বর্তমান বৈশ্বিক রাজনীতির কারণে আমাদের তৈরি পোশাক খাত এখন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
আজ মঙ্গলবার সংসদে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান বৈশ্বিক রাজনীতির কারণে আমাদের তৈরি পোশাক খাত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। ব্রেক্সিট নিয়ে যে গণভোট হয়ে গেল, যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে যে সরে যাওয়ার ম্যান্ডেট পেয়েছে, তাতে নতুন করে আমাদের যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের যারা রপ্তানিকারক তারা একটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি পড়বে। সেজন্য আমি মনে করি, রপ্তানিকারকদের ওপরে এক দশমিক ৫ শতাংশ সোর্স ট্যাক্স আরোপ করা হয়েছে। যেটা আগে ছিল ০দশমিক ৬শতাংশ। তার আগে ছিল ০দশমিক ৩শতাংশ। এটা যেন বৃদ্ধি না করা হয়, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো। কারণ এটা এই মুহূর্তে বাড়ানো উচিত হবে না।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী ভারত একটা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তৈরি পোশাক খাতের জন্য। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় রপ্তানিকারক দেশ। ভারত আমাদের জায়গায় আসতে চায়। সেজন্য তারা ৬ হাজার কোটি টাকার নগদ সহায়তা দেবে এবং প্রতিটি পণ্যে তারা ২৫ শতাংশ ট্যাক্স ইনটেনসিভ দেবে। ভারতের সঙ্গে পৃথিবীর বহু দেশের সঙ্গে তাদের ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট আছে। যেমন-১৬টি দেশের সঙ্গ ভারতের রিজিওনাল কমপ্রেসিভ ট্রেড পার্টনারশিপ রয়েছে। তাই ভারত যদি এই সুবিধা দেওয়ার পরে আমরা তৈরি পোশাক খাতকে সুবিধা না দেই তাহলে বিনিয়োগ হবে না। কর্মসংস্থান হবে না।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পোশাক খাত মোট রপ্তানির ৮১ শতাংশ অর্জন করে। ইউরো ডিভ্যালুয়েশন, পাউন্ডের ডিভ্যালুয়েশনের কারণে ওই দেশের আমদানিকারক আমরা যা যা রপ্তানি করবো তার মূল্য আরো কমাবার চেষ্টা করবে। তাই এই বিষয়টাকে আমি গুরুত্ব দেওয়ার অনুরোধ করছি’।
মন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্র চলছে, ষড়যন্ত্র চলবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে চলছেন, এগিয়ে যাবেন। তার চলার পথকে কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।