অক্টোবরে পিছিয়ে গেছে আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল। কিন্তু থেমে নেই পদ প্রত্যাশী অপেক্ষাকৃত তরুণ ও সাবেক ছাত্র নেতারা। তারা মুখিয়ে আছেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পাবেন, এ প্রত্যাশায়। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দিয়েছেন, এবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে একঝাঁক তরুণ নেতৃত্ব আসবেন। তার এ ঘোষণার পর সাবেক ছাত্র নেতারাও আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। এজন্য তারা সক্রিয় থেকে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনকে সামনে এগুনোর পরিকল্পনা নিয়েছে আওয়ামী লীগ। নেতারা বলছেন, এ সম্মেলনের গুরুত্ব অনেক। নির্বাচনে সবরকম প্রস্তুতিই রাখতে চায় দলটি। তাই এ সম্মেলনে নেতা বানানোর বিষয়টি একটু ভিন্ন প্রক্রিয়ায় হবে। এখানে সততা, মেধা ও যোগ্যতা বেশি বিবেচনায় নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে বর্তমান কমিটির নেতারাই প্রাধান্য পাবেন বেশি। কারণ তারা অভিজ্ঞতার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন। তবে কিছু নতুন মুখও থাকবে কমিটিতে। এ অবস্থায় দক্ষ ও প্রমাণিত সাবেক ছাত্রনেতাদের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসতে পারেন।
সূত্র জানায়, গত ১১ জুন আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সভায় দ্বিতীয়দফা পিছিয়ে আগামী ২২-২৩ অক্টোবর সম্মেলনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত এ তারিখ সামনে রেখে প্রস্তুতির কাজ চলছে জোরেশোরে।
আওয়ামী লীগের ক’জন কেন্দ্রীয় নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, কমিটিতে বড় পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কমিটিতে রয়েছেন এমন নেতারাই ঘুরেফিরে বেশি থাকবেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে। কারও পদোন্নতি হবে, কারও ‘ডিমোশন’ হবে। বর্তমান কমিটিতে থাকা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতা বাদ পড়ার যেমন সম্ভাবনা ক্ষীণ, তেমনি এক ঝাঁক তরুণ নেতৃত্ব না আসলেও অপেক্ষাকৃত তরুণ ও সাবেক ছাত্রনেতাদের কয়েকজন কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
ওইসব নেতারা আরও বলেন, কমিটি থেকে একেবারে বাদ পড়ার সম্ভাবনা মাত্র কয়েকজন নেতার ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। সেই সংখ্যা বড় জোর ৫/৬জন। সভাপতিমণ্ডলীর ২জন, সম্পাদকমণ্ডলীর ২জন ও কেন্দ্রীয় সদস্য ২জন এ তালিকায় থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে হাতে গোনা কয়েকজন নতুন মুখ কমিটিতে স্থান পেতে পারেন। তবে এদের বেশিরভাগই সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে থেকে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ পূর্বপশ্চিমকে বলেন, “আওয়ামী লীগ এমন একটি রাজনৈতিক সংগঠন এখানে যোগ্যতা-দক্ষতার মূল্যায়ন হয়। নিষ্ঠার সঙ্গে যার যার দায়িত্ব পালন করলে অবশ্যই পদোন্নতি হবে। আবার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে বাদ পড়তে হবে। সে জায়গায় যোগ্য ও তরুণরাও আসতে পারেন।”
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন পূর্বপশ্চিমকে বলেন, “সরকারের অন্যমত লক্ষ্য সমৃদ্ধ দেশ গড়া। এটা করতে এ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের ‘স্ট্র্যাটেজিক্যাল’ গাইড লাইন ঠিক করা হবে। তবে কমিটিতে কে আসবে আর কে বাদ যাবে এটা একমাত্র কাউন্সিলরা ঠিক করবে। আমি নির্ধারণ করার কেউ না।”