ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাওরের ফসল রক্ষায় বন্যা পূর্বাভাসের গবেষণা চুড়ান্ত হচ্ছে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আকস্মিক বন্যা হতে হাওরের বোরো ফসল রক্ষায় আগাম বন্যা পূর্বাভাস দেয়ার গবেষণা শেষ হতে চলেছে। আগামী বছরের মার্চ বা এপ্রিলে এ গবেষণার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র ‘ডেভেলপমেন্ট অফ আরলি ওয়ার্নিং সিস্টেম অফ ফ্লাস ফ্লাড ইন দি নর্থ ইস্টার্ন রিজন অফ বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ গবেষণা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কার্যক্রমের ফোকাল পারসন।

Image result for হাওরের ফসল রক্ষার বাধের ছবি

আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ইফাদের অর্থায়নে লিড প্রতিষ্ঠান হয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ‘হাওর ইনফ্রাসট্রাকচার লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট প্রোজেক্ট (এইচআইএলআইপি)’ বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের ‘ক্লাইমেট এডাপটেশন এন্ড লাইভলিহুড প্রোটেকশন(সিএএলআইপি) অঙ্গের আওতায় ওই গবেষণা কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, আকস্মিক বন্যায় হাওরের ফসল রক্ষায় ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে এ গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এ প্রকল্প শেষ হয়। গবেষণা কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে ২০১৫ সালের ২১ জুন পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। ইতোমধ্যে দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকার এ গবেষণা কার্যক্রম শেষ হতে চলেছে।

Related image

আগামী বছরের (২০১৯ সাল) মার্চ বা এপ্রিলে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে। নেত্রোকোণা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এ গবেষণা কার্যক্রম চালানো হয়েছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, গবেষণা কার্যক্রমের আলোকে প্রতি বছরে হাওর অঞ্চলে বোরো ধান কাটার অন্তত এক সপ্তাহ আগে মার্চ মাসের মধ্যেই আগাম বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বার্তা দেয়া সম্ভব হবে। এতে হাওরে আকস্মিক বন্যায় বোরো ধানের ক্ষতি মোকাবেলা করা সহজ হবে। সাধারণত প্রতি বছরের এপ্রিল থেকে শুরু করে মে মাস পর্যন্ত হাওর অঞ্চলে বোরো ধান কাটা হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

হাওরের ফসল রক্ষায় বন্যা পূর্বাভাসের গবেষণা চুড়ান্ত হচ্ছে

আপডেট টাইম : ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ মে ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আকস্মিক বন্যা হতে হাওরের বোরো ফসল রক্ষায় আগাম বন্যা পূর্বাভাস দেয়ার গবেষণা শেষ হতে চলেছে। আগামী বছরের মার্চ বা এপ্রিলে এ গবেষণার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র ‘ডেভেলপমেন্ট অফ আরলি ওয়ার্নিং সিস্টেম অফ ফ্লাস ফ্লাড ইন দি নর্থ ইস্টার্ন রিজন অফ বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ গবেষণা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কার্যক্রমের ফোকাল পারসন।

Image result for হাওরের ফসল রক্ষার বাধের ছবি

আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ইফাদের অর্থায়নে লিড প্রতিষ্ঠান হয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ‘হাওর ইনফ্রাসট্রাকচার লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট প্রোজেক্ট (এইচআইএলআইপি)’ বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের ‘ক্লাইমেট এডাপটেশন এন্ড লাইভলিহুড প্রোটেকশন(সিএএলআইপি) অঙ্গের আওতায় ওই গবেষণা কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, আকস্মিক বন্যায় হাওরের ফসল রক্ষায় ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে এ গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এ প্রকল্প শেষ হয়। গবেষণা কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে ২০১৫ সালের ২১ জুন পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। ইতোমধ্যে দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকার এ গবেষণা কার্যক্রম শেষ হতে চলেছে।

Related image

আগামী বছরের (২০১৯ সাল) মার্চ বা এপ্রিলে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে। নেত্রোকোণা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এ গবেষণা কার্যক্রম চালানো হয়েছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, গবেষণা কার্যক্রমের আলোকে প্রতি বছরে হাওর অঞ্চলে বোরো ধান কাটার অন্তত এক সপ্তাহ আগে মার্চ মাসের মধ্যেই আগাম বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বার্তা দেয়া সম্ভব হবে। এতে হাওরে আকস্মিক বন্যায় বোরো ধানের ক্ষতি মোকাবেলা করা সহজ হবে। সাধারণত প্রতি বছরের এপ্রিল থেকে শুরু করে মে মাস পর্যন্ত হাওর অঞ্চলে বোরো ধান কাটা হয়।