ঢাকা , রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেভাবে প্রতিষ্ঠা হয় কিশোরগঞ্জ ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্বপ্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ। বাংলার বারো ভূঁইয়ার অন্যতম ঈশাখাঁ’র ষোড়শ বংশধর হয়বতনগরের জমিদার দেওয়ান মান্নান দাঁদ খান তার মায়ের অসিয়াত মোতাবেক ১৯৫০ সালে শোলাকিয়া ঈদগাহের জন্য ৪.৩৫ একর জমি ওয়াক্ফ করেন। সেই ওয়াক্ফ দলিলে উল্লেখ রয়েছে, ১৭৫০ সাল থেকে এ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সে হিসাব অনুসারে, শোলাকিয়া ঈদগাহের বয়স ২শ’ ৬৯ বছর।

প্রতিষ্ঠার ৭৮ বছর পর ১৮২৮ সালে প্রথম বড় জামাতে এই মাঠে একসঙ্গে ১ লাখ ২৫ হাজার অর্থাৎ সোয়ালাখ মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন। এই সোয়ালাখ থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়ালাখিয়া’, যা উচ্চারণ বিবর্তনে হয়েছে শোলাকিয়া।

বৃহত্তম জামাতের হিসাব অনুযায়ি, এ বছর এ ঈদগাহ মাঠে ১৯২তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। কিশোরগঞ্জ মৌজার এ মাঠের মূল আয়তন বর্তমানে ৬.৬১ একর। প্রাচীর ঘেরা শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে মোট ২২২টি কাতার রয়েছে যেখানে একসঙ্গে দেড় লক্ষাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। এছাড়া মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ঈদগাহ সংলগ্ন খালি জায়গা, রাস্তা এবং নিকটবর্তী এলাকায় দাঁড়িয়ে সমসংখ্যক মুসল্লি এ বৃহত্তম ঈদজামাতে শরিক হন।

১৮২৮ সালের প্রথম বড় জামাতে হয়বতনগর সাহেব বাড়ির উর্দ্ধতন পুরুষ শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ (র.) ইমামতি করেন। এ সম্পর্কে নানা তথ্য পর্যালোচনা করে জানা গেছে, শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ (র.) এর পূর্বপূরুষগণ সুদূর মক্কা শরিফ থেকে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে ভারতীয় উপমহাদেশে আগমন করে বর্তমান ভারতের বর্ধমান জেলার টেংগাপাড়ায় বসবাস শুরু করেন। সৈয়দ আহমদ (র.) এর পিতা সৈয়দ ইবরাহিম (র.) উত্তর কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলামী শিক্ষা প্রচার-প্রসার ও দাওয়াতের কাজ করতে গিয়ে কিশোরগঞ্জ শহর থেকে সাত মাইল দূরবর্তী কান্দাইল গ্রামে পদার্পন করেন।

পরবর্তিতে সেখানে স্থানীয় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে বিবাহ করে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন। কিন্তু সাংসারিক জীবনকে তিনি আবদ্ধজীবন মনে করে আল্লাহর বাণী প্রচারের তাগিদে বেরিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে হজ্জব্রত পালনের উদ্দেশ্যে তাবলীগ জামাতসহ মক্কা শরিফে চলে যান এবং সেখানেই ইন্তেকাল করেন।

এদিকে মরহুম সৈয়দ ইবরাহিম (র.) এর বাড়িতে রেখে যাওয়া গর্ভবতী স্ত্রীর এক পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। স্বামীর পূর্ব নির্দেশ মোতাবেক পুত্রের নামকরণ ও পরবর্তী সময়ে বয়ঃপ্রাপ্ত হলে ১২ বছর বয়সে শিক্ষা-দীক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে ঢাকার আজিমপুর দায়রা শরিফে প্রেরণ করা হয়।

বালকপুত্র সৈয়দ আহমদ সেখানে ২৪ বছর অবস্থান করে শিক্ষা-দীক্ষায় পরিপক্ক জ্ঞান লাভের পর পীরের নির্দেশে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় চলে আসেন। সেখানে শহীদ ময়েজ উদ্দিন মজনু (র.) এর মাজারের পাশে একটি ঘর তৈরি করে ইবাদত-বন্দেগীসহ ইসলামের বাণী প্রচারে মনোনিবেশ করেন। ক্রমে সৈয়দ আহমদ (র.)-এর সুনাম ও সুখ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে দলে দলে লোকজন তার কাছে এসে দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণ করতে থাকে।

ঈশা খাঁ’র বংশধরগণ জঙ্গলবাড়ি ও হয়বতনগর এলাকার জমিদারদ্বয় সৈয়দ আহমদ (র.) কে শ্রদ্ধার আসনে স্থান দেন এবং তার সামগ্রিক দ্বীনি দাওয়াতী কাজের সহযোগিতা করেন। এ সময় সে এলাকায় কোন মসজিদ না থাকায় ১৮২৭ সালে সৈয়দ আহমদ (র.) বাড়ি সংলগ্ন জায়গায় একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। মসজিদ প্রতিষ্ঠার পর পরই তিনি ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য ঈদগাহ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।

