ঢাকা , সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা হারিয়ে যাচ্ছে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে উপজেলায় গ্রামবাংলার খেলাধুলা বিলুপ্তির পথে। এসব খেলাধুলা ধরে রাখার জন্য সরকারী অথবা বেসরকারী পর্যায়ে কোনো উদ্যোগ নেই। বিনোদনের প্রিয় গ্রামবাসীরা ঘরে ঘরে মুষ্ঠির চাল তুলে খেলোয়াড়দের অর্থের যোগান দিত।

বর্তমানে আবহমান বাংলার ঐহিহ্যবাহী খেলাধুলার মধ্যে বেশিরভাগই আজ বিলুপ্তির পথে। গ্রামবাংলার এক সময় হা-ডু-ডু, কাবাডি, গোল্লাছুট, কানামাছি ভোঁ-ভোঁ, দাঁড়িয়েবান্ধা, দড়ি-ঝাঁপ, চোর-পুলিশ, হাড়িভাঙ্গা, গাদন, লুকোচুরি, মোরগ লড়াই, কড়ি খেলা, বালিশ বদল, লুকোচুরি, কপালটোকা, পুতুল খেলা, লুডু খেলা, কেরামবোর্ড খেলা। এসব ঐতিহ্যবাহী খেলা-ধুলার বর্তমানে নেই বললে চলে।

Image result for গ্রামবাংলার খেলাধুলার ছবি

কিন্তু গ্রামবাংলা পহেলা বৈশাখ, গ্রামীণ মেলার সময় খেলা অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়। অথচ গ্রামবাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী এই খেলাগুলোর সাথে জড়িয়ে রয়েছে আমাদের পূর্ব-পুরুষের শেকড়।

Image result for গ্রামবাংলার খেলাধুলার ছবি

এসব খেলা আর চোখে পড়ছে না এ ধরনের খেলা। গ্রামবাংলার অনেক খেলাধুলার নাম এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা জানেই না। এসব খেলার এখন দখল করে নিয়েছে ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলা। গ্রামবাংলার এবং শহরগুলোতে আগে জমজমাটভাবে হা-ডু-ডু খেলা আয়োজন করা হত।

Related image

বিশেষ করে হা-ডু-ডু, লাঠিখেলা জন্য আগে থেকে মাইকিং করা হত এবং বিভিন্ন হাটবাজারে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হত। এসব খেলা দেখার জন্য মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে শত শত মানুষ ছুটে আসত।

Related image

এক সময় রাখাল ছেলেরা মাঠে গরু চরাতে গিয়ে ও স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা নানা ধরনের গ্রামীণ খেলা-ধুলা নিয়ে মেতে থাকতো। ফলে বর্তমানে ভিডিও গেম, টেলিভিশন, মোবাইল ফোনসহ আধুনিক খেলাধুলা যা ঘরে বসেই খেলা যায়।

Related image

এ অবস্থায় চলতে থাকলে হয়ত অচিরেই গ্রামীণ খেলা-ধুলা আমাদের সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে যাবে পরিণত হবে রুপকথার গল্প। এ সমস্ত গ্রামীণ খেলা-ধুলা পূর্বপুরুষদের নাড়ীর সম্পর্ক। হারিয়ে যাওয়া খেলা নিয়ে অনেক অভিভাবক এখন তাদের সন্তানদের কাছে গল্প করে।

Image result for গ্রামবাংলার খেলাধুলার ছবি

বিভিন্ন মেলায় জাঁকজমকভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিনোদনের জন্য ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে কর্তৃপক্ষের উচিত খেলাঠি আবারো ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করার জন্য।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা হারিয়ে যাচ্ছে

আপডেট টাইম : ০৫:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুন ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে উপজেলায় গ্রামবাংলার খেলাধুলা বিলুপ্তির পথে। এসব খেলাধুলা ধরে রাখার জন্য সরকারী অথবা বেসরকারী পর্যায়ে কোনো উদ্যোগ নেই। বিনোদনের প্রিয় গ্রামবাসীরা ঘরে ঘরে মুষ্ঠির চাল তুলে খেলোয়াড়দের অর্থের যোগান দিত।

বর্তমানে আবহমান বাংলার ঐহিহ্যবাহী খেলাধুলার মধ্যে বেশিরভাগই আজ বিলুপ্তির পথে। গ্রামবাংলার এক সময় হা-ডু-ডু, কাবাডি, গোল্লাছুট, কানামাছি ভোঁ-ভোঁ, দাঁড়িয়েবান্ধা, দড়ি-ঝাঁপ, চোর-পুলিশ, হাড়িভাঙ্গা, গাদন, লুকোচুরি, মোরগ লড়াই, কড়ি খেলা, বালিশ বদল, লুকোচুরি, কপালটোকা, পুতুল খেলা, লুডু খেলা, কেরামবোর্ড খেলা। এসব ঐতিহ্যবাহী খেলা-ধুলার বর্তমানে নেই বললে চলে।

Image result for গ্রামবাংলার খেলাধুলার ছবি

কিন্তু গ্রামবাংলা পহেলা বৈশাখ, গ্রামীণ মেলার সময় খেলা অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়। অথচ গ্রামবাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী এই খেলাগুলোর সাথে জড়িয়ে রয়েছে আমাদের পূর্ব-পুরুষের শেকড়।

Image result for গ্রামবাংলার খেলাধুলার ছবি

এসব খেলা আর চোখে পড়ছে না এ ধরনের খেলা। গ্রামবাংলার অনেক খেলাধুলার নাম এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা জানেই না। এসব খেলার এখন দখল করে নিয়েছে ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলা। গ্রামবাংলার এবং শহরগুলোতে আগে জমজমাটভাবে হা-ডু-ডু খেলা আয়োজন করা হত।

Related image

বিশেষ করে হা-ডু-ডু, লাঠিখেলা জন্য আগে থেকে মাইকিং করা হত এবং বিভিন্ন হাটবাজারে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হত। এসব খেলা দেখার জন্য মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে শত শত মানুষ ছুটে আসত।

Related image

এক সময় রাখাল ছেলেরা মাঠে গরু চরাতে গিয়ে ও স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা নানা ধরনের গ্রামীণ খেলা-ধুলা নিয়ে মেতে থাকতো। ফলে বর্তমানে ভিডিও গেম, টেলিভিশন, মোবাইল ফোনসহ আধুনিক খেলাধুলা যা ঘরে বসেই খেলা যায়।

Related image

এ অবস্থায় চলতে থাকলে হয়ত অচিরেই গ্রামীণ খেলা-ধুলা আমাদের সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে যাবে পরিণত হবে রুপকথার গল্প। এ সমস্ত গ্রামীণ খেলা-ধুলা পূর্বপুরুষদের নাড়ীর সম্পর্ক। হারিয়ে যাওয়া খেলা নিয়ে অনেক অভিভাবক এখন তাদের সন্তানদের কাছে গল্প করে।

Image result for গ্রামবাংলার খেলাধুলার ছবি

বিভিন্ন মেলায় জাঁকজমকভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিনোদনের জন্য ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে কর্তৃপক্ষের উচিত খেলাঠি আবারো ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করার জন্য।