিংবা ভিটামিন এ ক্যাপসুল কী, আমাদের পাড়ার অধিকাংশ মানুষই জানে না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

শরীরে ব্যারামের বাস

আপডেট টাইম : ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ৯টি ত্রিপুরা পল্লীর প্রায় দুই হাজার শিশুকে টিকা ও ‘ভিটামিন এ’ ক্যাপসুল দেওয়া হয়নি। এ কারণে শিশুদের মৃত্যুঝুঁকি দেখা দিয়েছে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

সম্প্রতি সোনাইছড়ি ত্রিপুরা পল্লীতে অজ্ঞাত রোগে ৯ শিশুর মৃত্যু এবং ৮৩ শিশু ও এক অন্তঃসত্ত্বা নারী অসুস্থ হওয়ার পর কর্তৃপক্ষের অনিয়ম ও গাফিলতির এ ছবি বেরিয়ে এসেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের সব শিশুকে রোগবালাই থেকে নিরাপদ ও সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বছরজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় সারা দেশে এটি চলে। অথচ মাঠপর্যায়ে এ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতির কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

কালের কণ্ঠ’র অনুসন্ধানে জানা গেছে, বারৈয়াঢালা, শীতলপুর, সীতাকুণ্ড পৌরসভা, বাঁশবাড়িয়া, কুমিরা সুলতানা মন্দির, ছোট কুমিরা ও সোনাইছড়ির দুর্গম পাহাড়ে বসবাস করছে প্রায় এক হাজার আদিবাসী পরিবার। এসব পরিবারে শূন্য থেকে ১১ মাস বয়সী, এক থেকে পাঁচ বছর বয়সী ও পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সী প্রায় দুই হাজার শিশু রয়েছে। এসব শিশুর কাউকে জন্মের পর থেকে কখনো ইপিআই টিকা দেওয়া হয়নি, সেবন করানো হয়নি ‘ভিটামিন এ’ ক্যাপসুল। অথচ নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছর এখানে অন্তত দুবার ‘ভিটামিন এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা। বছরজুড়ে শূন্য থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের নির্দিষ্ট ১০টি টিকা (যক্ষ্মা, পোলিও, ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টঙ্কার, হেপাটাইটিস বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, পিসিবি, হাম, রুবেলা ও হুপাইন জিকাসি) দেওয়ার কথা। বাস্তবে কোনোটা প্রয়োগ করা হয়নি।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৩০টি ওয়ার্ডে কর্মরত আছেন সরকারের ৪৫ জন স্বাস্থ্য সহকারী। এ ছাড়া রয়েছে ইপিআই পরিদর্শক, টেকনোলজিস্টসহ আরো কয়েকজন।

বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের জঙ্গল কলাবাড়িয়া পল্লীতে গেলে বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, রেললাইন থেকে দুই কিলোমিটার পূর্বে অবস্থান তাদের। এখানে কখনো স্বাস্থ্যকর্মীরা আসেন না। তাঁদের পাড়ার কোনো শিশুকে টিকা দেওয়া হয় না, খাওয়ানো হয় না ভিটামিন এ ক্যাপসুল। বাচ্চাদের অসুখ-বিসুখ হলে লতাপাতার রস দিয়ে চিকিৎসা করে।

বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন বলেন, ‘আমি যতদূর জানি, স্বাস্থ্যকর্মীরা আদিবাসী পল্লীতে যান না। হয়তো বেশি দুর্গম পাহাড় বলে যান না। তবে স্বাস্থ্যকর্মীরা সহযোগিতা চাইলে আমি তাঁদের সঙ্গে চৌকিদার পাঠাব। ’

প্রায় একই ছবি সম্প্রতি অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত সোনাইছড়ি পল্লীতে। সেখানকার ৬৫ পরিবারের এক থেকে ১২ বছর বয়সী কোনো শিশুকে কোনোকালে টিকা বা ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়নি। এ পাড়ার অধিকাংশ শিশু অসুস্থ হয়ে বর্তমানে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। অসুস্থতার ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার আগেই বিনা চিকিৎসায় ৯ শিশু মারা গেছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গত শুক্রবার থেকে সোনাইছড়ি পল্লীতে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি বিশেষ ইপিআই ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই পরিদর্শক (ইনচার্জ) খালেদ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমি এখানে দায়িত্ব নিয়েছি বেশিদিন হয়নি। আসলে দুর্গম এলাকা হওয়ায় এসব পল্লীতে ইপিআই কেন্দ্র নেই। তবে পাশের গ্রামগুলোতে ক্যাম্প রয়েছে। আরেকটি বিষয়, টিকা দেওয়ার সময় আমরা গেলেও আদিবাসী লোকজন বাচ্চাদের টিকা দিতে চায় না। ’

সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস এম রাশেদুল করিম বলেন, ‘প্রায় প্রত্যেকটি পাড়ায় ইপিআই কেন্দ্র আছে। তারা স্বাস্থ্যসেবাও পাচ্ছে। বেশি অসচেতন হওয়ার কারণে শুধু সোনাইছড়ি পল্লীতে ক্যাম্প করা সম্ভব হয়নি। ’

এদিকে সোনাইছড়ি পল্লীতে টিকা না দেওয়ার অভিযোগে ইপিআই কর্মসূচিতে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় ও সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের অধীনে গঠিত তদন্ত কমিটি তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘সোনাইছড়ি পল্লীর শিশুদের টিকা দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া টিকা দেওয়ার সময় বাচ্চারা কান্না করে। এ জন্য পাড়ার বয়স্ক ব্যক্তিরা স্থানীয়দের টিকা দিতে নিরুৎসাহ করতেন। টিকাকর্মীরা এলাকায় গেলেও তাঁদের সহযোগিতা করতেন না। ইপিআই কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীরা এসব বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাননি। যদি টিকা দেওয়া থাকত তাহলে হয়তো এতগুলো শিশু অকালে মারা যেত না। তারা কর্তব্যে গাফিলতি করে থাকলে বদলিসহ শাস্তি দেওয়া হবে। ’

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম সীতাকুণ্ড উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্র কুমার ত্রিপুরা বাঙালী কণ্ঠকে অভিযোগ করে বলেন, ‘এখানে ৯টি আদিবাসী পল্লী রয়েছে। প্রায় আড়াই হাজার মানুষের বাস। চিকিৎসা কেন আমরা এখানে রাষ্ট্রের মৌলিক সুবিধার কোনোটাই পাই না। টিকা কিংবা ভিটামিন এ ক্যাপসুল কী, আমাদের পাড়ার অধিকাংশ মানুষই জানে না।