তিনি তার ক্রয়কৃত তালুক সম্পত্তিতে ঈদগাহ মাঠ প্রতিষ্ঠা করার মনস্থির করেন এবং এ ব্যাপারে জঙ্গলবাড়ি ও হয়বতনগরের জমিদারদ্বয়কে সহায়তা করার অনুরোধ জানিয়ে আসন্ন ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাতে শরীক হওয়ার দাওয়াত করেন। জমিদারদ্বয় দাওয়াত কবুল করেন এবং এই অঞ্চলের আপামর জনসাধারণের অংশগ্রহণে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ১৮২৮ সালের ঈদ-উল-ফিতরের ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ (র.)-এর ইমামতিতে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের প্রথম জামাত।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রথম বড় জামাতের পর আরো যাঁরা ইমামতি করেছেন, তাঁরা হলেন-হযরত মাওলানা হাফেজ মুহম্মদ হযরত উল্লাহ, হযরত মাওলানা পেশওয়ারী, হযরত মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন, আলহাজ্ব মাওলানা হামিদুল হক, হযরত মাওলানা মাজহারুল হক, হযরত মাওলানা আবদুল গনি, হযরত মাওলানা আতহার আলী, হযরত মাওলানা আবদুল মান্নান, হযরত মাওলানা আবুল খায়ের মুহাম্মদ নূরুল্লাহ ও মাওলানা আবুল খায়ের মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

২০০৯ সাল থেকে আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ঈদ জামাতে ইমামতি করছেন। তবে ২০১৬ সালে ঈদ জামাত শুরুর আগে জঙ্গি হানার ঘটনার পরিস্থিতিতে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের পরিবর্তে জামাতে ইমামতি করেন বিকল্প ইমাম শহরের বড়বাজার জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা শোয়াইব আব্দুর রউফ।

শত ব্যস্ততা, নানা সমস্যা আর প্রাকৃতিক বৈরিতাকে উপেক্ষা করে শোলাকিয়ায় সমবেত হন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন ধনী-গরীব নির্বিশেষে। সবার উদ্দেশ্য একটাই, যেন কোন অবস্থাতেই হাত ছাড়া হয়ে না যায় জামাতে অংশ গ্রহণ, আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের সুযোগ। ধনী-গরীবের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সাম্য ও  সুন্দরের ভিত্তিতে এক নতুন সমাজ গড়ার এই শিক্ষা নিয়েই জামাত শেষে বাড়ির পথে শোলকিয়া ছাড়েন তারা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

যেভাবে প্রতিষ্ঠা হয় কিশোরগঞ্জ ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ

আপডেট টাইম : ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্বপ্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ। বাংলার বারো ভূঁইয়ার অন্যতম ঈশাখাঁ’র ষোড়শ বংশধর হয়বতনগরের জমিদার দেওয়ান মান্নান দাঁদ খান তার মায়ের অসিয়াত মোতাবেক ১৯৫০ সালে শোলাকিয়া ঈদগাহের জন্য ৪.৩৫ একর জমি ওয়াক্ফ করেন। সেই ওয়াক্ফ দলিলে উল্লেখ রয়েছে, ১৭৫০ সাল থেকে এ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সে হিসাব অনুসারে, শোলাকিয়া ঈদগাহের বয়স ২শ’ ৬৯ বছর।

প্রতিষ্ঠার ৭৮ বছর পর ১৮২৮ সালে প্রথম বড় জামাতে এই মাঠে একসঙ্গে ১ লাখ ২৫ হাজার অর্থাৎ সোয়ালাখ মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন। এই সোয়ালাখ থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়ালাখিয়া’, যা উচ্চারণ বিবর্তনে হয়েছে শোলাকিয়া।

বৃহত্তম জামাতের হিসাব অনুযায়ি, এ বছর এ ঈদগাহ মাঠে ১৯২তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। কিশোরগঞ্জ মৌজার এ মাঠের মূল আয়তন বর্তমানে ৬.৬১ একর। প্রাচীর ঘেরা শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে মোট ২২২টি কাতার রয়েছে যেখানে একসঙ্গে দেড় লক্ষাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। এছাড়া মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ঈদগাহ সংলগ্ন খালি জায়গা, রাস্তা এবং নিকটবর্তী এলাকায় দাঁড়িয়ে সমসংখ্যক মুসল্লি এ বৃহত্তম ঈদজামাতে শরিক হন।

১৮২৮ সালের প্রথম বড় জামাতে হয়বতনগর সাহেব বাড়ির উর্দ্ধতন পুরুষ শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ (র.) ইমামতি করেন। এ সম্পর্কে নানা তথ্য পর্যালোচনা করে জানা গেছে, শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ (র.) এর পূর্বপূরুষগণ সুদূর মক্কা শরিফ থেকে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে ভারতীয় উপমহাদেশে আগমন করে বর্তমান ভারতের বর্ধমান জেলার টেংগাপাড়ায় বসবাস শুরু করেন। সৈয়দ আহমদ (র.) এর পিতা সৈয়দ ইবরাহিম (র.) উত্তর কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলামী শিক্ষা প্রচার-প্রসার ও দাওয়াতের কাজ করতে গিয়ে কিশোরগঞ্জ শহর থেকে সাত মাইল দূরবর্তী কান্দাইল গ্রামে পদার্পন করেন।

