র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা জানি কারা পিছন থেকে খেলছেন। তাদের বলব, দানব নিয়ে খেলবেন না। আর যারা বিপথে গেছেন, তারা ফিরে আসুন।’ রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। তবে জঙ্গিবাদের পেছনে কারা জড়িত, তা জেনেছেন দাবি করলেও তারা কারা তা প্রকাশ করেননি বেনজীর আহমেদ।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘এ দেশ সুফি, সাধক, নজরুল, রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধুর দেশ। এ দেশে কোনো জঙ্গির ঠাঁই নেই। আমরা জানি কারা এই খেলা খেলছেন। তাদের বলব, দানব নিয়ে খেলবেন না। আমরা ঘুরে দাঁড়াতে জানি। এ ধরনের অপশক্তিকে আরো একবার পরাজিত করেছি। আগামীতেও পরাজিত করব। বাংলাদেশের মানুষ ফিনিক্স পাখির মতো বার বার ঘুরে দাঁড়িয়ে তা প্রমাণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ১৬ কোটি মানুষ যদি ঐক্যবদ্ধ হই, তাহলে ইঞ্চি ইঞ্চি করে খুঁজে জঙ্গিবাদের মতো অপশক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার ক্ষমতা রাখি। এই রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যা দরকার, তা করব। জনগণ যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহলে কী হতে পারে তা ইস্তাবুলে আপনারা দেখেছেন। আমরা ঐক্যের বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আসুন যারা শান্তির ধর্মকে নষ্ট করছে তাদের খুঁজে খুঁজে বের করে নির্মূল করি।’
গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় উচ্চ শিক্ষিত তরুণদের জড়িয়ে পড়ার তথ্য প্রকাশের প্রেক্ষাপটে রোববার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় একথা বলেন র্যাব প্রধান।
গত দেড় বছরে বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের পর গত ১ জুলাই গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যার ছয় দিনের মধ্যে শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের কাছে পুলিশের উপর হামলা হয়।
দুটি ঘটনায়ই নিহত হামলাকারীদের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী রয়েছে, যারা ঘর ছেড়ে পালিয়েছিলেন বেশ কিছুদিন আগে। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অন্তত ১০ জন নিখোঁজ যুবকের তালিকা দেয়, যারা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি এবং তরুণ-যুবকদের জঙ্গিবাদে ঝুঁকে পড়া ঠেকাতে করণীয় ঠিক করতে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে মতবিনিময় সভার আয়েজিন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যেখানে র্যাব প্রধানসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।