পরবর্তিতে সেখানে স্থানীয় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে বিবাহ করে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন। কিন্তু সাংসারিক জীবনকে তিনি আবদ্ধজীবন মনে করে আল্লাহর বাণী প্রচারের তাগিদে বেরিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে হজ্জব্রত পালনের উদ্দেশ্যে তাবলীগ জামাতসহ মক্কা শরিফে চলে যান এবং সেখানেই ইন্তেকাল করেন।

এদিকে মরহুম সৈয়দ ইবরাহিম (র.) এর বাড়িতে রেখে যাওয়া গর্ভবতী স্ত্রীর এক পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। স্বামীর পূর্ব নির্দেশ মোতাবেক পুত্রের নামকরণ ও পরবর্তী সময়ে বয়ঃপ্রাপ্ত হলে ১২ বছর বয়সে শিক্ষা-দীক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে ঢাকার আজিমপুর দায়রা শরিফে প্রেরণ করা হয়।

বালকপুত্র সৈয়দ আহমদ সেখানে ২৪ বছর অবস্থান করে শিক্ষা-দীক্ষায় পরিপক্ক জ্ঞান লাভের পর পীরের নির্দেশে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় চলে আসেন। সেখানে শহীদ ময়েজ উদ্দিন মজনু (র.) এর মাজারের পাশে একটি ঘর তৈরি করে ইবাদত-বন্দেগীসহ ইসলামের বাণী প্রচারে মনোনিবেশ করেন। ক্রমে সৈয়দ আহমদ (র.)-এর সুনাম ও সুখ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে দলে দলে লোকজন তার কাছে এসে দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণ করতে থাকে।

ঈশা খাঁ’র বংশধরগণ জঙ্গলবাড়ি ও হয়বতনগর এলাকার জমিদারদ্বয় সৈয়দ আহমদ (র.) কে শ্রদ্ধার আসনে স্থান দেন এবং তার সামগ্রিক দ্বীনি দাওয়াতী কাজের সহযোগিতা করেন। এ সময় সে এলাকায় কোন মসজিদ না থাকায় ১৮২৭ সালে সৈয়দ আহমদ (র.) বাড়ি সংলগ্ন জায়গায় একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। মসজিদ প্রতিষ্ঠার পর পরই তিনি ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য ঈদগাহ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।

তিনি তার ক্রয়কৃত তালুক সম্পত্তিতে ঈদগাহ মাঠ প্রতিষ্ঠা করার মনস্থির করেন এবং এ ব্যাপারে জঙ্গলবাড়ি ও হয়বতনগরের জমিদারদ্বয়কে সহায়তা করার অনুরোধ জানিয়ে আসন্ন ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাতে শরীক হওয়ার দাওয়াত করেন। জমিদারদ্বয় দাওয়াত কবুল করেন এবং এই অঞ্চলের আপামর জনসাধারণের অংশগ্রহণে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ১৮২৮ সালের ঈদ-উল-ফিতরের ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ (র.)-এর ইমামতিতে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের প্রথম জামাত।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রথম বড় জামাতের পর আরো যাঁরা ইমামতি করেছেন, তাঁরা হলেন-হযরত মাওলানা হাফেজ মুহম্মদ হযরত উল্লাহ, হযরত মাওলানা পেশওয়ারী, হযরত মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন, আলহাজ্ব মাওলানা হামিদুল হক, হযরত মাওলানা মাজহারুল হক, হযরত মাওলানা আবদুল গনি, হযরত মাওলানা আতহার আলী, হযরত মাওলানা আবদুল মান্নান, হযরত মাওলানা আবুল খায়ের মুহাম্মদ নূরুল্লাহ ও মাওলানা আবুল খায়ের মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

২০০৯ সাল থেকে আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ঈদ জামাতে ইমামতি করছেন। তবে ২০১৬ সালে ঈদ জামাত শুরুর আগে জঙ্গি হানার ঘটনার পরিস্থিতিতে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের পরিবর্তে জামাতে ইমামতি করেন বিকল্প ইমাম শহরের বড়বাজার জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা শোয়াইব আব্দুর রউফ।

শত ব্যস্ততা, নানা সমস্যা আর প্রাকৃতিক বৈরিতাকে উপেক্ষা করে শোলাকিয়ায় সমবেত হন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন ধনী-গরীব নির্বিশেষে। সবার উদ্দেশ্য একটাই, যেন কোন অবস্থাতেই হাত ছাড়া হয়ে না যায় জামাতে অংশ গ্রহণ, আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের সুযোগ। ধনী-গরীবের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সাম্য ও  সুন্দরের ভিত্তিতে এক নতুন সমাজ গড়ার এই শিক্ষা নিয়েই জামাত শেষে বাড়ির পথে শোলকিয়া ছাড়েন তারা।